সপ্তপদী (চলচ্চিত্র)

সপ্তপদী ১৯৬১ সালে তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে তৈরি একটি জনপ্রিয় বাংলা সিনেমা । এই সিনেমাটির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, তরুণ কুমার, ছবি বিশ্বাস প্রমুখ ।সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক অজয় কর

সপ্তপদী
DVD cover
পরিচালকঅজয় কর
প্রযোজকউত্তম কুমার
কাহিনীকারতারাশংকর বন্দোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে
শ্রেষ্ঠাংশেসুচিত্রা সেন
উত্তম কুমার
ছবি বিশ্বাস
ছায়া দেবী
সুরকারহেমন্ত মুখোপাধ্যায়
পরিবেশকআলোছায়া প্রডাকশনস
মুক্তি
  • ২০ অক্টোবর ১৯৬১ (1961-10-20)
দৈর্ঘ্য১৬৩ মিনিট
দেশভারত
ভাষাবাংলা ভাষা

সপ্তপদী ছবির গান অনেক জনপ্রিয় হয় সে সময়। এই ছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ।এই ছবির এই পথ যদি না শেষ হয় গানটি আজও প্রবল ভাবে মানুষের মন ছুয়ে যায়।

কাহিনী

মূলত এটা একটি লাভ স্টোরি ,ভারত উপমহাদেশের প্রাক-স্বাধীনতার আমলে(১৯৪০ এর দিকের কাহিনী), যখন তরুণ ভারতীয় ছাত্ররা ব্রিটিশদের সাথে প্রতিযোগিতা করছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে জয়লাভ করছে। এটা সেই সময়ের কাহিনী যখন বাংলার দামাল ছেলেরা ফুটবল মাঠে হারিয়ে দিচ্ছিল সুটেড-বুটেড ব্রিটিশদের এবং জিতে নিয়েছিল "জাতীয় ফুটবল শিল্ড", যখন বাঙালি ছেলেরা ব্রিটিশদের সাথে তাল মিলিয়ে পড়া শুরু করেছিল মেডিক্যাল কিংবা আইন। ১৯৪২ সালে গান্ধিজীর স্বদেশী আন্দোলেনএর সময়কাল এ গল্পের পটভূমি। কৃষ্ণেন্দু(উত্তম কুমার) - এ গল্পের নায়ক, বাঙ্গালি হিন্দু ছেলে(একই সাথে নাস্তিক),তরুণ মেধাবী ছাত্র এবং অসামান্য প্রতিভাধর ফুটবল খেলোয়াড়।নায়িকা রিনা ব্রাউন (সুচিত্রা সেন) সুন্দরী এবং মেধাবী ক্রিশ্চিয়ান মেয়ে।দুই বিপরীত ধর্মের তরুণ হৃদয়ের প্রেমের উপাখ্যান এটি। দুজনই মেডিকেলে পড়ে। স্বভাবতই প্রথমে রিনা ব্রাউন অপছন্দ করত নেটিভ বাঙালি কৃষ্ণেন্দুকে। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা কাছাকাছি আসে। কলেজের এক অনুষ্ঠানে ঘটনার নাটকীয়তায় রিনার সাথে অভিনয় করে প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষ্ণেন্দু। কৃষ্ণেন্দুর অসাধারণ "ওথেলো" আবৃত্তি আর স্বচ্ছন্দ অভিনয় দেখে আকৃষ্ট হয় রিনা।কাছে আসে তারা,ভালবাসে একে অপরকে। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে রিনার বাবা শর্ত জুড়ে দেয় যে কৃষ্ণেন্দুকে ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে,ক্রিশ্চিয়ান হতে হবে। রিনাকে পাওয়ার জন্য কৃষ্ণেন্দু তাতেই রাজি হয় এবং ধর্ম বদলাই।কিন্তু কালী বিশ্বাসী, ধর্ম অনুরাগী কৃষ্ণেন্দুর পিতা রিনার কাছে হাতজোড় করে কৃষ্ণেন্দুকে ফিরিয়ে দিতে।রিনা তাই করে। কৃষ্ণেন্দু ভারাক্রান্ত মনে ফিরে যায় এবং মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে।বহু বছর পর রিনার সাথে তার দেখা হই মিলিটারি হাসপাতালে, যখন রিনা মদ্যপায়ী এবং উচ্ছৃঙ্খল এক তরুণী, যে হারিয়ে ফেলেছে ঈশ্বরের প্রতি সমস্ত বিশ্বাস। অপরদিকে নাস্তিক কৃষ্ণেন্দু ঈশ্বরের মাঝে খুঁজে পেয়েছে সত্যিকারের প্রশান্তি। সিনেমার শেষে দেখা যায়,কৃষ্ণেন্দুর বাবা নিজের ভুল বুঝতে পারে,বুঝতে পারে ধর্মের চাইতে মানুষ বড়। পুরো সিনেমাটি আবর্তিত হয়েছে কৃষ্ণেন্দুর স্মৃতি রোমন্থনে, ফ্ল্যাশব্যাকে।

চিত্রায়নে

পুরস্কার

মস্কো আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবে
জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার(১৯৬১) [2]
  • বাংলার দ্বিতীয় সেরা ফিচার ফিল্মের জন্য পুরস্কার

তথ্যসূত্র

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৩
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৩
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.