সাথী (২০০২ চলচ্চিত্র)
সাথী হল ২০০৭ এর একটি প্রকাশিতব্য বাংলা অ্যাকশন চলচ্চিত্র যার পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী ও প্রযোজক শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জিৎ এবং প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী আর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রঞ্জিত মল্লিক এবং অনামিকা সাহা, রাজেশ শর্মা, কাঞ্চন মল্লিক এবং সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়। এই ছবিটি দিয়ে জিৎের সিনেমা জগতে অভিষেক করেছিলেন। ছবিটি তামিল ছবি "থুল্লাদ মনামুম থুলুম" এর রিমেক। ছবিটি ১৪ জুন ২০০২ মুক্তি পেয়েছিল।[1]
সাথী | |
---|---|
![]() সাথী চলচ্চিত্রের পোস্টার | |
পরিচালক | হরনাথ চক্রবর্তী |
প্রযোজক | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | এস. পি. ভেঙ্কটেশ |
মুক্তি |
|
দৈর্ঘ্য | ১৩৬ মিনিট |
দেশ | ![]() |
ভাষা | বাংলা |
কাহিনী
বিজয় (জিৎ)এক প্রতিভাশালী সহ এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী গায়ক, সে বর্ধমান জেলার একটি গ্রামে তার মা এবং ভাইয়ের সাথে থাকে। এক মিউজিকাল টাইকুনের ডাকে সে কলকাতায় আসে তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে পৌঁছে বিজয় তার পরামর্শদাতার মৃত দেখে হতবাক হয়ে যায়। সে মদ্যপ কেস্ষ্টদা (রঞ্জিত মল্লিক) এক ভালো মানুষের কাছে থাকতে শুরু করে। তারপর একদল সমবয়সীদের নিয়ে একটি বীমা সংস্থার জন্য কাজ শুরু করে। এর মধ্যে বিজয় সোনালীকে (প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী) দেখে যে তাঁর ঠাকুমার সাথে একই এলাকায় থাকে। সোনালী বিজয়কে এক অদ্ভুত উপায়ে চিনতো। সে তাকে কখনও দেখেন নি, তবে বিজয় যখন গান করত, তখন সে অত্যন্ত আগ্রহে গান শুনত এবং তাঁর প্রশংসক যায়। কিন্তু বিজয় এবং সোনালী যখনই শারীরিকভাবে একে অপরের সাথে দেখা করে তখনই কোনও দুর্ঘটনা ঘটে এবং সোনালী বিজয়কে ভুল বুঝত। ফলে সোনালীর মনে বিজয়ের প্রতি আলাদা একটা ধারণা তৈরি হল। সে বুঝতে পারল না যে বিজয়ই তার প্রশংসিত একই ব্যক্তি যাকে সে ঘৃণা করে। এমন সময় একদিন বিজয় ঘটনাক্রমে সোনালিকে কলেজের সিঁড়ি থেকে ধাক্কা দেয় এবং সে পরে গিয়ে অন্ধ হয়ে যায়। বিজয় এই বিষয়টি জানতে পেরে খুবই লজ্জিত হয় এবং হতাশায় ভেঙ্গে পড়ে। তারপরে শুরু হয় তার ত্যাগ ও ভালবাসার পর্ব, সে সোনালী এবং তার ঠাকুমাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে শুরু করে, এমনকি সে দুজনকে তার মেসে থাকবার জন্য নিয়ে আসে যখন তাদের বাড়িওয়ালা তারা আর ভারা দিতে পারছিল না। অবশেষে সোনালির চোখের চিকিত্সার জন্য প্রয়োজনীয় টাকার জন্য বিজয় তার মূল্যবান আংটি (তার মায়ের উপহার) বিক্রি করে। এমনকি তার মা মারা গেলেও এটিকে সবার কাছে গোপন রাখে এবং সোনালিকে চোখের সার্জনের কাছে নিয়ে যান। সেখানে তিনি জানতেঁ পারে যে এক জটিল অপারেশন করা হলে সোনালী তার দৃষ্টি ফিরে পেতে পারে। তার জন্য ৫০,০০০ টাকা লাগবে, বিজয় ঠিক করে সে তার একটা কিডনি বিক্রি করবে এবং তার লক্ষ্য নিয়ে গোপনে বিশাখাপত্তনমে যাত্রা শুরু করে। বিজয় নিজে কণ্ঠশিল্পী হওয়ার জন্য তার আবেগকে ত্যাগ করে এবং গায়ক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে গোপনে সোনালিকে সমর্থন করে, সোনালী তার রেকর্ডিং স্টুডিওতে প্রথম স্তরে সাফল্য অর্জন করে, বিজয় স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে সন্ত্রাসী হিসাবে গ্রেপ্তার হয়। এইভাবে বিজয়ের অর্থ দিয়ে সোনালী আবার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়ে এবং একটি বিখ্যাত গায়িকা হয়ে ওঠে ওদিকে বিজয়ের পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বিজয় তার সাজা শেষ করে যে দিন ফিরে আসে সেদিনেই সোনালী এক সংগীত অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছিল। হাওড়া স্টেশন পৌঁছে বিজয় সোনালির বিশাল কাটআউট হোর্ডিংয়ের দেখতে পায়। সে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কিন্তু তিনি যখন সোনালির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এবং তাকে বোঝায় যে তাঁর বিজয়, তখন তাকে নিরাপত্তার দ্বারা নির্মমভাবে আঘাত করা হয়। কেষ্টদা এবং বিজয়ের বন্ধু এসে পৌঁছায়। তারা সোনালীকে পুরো সত্য ঘটনাটা ব্যাখ্যা করে। সোনালী বুঝতে পারে যে সব সময় যাকে অবহেলা করেছে সেই তার দীর্ঘদিনের হারিয়ে যাওয়া ভালবাসা। উচ্ছ্বসিত জনতার মাঝে তারা আবার মিলিত হয়।
অভিনয়
প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জিৎ এবং প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী আর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রঞ্জিত মল্লিক এবং অনামিকা সাহা, রাজেশ শর্মা, কাঞ্চন মল্লিক এবং সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়।
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে সাথী (ইংরেজি)
- Anandabazar Patrika http://archives.anandabazar.com/archive/1140215/15binodan1.html