রফিকুল হক

রফিকুল হক বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ছড়াকার। তিনি শিশু সংগঠন চাদেঁর হাটের প্রতিষ্ঠাতা।[1] তিনি দাদু ভাই নামে সমধিক পরিচিত।[2] পেশাগতভাবে তিনি একজন সাংবাদিক।[3]

রফিকুল হক
জন্ম১৯৩৭
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণছড়াকার

জন্ম,শিক্ষা পরিবার

তার জন্ম ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে রংপুরে। তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে বি, এ পাস করেন। [4]

ছড়া

তার ছন্দজ্ঞান অসাধারণ, বিষয়বৈচিত্র্য তুলনারহিত এবং শব্দের কারিগরি অভিনব ও দৃষ্টান্তমূলক। তার ছড়া সমাজ সচেতন। ১২ নভেম্বর ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে প্রবল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে মাত্র এক রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে সমুদ্রের উপকূলবর্তী স্থানের কয়েক লক্ষ মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ঘরবাড়ি, গবাদি পশু কিছুই রক্ষা পায়নি। দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় তিনি ছড়া লিখলেন,

ছেলে ঘুমলো বুড়ো ঘুমলো ভোলাদ্বীপের চরে

জেগে থাকা মানুষগুলো মাতম শুধু করে

ঘুমো বাছা ঘুমো রে

সাগর দিলো চুমো রে

খিদে ফুরোলো জ্বালা জুড়লো কান্না কেন ছি

বাংলাদেশের মানুষ বুকে পাষাণ বেঁধেছি।

সাংবাদিকতা

তিনি বহু বাংলা সংবাদপত্রে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় কর্মরত। ১৯৭৫ পর্যন্ত তিনি দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার ফিচার এডিটরের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত তিনি কিশোর বাংলা পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর তিনি দৈনিক রূপালী পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

কিশোর বাংলার সম্পাদনা

তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকার কার্যনর্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

চাঁদের হাট

তনি দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় শিশুদের পাতা চাঁদের হাট সম্পাদনা করতেন। তারই সূত্রে তিনি ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠান চাদেঁর হাট প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রকাশনা

তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৭টি।

    পুরস্কার

    • বাংলা একাডেমী পুরস্কার - ২০০৯

    [5]

    তথ্যসূত্র

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.