সাইকো (১৯৬০-এর চলচ্চিত্র)
সাইকো বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক আলফ্রেড হিচকক পরিচালিত একটি সাসপেন্স থ্রিলার, হরর এবং মনোজাগতিক জটিলতা ও বিকৃতিধর্মী চলচ্চিত্র। ১৯৬০ সালে এটি মুক্তি পেয়েছিল। মানসিক বিকৃতিতে আক্রান্ত এক খুনীকে ঘিরে এর কাহিনী নির্মিত হয়েছে। রবার্ট ব্লখ-এর উপন্যাস সাইকো অবলম্বনে এর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধান চরিত্র নরমান বেট্স-এর চরিত্র অভিনয় করেছেন অ্যান্টনি পারকিন্স যাকে পৃথিবীর সেরা খলনায়কদের তালিকায় প্রথম স্থান দেয়া হয়েছে। ছবিটির প্রধান নারী চরিত্র ম্যারিয়ন ক্রেইন-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেনেট লেই। মূল অভিনয় হয়েছে বেট্স মোটেল নামক একটি সরাইখানায় যা স্টুডিওর সেটে নির্মাণ করা হয়েছিল। এই মোটেলের মালিক বেট্স মানসিক বিকৃতিগ্রস্ত একজন খুনী। তার হাতে ম্যারিয়ন ক্রেইন খুন হয়।
সাইকো | |
---|---|
![]() পোস্টার | |
পরিচালক | আলফ্রেড হিচকক |
প্রযোজক | ক্রেডিটবিহীন: আলফ্রেড হিচকক আলমা রেভিল |
রচয়িতা | উপন্যাস: রবার্ট ব্লখ স্ক্রিনপ্লে: জোসেফ স্টেফানো ক্রেডিটবিহীন: স্যামুয়েল এ টেইলর |
শ্রেষ্ঠাংশে | অ্যান্টনি পারকিন্স জেনেট লেই ভেরা মাইল্স জন গ্যাভিন মার্টিন বালসাম জন ম্যাকিন্টায়ার |
সুরকার | বার্নার্ড হেরমান |
চিত্রগ্রাহক | জন এল রাসেল |
সম্পাদক | জর্জ টমাসিনি |
পরিবেশক | ১৯৬০-১৯৬৮: প্যারামাউন্ট পিকচার্স ১৯৬৮-বর্তমান: ইউনিভার্সাল পিকচার্স |
মুক্তি | ![]() |
দৈর্ঘ্য | ১০৯ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | ৮০৬,৯৫০ মার্কিন ডলার (আনুমানিক) |
আয় | ৩২,০০০,০০০ মার্কিন ডলার |
কাহিনী
স্বর্ণকেশী মেরিয়োন ক্রেন একগাদা টাকা চুরি করে পালায়। পথে সে এক রাতের জন্য একটি মোটেলে ঠাঁই নেয়। মোটেলের কর্মকর্তা নর্মান বেটস কিছু একটা আন্দাজ করে। সে রাতে মোটেলে মেরিয়োন ছিলো একমাত্র অতিথি। এদিকে নর্মানের মা মেরিয়োনকে পছন্দ করে না, মেরিয়োনের মতো একাকী মেয়েকে অতিথি হিসাবে সে চায় না। যাহোক, মেরিয়োন চলে যায়। কিছুক্ষণ পরেই মেরিয়োনের বোন লীলা এবং গোপন প্রেমিক স্যাম লুমিস মোটেলে আসে মেরিয়োনকে খুঁজতে। তাদের অনুসন্ধানেই বেরিয়ে আসে ভয়াবহ কাহিনী।
চরিত্রসমূহ
- নরমান বেট্স
- ম্যারিয়ন ক্রেইন
- মার্টিন বালসাম
নির্মাণ
রবার্ট ব্লখের উপন্যাসের স্বত্ত্ব মাত্র নয় হাজার ডলারে কিনেছিলেন হিচকক। স্বত্ত্ব কেনার পর বাজারে এই উপন্যাসের যতো কপি ছিলো তা-ও কিনে নেন হিচকক। কারণ তিনি চেয়েছিলেন, তার ছবির গল্পটি যেন আগেভাগে কেউ জানতে না-পারে। গল্পের টানটান উত্তেজনা অটুট রাখতেই এই চেষ্টা। চিত্রগ্রাহক জন এল রাসেল সহ আলফ্রেড হিচকক প্রেজেন্টস নামের হিচককের টিভি শো’র অধিকাংশ কলাকুশলীরাই এ ছবিতে কাজ করেছেন। প্রচলিত অনেক ধারাকেই অস্বীকার করেছিলো এই ছবি। প্রথম দৃশ্যেই নায়িকাকে অন্তর্বাসে দেখানো, ছবির এক তৃতীয়াংশেই প্রধান তারকাকে মেরে ফেলা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। পরবর্তীতে সাইকো’র তিনটি সিক্যুয়াল তৈরি হয়েছিলো। অবশ্য এর একটিও হিচকক বানাননি। ১৯৮৩, ১৯৮৬ এবং ১৯৯০ সালে নির্মিত এই তিনটি সিক্যুয়ালেই এন্থনি পার্কিন্স অভিনয় করেছেন নর্মান বেইটস চরিত্রে। শেষের ছবি সাইকো ৩ -এর মাধ্যমে এন্থনি’র চলচ্চিত্র পরিচালনায় অভিষেক হয়।
বক্স অফিস
মাত্র ৮০ হাজার ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই ছবি আয় করেছিলো ৪০ মিলিয়নেরও বেশি ডলার।
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে সাইকো
(ইংরেজি) - অলমুভিতে Psycho (1960) (ইংরেজি)
- Bright Lights Film Journal article on Psycho
- Filmsite: Psycho In-depth analysis of the film.
- Review of the UK Special Edition DVD release, by Brian Elliott of DVD Reviewer
- Psycho vs. Psycho Comparison of the Hitchcock original to the Gus Van Sant recreation.
- 'Psycho' Screenshot Gallery