রেবা রক্ষিত

১৯৩০ দশকের প্রারম্ভে অবিভক্ত বাংলার কুমিল্লার একটি হিন্দু পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বালিকা বয়স থেকেই শরীর চর্চার প্রতি ছিল তার প্রবল আগ্রহ। দেশভাগের পর তার পরিবারের সাথে তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং বিষ্ণু চরণ ঘোষের আখড়ায় যোগ দেন। সেখানে মনতোষ রায় এবং কমল ভাণ্ডারীর মত ব্যক্তিদের সাথে তার অনুশীলন চলতে থাকে। ১৯৫০ সালের শুরুর দিকে তাকে মিস বেঙ্গল ফর বডি বিল্ডিং খেতাব দেওয়া হয়েছিল।

পঞ্চাশের দশকের গোড়ার দিক থেকেই রেবা রক্ষিত সার্কাসে খেলা দেখাতে শুরু করেন[3]। তার প্রদর্শিত বিস্ময়কর কৌশলগুলির মধ্যে অন্যতম হল বুকের উপরে হস্তী উত্তোলন। ১৯৬০ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত এই পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি কমলা সার্কাস, ইন্টারন্যাশনাল সার্কাস, জেমিনি সার্কাসের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এমনকি [4] দুর্গা পূজার সময় আঞ্চলিক ক্লাবগুলিতেও তিনি তার কলা কৌশল প্রদর্শন করতেন। শুধু তাই নয়, একজন ভালো স্যুটারও[5] ছিলেন তিনি। শেষ জীবনে তিনি দেহচর্যা-প্রশিক্ষকরূপে এবং সামাজিক কাজে আত্মনিয়োগ করেন[4]।

তার কীর্তির জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাকে পদ্মশ্রী খেতাব দেওয়া হয় এবং হায়দ্রাবাদের নবাব তাকে দেবী চৌধুরানী[4] উপাধিতে ভূষিত করেন।