মোর্স কোড

মোর্স কোড কোন ভাষার বর্নকে কোডে রুপান্তরের একধরনের পদ্ধতি যা দিয়ে এক ধরনের ছন্দের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ করা হয়। স্যামুয়েল মোর্স ১৮৪০ সালে বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ যোগাযোগের জন্য প্রথম এ কোড তৈরি করেন।

আন্তর্জাতিক মোর্স কোড

মোর্স কোড কোন উপাদানের "সংক্ষিপ্ত এবং দীর্ঘ" এ দুটি অবশ্যকীয় উপাদান নিয়ে গঠিত। এক্ষেত্রে কোন উপাদানের "সংক্ষিপ্ত এবং দীর্ঘ" এ দুটি রূপের এক ধরনের পর্যায়ক্রম যার মাধ্যমে কোন তথ্যের বর্ন, সংখ্যা, যতি-চিহ্ন ইত্যাদিকে উপস্থাপন করা যায়।
এতে এই "সংক্ষিপ্ত এবং দীর্ঘ" উপাদান হিসেবে শব্দ, চিহ্ন, স্পন্দন, কোন যন্ত্রের সুইচ অন বা অফ এবং সাধারনভাবে ব্যবহৃত "ডট(ডিট)" এবং "ড্যাশ(ডাহ্)" ইত্যাদি ছাড়াও আরো অসংখ্য জিনিস ব্যবহার করা যেতে পারে। "ওয়ার্ড পার মিনিট" হিসাবে মোর্স কোড হিসাব করা হয়ে থাকে।

ব্যবহার

রেডিও যোগাযোগের জন্য প্রথম দিকে মোর্স কোড ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হত। এমন কি বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকেও টেলিগ্রাফ লাইন, সমূদ্রের নীচের কেবল এবং রেডিও সার্কিটে দ্রুতগতির যোগাযোগ মোর্স কোডের মাধ্যমে করা হত।

পেশাগত ভাবে পাইলট, এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনকারী, জাহাজের ক্যাপ্টেন, সামুদ্রিক স্টেশন চালনাকারীদের মোর্সকোডে খুবই ভাল দক্ষতা থাকতে হয়।

আকাশে বিমান চালানোর সুবিধার্থে গঠিত বিভিন্ন বেইজ স্টেশন যেমন VHF Omni-directional Radio Range (VORs); Non-Directional Beacon (NDB) আকাশে চলমান বিমানের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে জন্য প্রতিনিয়ত নিজেরদের অস্তিত্ত্ব জানান দিতে মোর্স কোডের ব্যবহার করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল কমিউনিকেশন কমিশন এখনো সামুদ্রিক যোগাযোগের জন্য মোর্সকোড ব্যবহার করে।

মোর্স কোডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি নানারকম ভাবে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা যায়। শব্দ, চিহ্ন, পাল্স, রেডিও সিগনাল, রেডিও অন অফ, আয়নার আলো, লাইট অন অফ ইত্যাদি নানা উপায়ে মোর্সকোডের মাধ্যমে তথ্য প্রেরন করা যায়। একারণেই S O S মেসেজ পাঠানোর জন্য মোর্স কোড সবচেয়ে উপযোগী।

উপাদান

সাধারণত দুটি উপাদানের মাধ্যমে কিছু প্রকাশ করতে আরও তিনটি উপাদান দরকার হয়। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে কিছু প্রকাশ করতে প্রকৃতপক্ষে পাঁচটি উপাদান দরকার। উপাদানগুলো নিম্নে দেয়া হল :

  1. ( . ) যাকে ‘ডট’ বা ‘ডিট’ বা ‘টরে’ বলে।
  2. ( -) যাকে বলে ‘ডেশ’ বা ‘ ডাহ্’ বা ‘টক্কা’।
  3. ডট এবং ডেশের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান। (ফাঁকা স্থানটাই উপাদান)
  4. দুটি বর্ণের মধ্যের ফাঁকা স্থান।
  5. দুটি শব্দের মধ্যের ফাঁকা স্থান।

উপরিউক্ত উপাদানগুলোই বিভিন্ন বিন্যাসে ব্যবহার করে মোর্স কোডের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। মোর্সকোডের উপাদান পাঁচটি হলেও যেহেতু এর মূল উপাদান দুটি তাই একে বাইনারির মাধ্যমও প্রকাশ করা যায়।

বহিঃসংযোগ

ইংরেজি লিখাকে মোর্স কোডে রুপান্তরের অনলাইন টুল

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.