রোগী

রোগী (ইংরেজিতেঃ Patient) স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণকারী ব্যক্তিবিশেষ। সাধারণতঃ একজন রোগী অসুস্থতাজনিত, আঘাতজনিত কিংবা অন্য কোন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য ডাক্তার, নিবন্ধনকৃত নার্স, পশু ডাক্তার অথবা স্বাস্থ্য সেবায় জড়িত ব্যক্তির শরণাপন্ন হন।

রোগী শব্দটির অর্থ হচ্ছে 'যিনি রোগে ভুগছেন'। ল্যাটিন শব্দ প্যাশিয়েন্স থেকে ইংরেজি প্যাশেন্ট শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে।

বিকল্প পরিভাষা

মর্যাদা, মানব অধিকার এবং রাজনৈতিক সচেতনতার কারণে রোগী শব্দটি স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের সময় অনেকক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না। অন্য বিকল্প পারিভাষিক শব্দ হিসেবে অনেক সময় স্বাস্থ্য গ্রহীতা, স্বাস্থ্য সেবা গ্রহীতা বা ক্লায়েন্ট শব্দের প্রয়োগ ঘটে থাকে।

রোগীর ধরণ

ভর্তিকৃত রোগী ইন-পেশেন্ট বা অন্তঃরোগী নামে পরিচিত। যিনি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে ভর্তি হন এবং কয়েক দিন-রাত সেখানে অবস্থান করেন তিনি ইন-পেশেন্ট রোগী হিসেবে চিহ্নিত। অনেকক্ষেত্রে তিনি বেশকিছু দিন অথবা কয়েক সপ্তাহও অবস্থান করে থাকেন। ব্যতিক্রম হিসেবে কোমা বা কেমোথেরাপীর জন্য ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা কয়েক বছরপর্যন্ত হাসপাতালে সেবা গ্রহণ করেন। চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন ইন-পেশেন্ট কেয়ার নামে পরিচিত। ভর্তিকৃত রোগীর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংরক্ষণ করেন। হাসপাতাল থেকে চলে যাবার সময়কে ডিসচার্জ নামে অভিহিত করা হয়। এ সময়ও অর্থাৎ চলে যাবার সময়-তারিখও কাগজ-পত্রে উল্লেখ করা হয় যা রিলিজ অর্ডার বা ছাড়পত্র নামে পরিচিত।

সাধারণতঃ ভুল চিকিৎসা ও অপর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ভর্তিবিহীন বা বাইরের রোগীরা উপলদ্ধি করেন। জাতীয় ঔষধ প্রতিষ্ঠানে প্রকাশিত ১৯৯৯ সালের প্রতিবেদনে মানুষ মাত্রই ভুল কথার উল্লেখ আছে।report এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর নিরাময়যোগ্য ভর্তিকৃত রোগীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ৯৮,০০০ রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।[1]

যে-সব রোগী ২৪ ঘন্টা বা তারও আগে হাসপাতালে ভর্তি হন নাই অথবা যিনি হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনোসিস বা চিকিৎসা গ্রহণের জন্য পরিদর্শন করেছেন - তিনি আউটপ্যাশেন্ট বা বহিঃরোগী নামে পরিচিত। চিকিৎসা পদ্ধতির এ ধরনকে অস্থায়ী সেবা নামে অভিহিত করা হয়। এ ধরনের বহিঃরোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় না, ঔষধের মাত্রাও কমিয়ে দেয়া হয় এবং চিকিৎসকগণও তাদেরকে তেমন সময় দেন না। চিকিৎসকের কক্ষে বিশেষতঃ অফিস কক্ষে রোগীকে সেবা দেয়া হয়; কিন্তু হাসপাতালের অপারেশন কক্ষে নয়। শারীরিকভাবে সমর্থবান অল্প বা মাঝারি ধরনের রোগ যেমনঃ কান, নাক, গলা ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত বহিঃরোগীর জন্য উপযুক্ত।

রোগীর সন্তুষ্টি

মূলতঃ স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মঘন্টার সময়সীমা, সেবা প্রদানে সক্ষমতা, দক্ষতা ও সুনামের উপর রোগীর সন্তুষ্টতা নির্ভরশীল। পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা, আন্তরিকতা এবং রোগীর প্রতি তারা কতটুকু দায়িত্বশীল ও যত্নবান তার উপরও এ সন্তুষ্টি অনেকাংশে নির্ভর করে।[2] এ সন্তুষ্টির অধিকাংশই চমৎকার ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ককে ঘিরে গড়ে উঠে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আর্থিক সক্ষমতা, সময়সীমা ইত্যাদি বিষয়গুলোসহ ধৈর্য্য সহকারে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করা - অর্থাৎ সবকিছু ছাঁপিয়ে যায় রোগী-ডাক্তারের চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপর।[2]

তথ্যসূত্র

  1. Janet, Howard। "Malpractice Lawsuits Shed Light on Ailing Outpatient System"My Advocates। ২৬ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১১
  2. Simple Tips to Improve Patient Satisfaction By Michael Pulia. American Academy of Emergency Medicine. 2011;18(1):18-19.

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.