শ্বাসাঘাত

ধ্বনিতত্ত্বের পরিভাষায় শ্বাসাঘাত বা প্রস্বর (ইংরেজি: Accent বা Stress) বলতে কোনও শব্দে বা শব্দের অংশবিশেষ তথা সিলেবলে স্বাভাবিকভাবে খানিকটা জোর দিয়ে উচ্চারণ করার ঘটনাকে বোঝায়। যেমন ইংরেজি ভাষাতে democracy শব্দটিতে দ্বিতীয় সিলেবলটিতে শ্বাসাঘাত পড়ে, কিন্তু democratic শব্দটিতে তৃতীয় সিলেবলে শ্বাসাঘাত পড়ে। যেসব সিলেবলে এই জোর পরিলক্ষিত হয় না, বলা হয় তারা প্রস্বরহীন বা শ্বাসাঘাতহীন (ইংরেজি ভাষায় unaccented বা unstressed)। সব ভাষাতেই শ্বাসাঘাতের বিভিন্ন নির্দিষ্ট বিন্যাস থাকে; এই বিন্যাসকে বলা হয় প্রস্বরীকরণ বা শ্বাসাঘাতীকরণ (ইংরেজি ভাষায় Accentuation)। শ্বাসাঘাত নিয়ে গবেষণাকে বলা হয় শ্বাসাঘাততত্ত্ব (ইংরেজি ভাষায় Accentology)।

শ্বাসাঘাতের সময় বক্তার উচ্চারণের শক্তি বা বল বেশি হয়, বহির্গামী বায়ুপ্রবাহের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং বাগযন্ত্রের পেশীগুলি টানটান হয়। ধ্বনিগতভাবে পার্শ্ববর্তী সিলেবলগুলির তুলনায় শ্বাসাঘাতবিশিষ্ট সিলেবলের শব্দপ্রাবল্য তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। শ্বাসাঘাত পড়া সিলেবলটি উঁচু সুরে এবং সাধারণের চেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চারিত হতে পারে।

শ্বাসাঘাতের বিভিন্ন মাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব। সাধারণত প্রাথমিক, গৌণ এবং দুর্বল --- এই তিন ধরনের শ্বাসাঘাতকে চিহ্নিত করা হয়। * আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালাতে সিলেবলের আগে উপরে একটি উল্লম্ব রেখাংশ বসিয়ে প্রাথমিক শ্বাসাঘাত, এবং আগে নিচে একটি উল্লম্ব রেখাংশ বসিয়ে গৌণ শ্বাসাঘাত বোঝানো হয়। যেমন- ইংরেজি syllabification শব্দটি এভাবে আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালাতে লেখা হয়: [sɪˌlæbəfɪˈkeɪʃən]

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.