রুমিন ফারহানা

রুমিন ফারহানা হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য।[4] তিনি জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৮ মে “সংসদ সদস্য” পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।[1]

মাননীয় সংসদ সদস্য
রুমিন ফারহানা
২০১৮ তে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২৮ মে ২০১৯ [1]  চলমান
সংখ্যাগরিষ্ঠবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1981-08-19) ১৯ আগস্ট ১৯৮১ [2]
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বিজয়নগর
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
পিতামাতাঅলি আহাদ (পিতা)
রাশিদা বেগম (মাতা) [3]
বাসস্থানল্যাবরেটরি রোড, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫ [3]
প্রাক্তন শিক্ষার্থীভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতি
জীবিকাআইনজীবী
যে জন্য পরিচিতনারী রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী
ধর্মইসলাম

জন্ম ও শিক্ষা জীবন

রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অলি আহাদ বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী ভাষা সৈনিক। তার দাদা আবদুল ওহাব ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রার ছিলেন। রুমিন হলিক্রস স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে তার স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং যুক্তরাজ্যের লিংকনস্‌ ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। [5]

রাজনৈতিক জীবন

রুমিন ফারহানা বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। ব্যারিস্টার হিসেবে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে আইনী পেশায় কাজ করেন। ২৮ মে ২০১৯ বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ নং আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[4] একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির একমাত্র নারী সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন।[5][6]

কর্মজীবন

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য। তিনি আইন ও রাজনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশী লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উচ্চ আদালত বিভাগের আইনজীবী। [2] এছাড়া বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক। [7]

পারিবারিক জীবন

রুমিন পরিবার থেকেই রাজনৈতিক দীক্ষা পান। তার পিতা অলি আহাদ ভাষা আন্দোলনে ১৫৪ ধারা ভঙ্গের নায়ক। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। এ কারণে উনি স্বাধীনতা পুরস্কার পান। অলি আহাদ তার জীবনের দীর্ঘ ১৯ বছর তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। রাজনীতি করেছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানীশেখ মুজিবুর রহমানের সাথে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। রুমিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন। [8]

প্রকাশিত গ্রন্থ

  • আমাদের রোজনামচা [7]

পুরস্কার, স্মারক ও সম্মাননা

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বিএনপির রুমিন ফারহানা"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম অনলাইন। ২৮ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৯
  2. "আইনজীবী প্রোফাইল"ঢাকা আইনজীবী সমিতি। অফিসিয়াল সাইট। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৯
  3. "রুমিনের প্লট ও ডিসির খাস কামরা"ডয়চে ভেলে বাংলা। ২৬ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯
  4. "১১ম জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা (বাংলা)"জাতীয় সংসদের অফিসিয়াল সাইট। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৯
  5. রুমিন ফারহানার, সাক্ষাতকার (৪ জুন ২০১৯)। "The Multifaceted Lawyer"ভাষা- বাংলাদ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৯
  6. "কে এই রুমিন ফারহানা?"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২০ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৯
  7. "আমাদের রোজনামচা (হার্ডকভার)"রকমারি.কম। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৯
  8. "এ কী বললেন রুমিন ফারহানা"Daily Nayadiganta। ২০১৯-০৮-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৭
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.