শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

Shahid Syed Nazrul Islam College
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ
অন্যান্য নাম
সৈনক
ধরনউচ্চ মাধ্যমিক
স্থাপিত০১/০৭/১৯৯৯ (01/07/1999)
অধ্যক্ষড. এ কে এম আবদুর রফিক
শিক্ষার্থী৩২০০+
অবস্থান,
শিক্ষাঙ্গন১৩, শ্যামাচরণ রায় রোড, (টাউনহল মোড়), ময়মনসিংহ।
ভাষাবাংলা
সংক্ষিপ্ত নামSSNIC
ওয়েবসাইটssnic.edu.bd

নামকরণ

১৯৮৯ সালে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর কয়েকজন প্রিয় ছাত্র, সহকর্মী এবং গুণগ্রাহী তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনকে ধরে রাখার প্রয়াসে ময়মনসিংহ শহরে প্রতিষ্ঠা করেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ। ১৯৯৯ সালের ১ জুলাই শহরের প্রাণ কেন্দ্রে শ্যামাচরণ রায় রোডে কাশি কিশোর কারিগরি বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একখণ্ড বাড়ীতে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে "শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ”।[1]

প্রতিষ্ঠার পটভূমি

১৯৮৯ সালে “শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ” প্রতিষ্ঠার পরপরই এই মহান ব্যক্তিত্বের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার উদ্দেশে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উঠে আসে সংগঠনের সভা গুলোতে। তবে আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণে অনেক সময় পেরিয়ে যায়। ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহ শহরে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ছাত্রদের অধ্যায়নের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান আনন্দ মোহন কলেজ থেকে সরকারী নির্দেশে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী উঠিয়ে দেয়া হলে অভিভাবকগণ হয়ে পড়েন উদ্বিগ্ন। শহরের অন্যান্য বেসরকারী কলেজ গুণগত মান সম্পন্ন না থাকায় কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানকে সরকার সরকারীকরণ না করায় বিষয়টি ময়মনসিংহবাসীর দাবীতে পরিণত হয়। ১৯৯৮ সালে ২৮ আগস্ট শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের সভায় একটি মান সম্পন্ন এবং শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের নামে কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আলোচ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। বেসরকারী ল্যাবরেটরী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সে সভায় প্রধান আইনজীবী এবং স্মৃতি পরিষদের আহবায়ক এম. জুবেদ আলী সাহেবের সভাপতিত্বে ময়মনসিংহ শহরে একই নামে একটি সরকারী ও একটি বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থাকায় বেসরকারী ল্যাবরেটরী উচ্চ বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে “সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজ” করার প্রস্তাব সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত হয় এবং এক পত্রে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা এবং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের পক্ষে অনুরোধ জানানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্কুলটির সিংহভাগ অভিভাবক সমর্থন জ্ঞাপন করেন। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ কাসেম তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ১৯৯৯ সালের ৬ মে জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত হন আনন্দ মোহন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর শামসুল ইসলাম, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আবুল কালাম, নেত্রকোণা সরকারী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর মজিবর রহমান, আনন্দ মোহন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মুজিবুর রহমান। সভায় প্রখ্যাত শিক্ষাবিদগণ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের নামে কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যোগকে এবং কলেজটি প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রদানের অঙ্গীকার করলে কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গতি পায়। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে ২০ সদস্য বিশিষ্ট কলেজ সাংগঠনিক কমিটি তথা প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়।

তাঁর নামেই প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যাপীঠ
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ ফটক

ভর্তি প্রক্রিয়া

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া তীব্র প্রতিযোগিতামূলক। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বোর্ড কর্তৃক প্রদানকৃত তালিকা থেকে ভর্তি করা হয়।

শিক্ষা কার্য্যক্রম

বাংলা মাধ্যমে এখানে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীতে পড়ানো হয়।

শিক্ষাক্রম

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে থাকে। এখানে বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের সুযোগ রয়েছে।

সহশিক্ষা কার্য্যক্রম

  • বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
  • দেয়াল পত্রিকা
  • স্বরস্বতী পূজা
  • বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

ফলাফল

প্রতি বছরই এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের শীর্ষ ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য স্থান করে নেয়।

শিক্ষাবর্ষ ছাত্রসংখ্যা উত্তীর্ণ ছাত্র পাসের শতকরা হার জি.পি.এ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রের সংখ্যা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অবস্থান তথ্যসূত্র
২০১০ ২৮২ ১৩তম
২০১১ ৩৩৬ ১৪তম
২০১২ ৫১২ ১৩তম
২০১৩ ৪৪৪ ৮ ম
২০১৪ ৬২১ ২১তম
২০১৫ ৯৯.২৩% ৩৯২ ৭ম
২০১৬ ৪৬৮
২০১৭ ৯৮.২৯% ৩১৯
২০১৮ ৯৮.৩৭% ২৪২
২০১৯ ১২৭২ ১২৫৮ ৯৮.৯০% ৩২৫ [2]

বিজ্ঞানাগার ও কম্পিউটার ল্যাব

বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য সমৃদ্ধ পদার্থ,রসায়নজীববিজ্ঞান বিজ্ঞানাগার আছে। একটি উচ্চ মানের কম্পিউটার ল্যাব-ও আছে।

গ্রন্থাগার

শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার সুবিধার জন্য একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার আছে।

মসজিদ

২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে সম্মানিত শিক্ষকদের সহায়তায় একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ স্থাপিত হয়।

পোশাক

  • ছাত্রঃ নেভি ব্লু প্যান্ট, সাদা ফুলশার্ট, কলেজ মনোগ্রামখচিত টাই ও কালো সু।
  • ছাত্রীঃ সাদা সালোয়ার কামিজ, বটলগ্রীন ওড়না ও বেল্ট, সাদা এপ্রন ও কালো বন্ধ সু।

গ্যালারি

তথ্যসূত্র

  1. "নামকরণ"। ২০১৫-০৮-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-১০
  2. । eboardresults https://eboardresults.com/app/stud/। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৯ অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.