রত্নাপুরা

রত্নাপুরা[1] হল শ্রীলঙ্কার সুবারাগামুয়া প্রদেশ এর একটি শহর। এই প্রদেশের বৃহত্তম শহর ও রাজধানীও রত্নাপুর। এই শহরটি দেশের ঐতিহাসিক একটি শহর। শহরটিকে কেন্দ্র করে শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ধর্ম ছড়িয়ে পড়ে। শহরটি মূল্যবান পাথরের জন্য বিখ্যাত। এখানকার আদম পার্ক খুবই বিখ্যাত পর্যটকদের মধ্যে। এই শহরে একটি মূল্যবান পাথরের জাদুঘর রয়েছে।

রত্নাপুরা
রত্নাপুরা ঘড়ি স্তম্ব
রত্নাপুরা
স্থানাঙ্ক: ০৬.৪৮° উত্তর ৮০.৫৫° পূর্ব / 06.48; 80.55
আয়তন
  মোট২০ কিমি (৮ বর্গমাইল)
উচ্চতা১৩০ মিটার (৪৩০ ফুট)
জনসংখ্যা (২০০১)৫২,১৭০

নামকরণ

এই শহরে প্রাচীন কাল থেকেই প্রচুর পাথর পাওয়া যায়।এই কারনে শহরটিকে রত্নাপুর নামে পরিচিত হয়।রত্নাপুর শব্দটি একটি সংস্কিত শব্দ।রত্না কথার অর্থ হল মূল্য বাত মূল্যবান পাথর ও পুরা কথার অর্থা শহর বা গঞ্জ।অর্থাৎ রত্নাপুরা কথার অর্থ হল মূল্যবান পাথর বা মনি মুক্তার শহর।

ইতিহাস

রত্নাপুরা শহরটি খুবই প্রাচীন।এই শহরের ইতিহাস ২০০০ বছরের ও বেশি প্রাচীন।এই সময় শহরটিকে কেন্দ্র করে বৌদ্ধ ধর্ম ছরিয়ে পরে।শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারে রত্নাপুরার অবদান অপরিসীম।এই সময় বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে এই এলাকায় সংস্কৃত ও পালি ভাষার প্রচলন হয়।এর পর অনেক পরে যখন উপমহাদেশে ব্রিটিশ সাশন শুরু হয় তখন এই শহরের ব্রিটিশ সাশন চালু হয়।এই সময় খ্রিস্টান ধর্মেন প্রসার ঘটে।প্রচীন কাল থেকেই শহরে মূল্যবান পাথরের উৎপাদন হত।এই পাথরের জন্য দূর দূর থেকে বনিকরা ছুটে আসত এই শহরে।দেশ স্বাধীনতার পর রত্নাপুরা কে সরকার পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলার চেষ্টা করে।এর পর থেকে এই শহরে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটে।

জনসংখ্যা

২০০১ সালের দেশের জন গননায় শহরটির মোট জন সংখ্যা হয়েছে ৫২,১৭০ জন।এই জন সংখ্যার মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ সংখ্যা গরিষ্ট।এছাড়া শহরে হিন্দু,খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মের মানুষ এই শহরে রয়েছে।

অবস্থান

রত্নাপুরা শহরটি সমুদ্র সমতল থেকে মোট ১৩০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।এটি দেশের মধ্য ভাগের উচ্চ ভূমিতে অবস্থিত।শহরটি ৬.৪০ উত্তর ডিগ্রী ও ৮০.৪০ ডিগ্রী পূরে অবস্থান করছে।শহরটি দেশের বৃহত্তম শহর কলম্বো থেকে ১০১ কিলোমিটার বা ৬৫ মাইল দূরে দেশরের মধ্য ভাগে অবস্থান করছে।এই শহর থেকে হাম্বানটোটা শহরটি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বা ৯০ মাইলের বেশি দূরে অবস্থিত।শহরটি থেকে দেশের পূর্ব উপকূল ভাগ প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

এই শহরে ন্যার গেজ রেল ব্যবস্থা চালু রয়েছে।এছাড়া শহরটি বাস পরি সেবা দ্বারা দেশের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যুক্ত।জাতীয় মহাসড়ক ৪ (শ্রীলঙ্কা) দ্বারা শহরটি কলম্বো ও পূর্ব প্রদেশের শহর এর সঙ্গে যুক্ত।এছাড়া শহরটির মধ্য দিয়ে জাতীয় মহাসড়ক ৮ (শ্রীলঙ্কা) চলে গেছে।

শিক্ষা ব্যবস্থা

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.