সঞ্জীব চৌধুরী
সঞ্জীব চৌধুরী (২৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৪ – ১৯ নভেম্বর, ২০০৭) ছিলেন একজন বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী ও সাংবাদিক। তিনি বাংলা ব্যাণ্ডদল দলছুটের প্রতিষ্ঠাতা এবং অন্যতম প্রধান সদস্য ছিলেন। সঞ্জীব দলছুটের চারটি অ্যালবামে কাজ করার পাশাপাশি অনেক গান রচনা ও সুরারোপও করেছেন।
সঞ্জীব চৌধুরী | |
---|---|
২০০৭ সালে এআইইউবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসার্টে সঞ্জীব চৌধুরী (বামে) | |
প্রাথমিক তথ্য | |
আরো যে নামে পরিচিত | সঞ্জীব দা |
জন্ম | মাকালকান্দি, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৪
উদ্ভব | ঢাকা, বাংলাদেশ |
মৃত্যু | ১৯ নভেম্বর ২০০৭ ৪২) ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স
ধরন | পপ |
পেশা | সঙ্গীতশিল্পী, সাংবাদিক |
বাদ্যযন্ত্রসমূহ | গিটার |
কার্যকাল | ১৯৯৬-২০০৭ |
লেবেল | জি-সিরিজ |
সহযোগী শিল্পী | দলছুট |
প্রাথমিক জীবন
সঞ্জীব চৌধুরী ২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৪[1] সালে বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গোপাল চৌধুরী এবং মাতা প্রভাষিনী চৌধুরী। নয় ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সপ্তম।
ছোটবেলায় হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন ও এরপরে ঢাকার বকশী বাজার নবকুমার ইন্সটিটিউটে নবম শ্রেণীতে এসে ভর্তি হন ও এখান থেকে ১৯৭৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১২তম স্থান অর্জন করেন। ১৯৮০ সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও মেধা তালিকায় স্থান করে নেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ভর্তি হন কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা শেষ না করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবন
তিনি একজন খ্যাতনামা সাংবাদিকও ছিলেন এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিনে কাজ করেন। তিনি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের একজন কর্মী ছিলেন।
ডিস্কোগ্রাফি
- আহ্ (১৯৯৭)
- হৃদয়পুর (২০০০)
- আকাশচুরি (২০০২)
- জোছনাবিহার (২০০৭)
- স্বপ্নবাজী
সঞ্জীব চৌধুরীর গাওয়া গান
বছর | শিরোনাম | অ্যালবাম | টীকা |
---|---|---|---|
১৯৯৭ | "চোখ" | আহ্ | |
২০০০ | "আমি তোমাকেই বলে দেবো" | হৃদয়পুর | দলছুট |
২০০০ | "চল বুবাইজান" | হৃদয়পুর | দলছুট |
২০০০ | "গাড়ি চলে না" | হৃদয়পুর | দলছুট |
২০০০ | "আমাকে অন্ধ করে" | হৃদয়পুর | দলছুট |
২০০০ | "খুঁজি যখন" (বাপ্পা মজুমদার সহ) |
হৃদয়পুর | দলছুট |
২০০০ | "খোলা আাকাশ" | হৃদয়পুর | দলছুট |
২০০০ | "আল্লাহর ওয়াস্তে" | হৃদয়পুর | দলছুট |
২০০৭ | "হাতের উপর" | জোছনাবিহার | দলছুট |
২০০৭ | "সবুজ খুঁজি" (বাপ্পা মজুমদার সহ) |
জোছনাবিহার | দলছুট |
২০০৭ | "চলতে চলতে" | জোছনাবিহার | দলছুট |
২০০৭ | "দিন সারাদিন" (বাপ্পা মজুমদার সহ) |
জোছনাবিহার | দলছুট |
২০০৭ | "ভালো লাগে না" | জোছনাবিহার | দলছুট |
২০০৭ | "নোঙরের গল্প" | জোছনাবিহার | দলছুট |
২০০৭ | "ধরি মাছ না ছুঁই পানি" | জোছনাবিহার | দলছুট |
"আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া" | স্বপ্নবাজী | ||
"হাওয়ারে তুই বাজা নূপুর" | স্বপ্নবাজী | ||
"কোথাও বাঁশি" | |||
"অপেক্ষা" | |||
"আমি ফিরে পেতে চাই" | |||
"আমার বয়স হল সাতাশ" | বাড়ি ফেরা হল না | ||
"একটি চোখে কাজল" | বাড়ি ফেরা হল না | ||
"কালা পাখি" | |||
"গাছ" | |||
"চোখটা এত" | বাড়ি ফেরা হল না | ||
"তোমার ভাঁজ খোল আনন্দ দেখাও" | |||
"দিন সারা দিন" | |||
"নৌকা ভ্রমণ" | |||
"বাড়ি ফেরা" | বাড়ি ফেরা হল না | ||
"বায়োস্কোপ" | বাড়ি ফেরা হল না | ||
"সবুজ যখন" | |||
"সমুদ্র সন্তান" | |||
"সাদা ময়লা" | |||
"সানগ্লাস" | |||
"স্বপ্নবাজি" | |||
মৃত্যু
সঞ্জীব চৌধুরী বাইলেটারেল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। নভেম্বর ১৫, ২০০৭ সালে আকস্মিক অসুস্থ বোধ করার কারণে তাকে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।[2] তিন দিন পর নভেম্বর ১৯ তারিখে সঞ্জীব চৌধুরী ঢাকার অ্যাপোলো হসপিটালের আইসিইউ শাখায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।[3][4]
তথ্যসূত্র
- "সঞ্জীব চৌধুরীকে অশ্রু আর ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায়"। দৈনিক প্রথম আলো। মাহফুজ আনাম। নভেম্বর ২০, ২০০৭। পৃষ্ঠা ২০।
- "জীবন-মৃত্যুর মাঝে সঞ্জীব চৌধুরী"। দৈনিক প্রথম আলো। মাহফুজ আনাম। নভেম্বর ১৮, ২০০৭।
- "চলে গেলেন সঞ্জীব চৌধুরী"। BDNews24.com। নভেম্বর ১৯, ২০০৭। পৃষ্ঠা ১৪। ২৪ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২১, ২০১৬।
- "হৃদয়ে সঞ্জীবদা এবং কিছু কথা..."। নতুন দেশ। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে সঞ্জীব চৌধুরী সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |