মালদ্বীপের শিল্প

মাছ ধরা

খুঁটি এবং লাইন পদ্ধতিতে মাছধরা

প্রাচীনকাল থেকেই, মালদ্বীপ এর দ্বীপপুঞ্জে খুঁটি এবং লাইন পদ্ধতিতে মাছ ধরা হয়। এই পদ্ধতির দ্বারা বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরা হয় যেমন,  টুনা,[1] লাফানো টুনা, ফ্রিগেট এবং ম্যাকেরেল। প্রধানত ধরা হয় টুনা মাছ, যা বাসিন্দাদের দৈনন্দিন খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়, সেইসাথে বিভিন্ন ধরনে রপ্তানি কার হয়। দৈনন্দিন ধরার ব্যাপারটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঋতুর উপর নির্ভর করে। যদিও ত্রিভুজবাহী যান “ধোনি” অতীতে ব্যবহার করা হতো, আজকের দিনে মাছ ধরার ধোনিগুলি যান্ত্রিক করা হয়েছে।

ঐতিহ্যগতভাবে, জেলেরা টোপ মাছের সন্ধানে ভোর হয়ে বের হত এবং এগুলোকে ধোনিতে[1] একটি বিশেষভাবে প্রস্তুত কুঠরির মধ্যে জিইয়ে রাখা হত।[1] আট বা নয় জন পুরুষ প্রকৃত মাছ ধরার কাজ করত। খুঁটিগুলো হল ছোট যেগুলো একটি লাইনে এবং হুক দিয়ে আটকানো হয়। অনুকূল ঋতুর সময়, প্রতিদিন প্রতি ধোনিতে প্রায় এক হাজার মাছ ধরা হয়।  ঐতিহ্যগতভাবে, জেলেরা দ্বীপপুঞ্জে রাতের বেলায় ফিরে আসত, যান্ত্রিক ধোনির আবির্ভাবের সাথে সাথে এখন বিকেলের মধ্যেই ফিরে। মালদ্বীপের  সর্বাধিক ধৃত মাছ হল লাফানো টুনা এবং হলুদ পাখনাওয়াল টুনা।

শিল্পকৌশলে মাছধরা

১৯৭৪ সালে ঐতিহ্যগত পালতোলা ‘ধোনি’ কে যান্ত্রিকীকরণ  করার ফলে মালদ্বীপের মৎস্য শিল্পে বিপ্লব ঘটে গেছে। [1] বিশেষ করে যান্ত্রিকীকরণের জন্য ডিজাইন করা একটি নতুন প্রজন্মের ধোনি চালু করা হয়েছিল। একটি জাপানী কোম্পানির সাথে যৌথ উদ্যোগ হিসাবে ১৯৭৭ সালে একটি মাছ-ক্যানিং কারখানা স্থাপন করা হয়েছিল। ১৯৮২ সালে সরকার যখন এই স্থাপনার একক অধিকার নেয়, তখন নির্মাণ ও সরঞ্জামের খারাপ  অবস্থার কারণে এটি বিদেশী চাহিদার সাথে খাপ খাওয়াতে পারেনি। ফলে ১৯৮৬ সালে একটি নতুন কারখানা স্থাপন করা হয়। মালদ্বীপ নিপ্পন কর্পোরেশন গঠিত হয় জাপানের মারুবিনি কর্পোরেশনের সাথে অংশীদারিতে ১৯৭৯ সালে।[2] এটি প্রতিষ্ঠিত হয় টুনা  মাছ প্রক্রিয়াজাত এবং ক্যান করার জন্য।[2] একই বছরে, মালদ্বীপ মৎস্য কর্পোরেশন গঠন করা হয় মাছের সম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য।[2]

পর্যটন শিল্প

নীল আকাশের নীচে সাদা বালুকাময় সৈকত, পরিষ্কার পানি এবং পাম গাছের ঢেউ মালদ্বীপকে একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থানে পরিণত করেছে। ১৯৭০’র দশকের প্রথম দিকে মালদ্বীপে পর্যটন শুরু হয়। প্রথম দুটি রিসর্ট এর মধ্যে দ্বীপপুঞ্জ ২৮০টি বেড ছিল। প্রথমদিকে পর্যটকরা বেশিরভাগই ব্যক্তি বা ছোট গ্রুপ হিসাবে আসত। খুব শীঘ্রই, মালদ্বীপ একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে স্বীকৃত হতে থাকে।

আরো দেখুন

  1. মালদ্বীপের অর্থনীতি

তথ্যসূত্র

  1. "Fishing industry in the Maldives"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৮
  2. "Fishing"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৮
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.