সালমা সোবহান

সালমা সোবহান (জন্ম: আগস্ট ১১, ১৯৩৭ - মৃত্যু: ডিসেম্বর ২৯, ২০০৩)বাংলাদেশের প্রথম নারী ব্যারিস্টার। তিনি একাধারে শিক্ষক, আইনবিদ, গবেষক, মানবাধিকারকর্মী, সমাজকর্মী, সর্বোপরি একজন মানবহিতৈষী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। [1]

সালমা সোবহান
জন্মআগস্ট ১১, ১৯৩৭
মৃত্যুডিসেম্বর ২৯, ২০০৩
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাআইনজীবী
পরিচিতির কারণআইনবিদ, গবেষক, মানবাধিকারকর্মী
পুরস্কারঅনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার

জন্ম ও প্রাথমিকজীবন

সালমা সোবহানের পুরো নাম সালমা রাশেদা আক্তার বানু। তিনি ১৯৩৭ সালের আগস্ট ১১ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. ইকরামুল্লাহ ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম পররাষ্ট্র সচিব। তার মা শায়েস্তা ইকরামুল্লাহ ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম মহিলা সংসদ সদস্যদের অন্যতম। তার মা-বাবা দু'জনই রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার শ্বশুরও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সালমা সোবহানের স্বামী বাংলাদেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তার তিন ছেলেন হলেন তৈমুর সোবহান, বাবর সোবহান ও জাফর সোবহান।

শিক্ষাজীবন

সালমা সোবহানের শিক্ষা জীবন শুরু হয় ইংল্যান্ডের ওয়েস্টনবার্ট স্কুলে। পরবর্তীকালে ১৯৫৮ সালে কেমব্রিজের গির্টন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৯ সালে লিংকন'স ইন থেকে বার এট' ল সনদপ্রাপ্ত হন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৬২ সালে। ১৯৫৮ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি ব্যারিস্টার ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন

সালমা সোবহান কর্মজীবনের শুরুতেই ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের মেসার্স সারিজ অ্যান্ড বিচেনো ল' ফার্মে লিগ্যাল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬২ সালে বিয়ে হওয়ার পর তিনি ঢাকা চলে আসেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল' অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া)-র গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যনত্ম সুপ্রীমকোর্ট ল' রিপোর্টসের সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৬ সালে তিনি এবং আরও ৮ জন মানবাধিকারকর্মীর সম্বিলিত প্রয়াসে গঠিত হয় মানবাধিকার সংগঠন 'আইন ও সালিশ কেন্দ্র' (আসক)। [2] ১৯৮৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আসকে বিনা পারিশ্রমিকে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। নারীদের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তার নামে ‌'সালমা সোবহান সাংবাদিকতা ফেলোশিপ' প্রদান করা হয়। [3]

প্রকাশিত গ্রন্থ

  • Legal Status of Women in Bangladesh, BILIA (১৯৭৫)
  • Peasants Perception of Law, BRAC (১৯৮১)
  • No Better Option Women Industrial Workers, (Co- authored), UPL (১৯৯৮)

এছাড়াও তিনি একটি উপন্যাস এবং তিনটি ছোট গল্প রচনা করেছিলেন।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি

  • অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার (২০০০)
  • হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড, নিউইয়র্ক (২০০১)

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক প্রথম আলো
  2. দৈনিক জনকন্ঠ
  3. "দৈনিক সমকাল"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২

বহি:সংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.