শালবাহান উচ্চ বিদ্যালয়
শালবাহান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় রংপুর বিভাগ, পঞ্চগড় জেলা, তেঁতুলিয়া উপজেলা, শালবাহান ইউনিয়ন এর একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ।
শালবাহান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
অবস্থান | |
শালবাহান ইউনিয়ন, তেতুলিয়া, পঞ্চগড় বাংলাদেশ | |
স্থানাঙ্ক | ২৬.৫২৯৯২° উত্তর ৮৮.৪১০৩১° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | আধা-সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৫৭ |
বিদ্যালয় জেলা | পঞ্চগড় |
কর্তৃপক্ষ | মোঃ মস্তানছের রহমান |
প্রধান শিক্ষক | মো: আবু বক্কর সিদ্দিক কাবুল |
শ্রেণী | ৬ষ্ট থেকে ১০ম |
লিঙ্গ | বালক ও বালিকা |
বয়সসীমা | ১২ থেকে ১৭ বছর |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ৫০০ (প্রায়) |
ভাষার মাধ্যম | বাংলা |
১৯৫৭ |
ইতিহাস
বিদ্যালয়টি ১৯৫৭ সালে ডঃ মোহাম্মদ আলী, মোঃ সিরাজুল হক, মো: মস্তানছের রহমান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এর উদ্দোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। ডঃ মোহাম্মদ আলী ছিলেন বিদ্যালয় কমিটির প্রথম সভাপতি। মোঃ সিরাজুল হক ছিলেন বিদ্যালয় কমিটির প্রথম সচিব(সেক্রেটারি)। মোঃ মস্তানছের রহমান বিদ্যালয়ের জমিদাতা। তখনকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এলাকার নামের সাথে মিলিয়ে বিদ্যালয়টির নাম শালবাহান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় রাখেন। বিদ্যালয়টি বতর্মান রংপুর বিভাগ, পঞ্চগড় জেলা, তেঁতুলিয়া উপজেলা, শালবাহান ইউনিয়ন এর সর্ববৃহৎ বাজার শালবাহান হাট এ অবস্থিত।
ভবন ও কাঠামো
বর্তমানে বিদ্যালয়ের জায়গার পরিমান ৮ একর (দিঘি ও নিজস্ব বাজার সহ)। বিদ্যালয়ের মোট ভবন ৪টি (১টি নির্মানাধীন),
- ১টি টিনশেড পুরাতন ভবন - একতালা ৫ কক্ষ বিশিষ্ট।
- ১টি দপ্তর ভবন - একতালা ৩ কক্ষ বিশিষ্ট।
- ১টি দোতালা ভবন - দোতালা ৬ কক্ষ বিশিষ্ট।
- ১টি নতুন কারিগরি ভবন নির্মানাধীন।
বিদ্যালয়ে ১টি সাধারন কক্ষ, ১টি পাঠাগার, ১টি গবেষণাগার, ১টি কম্পিউটার ল্যাব, শিক্ষক বিশ্রামাগার সহ ৮টি শ্রেণী কক্ষ আছে। বিদ্যালয়ের নিজস্ব ৩ একরের একটি দিঘি আছে। খেলার জন্য ৪ একরের একটি নিজস্ব মাঠ আছে যা কৈমারী মাঠ নামে পরিচিত। এবং ৩২ দোকান বিশিষ্ট একটি মার্কেট আছে যা স্কুল মার্কেট নামে পরিচিত।
শিক্ষাদান
এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড অনুমোদিত ২ টি বিভাগ (বিজ্ঞান + মানবিক) ছিলো। এখন তার সাথে নতুন করে কারিগরি যোগ করা হয়েছে।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
বিদ্যালয়টিতে ছাত্রদের সমন্বয়ে একটি স্কাউট দল, সততা সংঘ ও সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য একটি ক্লাব রয়েছে। এদের সমন্বয়ে বিদ্যালয়ে পরিষ্কার পরিছন্নতা অভিযান, বনায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
সফলতা
বিদ্যালয়য়ের ছাত্ররা এস.এস. সি ফলাফলে ভালো ফল অর্জন করেছে। এছাড়া আন্তস্কুল খেলাধুলায় শিক্ষার্থীরা উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে খেলে আসছে।