সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়

গভ. মুসলিম হাই স্কুল বা সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালী থানার পাশে অবস্থিত সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। দানবীর হাজি মুহাম্মাদ মহসীনের অর্থিক অবদানে ১৯০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

গভ. মুসলিম হাই স্কুল
সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়
বিদ্যালয় ভবন
ঠিকানা
আব্দুর রহমান সড়ক, লালদিঘি
কোতোয়ালী
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম, ৪০০০
বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনসরকারি, মাধ্যমিক
ধর্মীয় অন্তর্ভুক্তিইসলাম
প্রতিষ্ঠাকাল১৯০৯
প্রতিষ্ঠাতাহাজি মুহাম্মাদ মহসীন
অবস্থাসক্রিয়
বিদ্যালয় জেলাচট্টগ্রাম জেলা
শিক্ষাবিষয়ক কর্তৃপক্ষমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম
সেশনজানুয়ারি - ডিসেম্বর
প্রধান শিক্ষকএস এম জিয়াউল হায়দার হেনরি
অনুষদ
শিক্ষকমণ্ডলী৫০+
কর্মচারী২৫+
লিঙ্গবালক
শ্রেণী৫-১০
শিক্ষাদানের মাধ্যমজাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
ভাষার মাধ্যমবাংলা-মাধ্যম শিক্ষা
ভাষাবাংলা
বিদ্যালয়ের কার্যসময়৪ ঘন্টা
শ্রেণীকক্ষ১৮+
ক্যাম্পাস
ক্যাম্পাসের আকার৩+ একর
আয়তন৩.৭২ একর
ক্যাম্পাসের ধরনঅাবাসিক, অনাবাসিক
রঙ সাদা 
ডাকনামমুসলিম হাই
জাতীয় র‍্যাঙ্ক[1]
বর্ষপুস্তকজাগরণ (বাৎসরিক)
বার্ষিক শিক্ষাদান২৪০ (বাৎসরিক)
শিক্ষাদান২০
প্রাক্তন শিক্ষার্থীর নামগভ. মুসলিম হাই স্কুল অ্যলুমনাই অ্যাসোসিয়েশন
ওয়েবসাইটgmhsctg.tsmts.com

ইতিহাস

বিংশশতাব্দীর প্রথম দশকে তৎকালীন দানবীর হাজি মুহাম্মাদ মহসীন তার সম্পদ থেকে মহসিন তহবিল গঠন করার উদ্যোগ নেয়। শুরুতে তিনি একটি দাতব্য তহবিল এবং পরবর্তীতে মহসিন তহবিল নামে একটি তহবিল গঠন করেন। এই তহবিলের অর্থ শিশুদের শিক্ষাখাতে ব্যয় করার নির্দেশ দেন তিনি। উপমহাদেশে মুসলিম শিক্ষার প্রসার ঘটায় চট্টগ্রাম মহসীনিয়া মাদ্রাসা নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। পরবর্তীতে মহসীনিয়া মাদ্রাসা পরিবর্তিত হয়ে মহসিন উচ্চ বিদ্যালয় এবং গভর্নমেন্ট মহসিন কলেজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানে পরণিত হয়। ইতোমধ্যে মুসলিম ছাত্রদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মুসলিম নেতাদের অধীনে এবং মহসিন মাদ্রাসার প্রধান তত্ত্বাবধানে ইঙ্গ-ফার্সি বিভাগ চালু করা হয়। ১৯০৯ সালে উক্ত মাদ্রাসা বিভাগ হতে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়।[2]

শুরুর দিকে পাঠদান কাজ পরিচালনা করা হতো চট্টগ্রামের তৎকালীন স্থানীয় নিবন্ধন অফিস ভবনে। ১৯১৬ সালে বিদ্যালয়টি বর্তমান স্থানে স্থানান্তর করে গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই ইংলিশ স্কুল নামকরণ করা হয়। ১৯৫৯ সালে উর্দুভাষী ছাত্রদের জন্যে উর্দু বিভাগ চালু করা হলেও বর্তমানে এর কার্যক্রম নেই।[2][3]

বর্ণনা

মুসলিম হাই স্কুল চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা এবং লালদিঘির মধ্যবর্তী এলাকায় আব্দুর রহমান সড়কে চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে রাস্তার পূর্ব পাশে ৩.৭২ একর জমির উপরে অবস্থিত। বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র মুসলিম বালকদেরই অধ্যয়নের সুয়োগ রয়েছে। তিনটি ভবন নিয়ে গঠিত বিদ্যালয়টিত বর্তমানে ভবন সংখ্যা দশ, যার মধ্যে রয়েছে ১টি প্রশাসনিক ভবন, ৩টি একাডেমিক ভবন, ১টি বিজ্ঞান ভবন, ১টি মিলনায়তন, প্রধান শিক্ষকের বাসভবন, ব্যয়ামাগার এবং মসজিদ। বিদ্যালয়ের সামনে একটি মাঠ থাকলেও মূল মাঠ বিদ্যালয় ভবন হতে খানিকটা দূরে যা ঐতিহাসিক লালদিঘির ময়দান হিসেবে পরিচিত।[3] বিদ্যালয়ের পাঠাগারে ২০০০-এর অধিক বই রয়েছে।

শিক্ষক ও ছাত্র

বিদ্যালয়টিতে ৫ম-১০ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রাতঃ শাখা এবং দিবা শাখায় ২৬ জন করে সর্বমোট ৫২ জন শিক্ষক রয়েছে। স্কুলের আনুামনিক ছাত্র সংখ্যা ২৫০০ জন।

অর্জন

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের সামগ্রিক দিক বিবেচনায় ২০১২ সালে বিদ্যালয়টি চটগ্রামের বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করে।[4] এবং ২০১৬ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত প্রতিবার চট্টগ্রাম বোর্ডে ২য় হয়ে আসছে।[5] বিদ্যালয়টি একাাধিকবার জাতীয় পর্যায়ে হকিফুটবলে বিজয়ী হয়।

কৃতী শিক্ষার্থী

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "জেএসসি : জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে থাকা ১০ স্কুল"আজাদী প্রতিবেদনদৈনিক আজাদী। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
  2. হাজার বছরের চট্টগ্রামদৈনিক আজাদী। নভেম্বর ১৯৯৫। পৃষ্ঠা ১৯২।
  3. "বিদ্যালয় পরিচিতি ও ইতিহাস"gmhsctg.tsmts.com। gmhsctg। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৮
  4. "সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়"। bdnews24.com। ১০ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৪
  5. স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (২০১৭-০৫-০৪)। "চট্টগ্রামের সেরা তিন কলেজিয়েট-মুসলিম হাই-খাস্তগীর"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৮

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.