লুই আরাগঁ
লুই আরাগঁ (ফরাসি: Louis Aragon) ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট ফরাসি রোম্যান্টিক কবি, ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার, সাংবাদিক ও রাজনীতিক। তার জন্ম ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩ অক্টোবর প্যারিস শহরে। তিনি বড় হয়েছেন মা ও নানির কাছে। তার পিতা লুই অ্যান্ড্রুক্স ছিলেন ফরক্যালকুয়ার সংঘের সিনেটর। তবে অ্যান্ড্রুক্স আরাগঁকে সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দেননি, যা পরবর্তী সময়ে আরাগঁর কাব্যকর্মকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়াস্নাত করেছিল।
লুই আরাগঁ | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | Louis Andrieux ৩ অক্টোবর ১৮৯৭ প্যারিস |
মৃত্যু | ২৪ ডিসেম্বর ১৯৮২ ৮৫) প্যারিস | (বয়স
জাতীয়তা | ফ্রান্স |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | Les Lettres françaises, Pour un réalisme socialiste |

১৯১৯ থেকে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শিল্প-সাংস্কৃতিক আন্দোলন দাদাইজমে তিনি ঘনিষ্টভাবে সম্পৃক্ত ছিরেন। তিনি ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে সুররিয়ালিজমের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ থেকেই তিনি ফরাসী কমিউনিস্ট পার্টির সমর্থক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে পার্টির পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। আরাগঁর কবিতা রিখেছেন বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় রূপবন্ধে। প্রচলিত ঘরানার কবিতা এবং নিরীক্ষাধর্মিতা উভয়েরই সমান গুরুত্ব ছিল তার কাছে। এ দুটো ধারায়ই তিনি নবপ্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর তিনি প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন।[1] আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম পথিকৃৎ কবি বিষ্ণু দে লুই আরাগঁর অনুরাগী ছিলেন; তার কবিতা বাংলায় তর্জমা করেছেন; তার বিষয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন। কবি লুই আরাগঁর একটি প্রসিদ্ধ উক্তি হলো: “পুরুষের ভবিষ্যত হচ্ছে নারী।” ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে রুশ বংশোদ্ভূত লেখিকা এলসা ট্রায়োলেটের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বহু কবিতায় আরাগঁ তার স্ত্রী এলসার জয়গাথা রচনা করেছেন।
তথ্যসূত্র
- "ইমরান হাসান সংকলিত তথ্যকণিকা"। ৬ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১০।
বহিঃসংযোগ
- J'arrive où je suis étranger poem with music, listenable on-line.