সম্রাট পেঙ্গুইন
এম্পেরার পেঙ্গুইন বা সম্রাট পেঙ্গুইন (ইংরেজি: Emperor Penguin) (Aptenodytes forsteri) পেঙ্গুইন প্রজাতিদের মধ্যে সবথেকে লম্বা এবং সবথেকে ভারি পেঙ্গুইন। এদের বসবাস হল অ্যান্টার্কটিকাতে। মহিলা এবং পুরুষ দুজনেরই সমান মাপের পালক আছে এবং দুজনেরই উচ্চতা সমান হয়। এদের উচ্চতা হয় ১২২ সেমি (৪৮ ইঞ্চি) এবং এদের ওজন হয় ২২-৪৫ কেজি (৪৯-৯৯ পাউন্ড)।
এম্পেরার পেঙ্গুইন | |
---|---|
![]() | |
প্রাপ্তবয়স্কদের মাঝে একটি তরুণ এম্পেরার পেঙ্গুইন স্নো হিল দ্বীপপুঞ্জ, অ্যান্টার্কটিকা | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Sphenisciformes |
পরিবার: | Spheniscidae |
গণ: | Aptenodytes |
প্রজাতি: | A. forsteri |
দ্বিপদী নাম | |
Aptenodytes forsteri Gray, 1844 | |
![]() | |
এম্পেরার পেঙ্গুইনদের বিস্তার (প্রজনন ক্ষেত্র সবুজ রঙে দেখানো হল) |
এদের পৃষ্ঠীয় দিক এবং মাথা কালো এবং রুঢ়ভাবে সাদা পেট থেকে অঙ্কিত হয়, এদের বুক হয় ফ্যাকাসে হুলুদ রঙের এবং কানে উজ্জ্বল হলুদ রঙের দাগ দেখতে পাওয়া যায়। সব পেঙ্গুইনদের মতোই এরাও উড়তে পারে না। এদের শরীর হয় মসৃণ, পাখনাগুলো চ্যাপ্টা এবং বলিষ্ঠ ফ্লিপারে পরিণত হয়েছে সামুদ্রিক আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য।
এদের প্রধান খাদ্য হল মাছ এবং তা ছাড়াও এরা কবচী, ক্রিল, স্কুইড ইত্যাদিও খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। এই প্রজাতি জলের মধ্যে প্রায় ১৮ মিনিট ধরে ডুবে থাকতে পারে এবং এরা ৫৩৫ মিটার (১,৭৫৫ ফুট) গভীরতা পর্যন্ত ডুব দিতে সক্ষম। এই সুবিধার জন্য এদের শরীরে বেশকিছু অভিযোজনের ব্যবস্থা আছে যা হল কম অক্সিজেন পর্যায়ে কাজ করার জন্য অসাধারণভাবে কাঠামোগত হিমোগ্লোবিন থাকে এদের শরীরে। বারোট্রমা কমাতে এদের শরীর প্রচণ্ড শক্ত হাড় দিয়ে গঠিত। এবং এরা তাদের শরীরের বিপাক কমানোর জন্য বিভিন্ন গৌণ অঙ্গ বন্ধ রাখতে পারে।
এরাই একমাত্র পেঙ্গুইন জাতি যারা শীকালের অ্যান্টার্কটিকাতে প্রজনন করে। প্রজননের জন্য এই পেঙ্গুইনরা ৫০-১২০ কিলোমিটার (৩১-৭৫ মাইল) স্থানান্তর করে প্রজনন ক্ষেত্রে। মহিলারা একটাই ডিম পারে, যেটা পুরুষরা তা দেয়। আর তখন মহিলারা ভোজনে সমুদ্রে ফিরে যায়। এদের আয়ু প্রধানত ২০ বছর হয়, অবশ্য কিছু কিছু সমউ দেখা গেছে যে কিছু কিছু পেঙ্গুইন ৫০ বছর বয়স পর্যন্তও বাঁচতে পারে।
শ্রেণীবিন্যাস
তথ্যসূত্র
- BirdLife International (২০১২)। "Aptenodytes forsteri"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩।