মার্ক জাকারবার্গ
মার্ক জাকারবার্গ, মার্ক জুকারবার্গ বা মার্ক যুকারবার্গ (ইংরেজি: Mark Elliot Zuckerberg; জন্ম: ১৪ মে, ১৯৮৪) একজন আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার। তার পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ। যার আসল পরিচিতি হল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেইসবুক প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। তিনি বর্তমানে ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রেসিডেন্ট। জাকারবার্গ এবং তার কয়েকজন সহপাঠী মিলে ২০০৪ সালে এটিকে একটি ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন যখন তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই জাকারবার্গ টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বছরের সেরা ব্যক্তিত্বরূপে নির্বাচিত হয়েছেন।[5]
মার্ক জাকারবার্গ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() মার্ক জাকারবার্গ: ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা | |||||||
জন্ম | মার্ক এলিয়েট জাকারবার্গ মে ১৪, ১৯৮৪ হোয়াউট প্লাইন, নিউইয়র্ক | ||||||
জাতীয়তা | আমেরিকান | ||||||
যেখানের শিক্ষার্থী | হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ছেড়ে দেন ২০০৪ সালে) | ||||||
পেশা | প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ফেইসবুক (২০১০ সালের ২৪%শেয়ার হোল্ডার)[1] | ||||||
কার্যকাল | ২০০৪–বর্তমান | ||||||
পরিচিতির কারণ | ফেইসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিওনিয়র[2] | ||||||
আদি নিবাস | ডবস ফেরি,নিউইয়র্ক | ||||||
বার্ষিক সম্পত্তি | ইউএস$৭৬.৯ বিলিয়ন[3] (জুন ২০১৮) | ||||||
আত্মীয় | রান্ডি জাকারবার্গ (বোন) | ||||||
পুরস্কার | বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব, ২০১০ (টাইম ম্যাগাজিন) | ||||||
| |||||||
ওয়েবসাইট | Facebook.com/MarkZuckerberg |
প্রারম্ভিক জীবন
১৯৮৪ সালে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন এলাকাতে মনোচিকিৎসক ক্যারেন ও দন্তচিকিত্সক জাকারবার্গের ঘরে জন্ম নেন মার্ক জাকারবার্গ।[6][7] জাকারবার্গের তিন বোন রয়েছে, র্যান্ডি, ডোনা এবং এরিএল।[8] জাকারবার্গ একজন ইহুদী হিসেবে বেড়ে উঠেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি নিজেকে একজন নাস্তিক হিসেবেই বর্ণনা করেন।[9][10][11]
আর্ডসেলি হাই স্কুলে জাকারবার্গ গ্রিক এবং ল্যাটিন ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তিনি ফিলিপস এক্সটার একাডেমীতে স্থানান্তরিত হন। সেখানে তিনি বিজ্ঞান এবং ক্লাসিক্যাল শিক্ষায় পুরস্কৃত হন। তিনি অসিক্রীড়া তারকা ছিলেন এবং অসিক্রীড়া দলের অধিনায়ক ছিলেন।[11][12][13][14] কলেজে তিনি মহাকাব্যিক কবিতার লাইন থেকে আবৃত্তি করার জন্য পরিচিত ছিলেন।[12]
ফেইসবুক প্রতিষ্ঠা
২০০৪ সালে হার্ভার্ডে পড়ার সময় বন্ধুদের সাথে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেইসবুক ডট কম।
সম্মাননা
২০১০ সালে ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মার্ক জাকারবার্গ বিশ্বের সর্বাধিক পঠিত সাপ্তাহিক টাইম ম্যাগাজিন কর্তৃক তাদের প্রচ্ছদে ঠাঁই করে নেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টাইম ম্যাগাজিন ঐ বছর তাকে পারসন অব দ্য ইয়ার হিসেবে মনোনীত করেছিল।[15]
তথ্যসূত্র
- David Kirkpatrick। The Facebook Effect। পৃষ্ঠা 322।
- Kroll, Luisa, সম্পাদক (মার্চ ৫, ২০০৮)। "In Pictures: Youngest Billionaires: Mark Zuckerberg, U.S.: Age 23: $1.5 billion, self-made"। Forbes। ডিসেম্বর ৫, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- Newmark, Craig (এপ্রিল ৩০, ২০০৯)। "The 2008 TIME 100"। Time magazine।
- টাইম ম্যাগাজিন (১৫ ডিসেম্বর ২০১০)
- Malone, Jasmine (১৫ ডিসেম্বর ২০১০)। "Mark Zuckerberg wins Time person of the year: profile"। The Daily Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- "The Zuckerbergs of Dobbs Ferry", New York, নং ১৪ মে ২০১২, সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
- Vargas, Jose Antonio (২০ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "The Face of Facebook"। The New Yorker। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- Boggan, Steve (২১ মে ২০১০)। "The Billionaire Facebook Founder making a fortune from your secrets (though you probably don't know he's doing it)"। Daily Mail (UK)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- Vara, Vauhini (২৮ নভেম্বর ২০০৭)। "Too Much Information?"। The Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- David (২০১০)। The Facebook Effect: The Inside Story of the Company That Is Connecting the World। New York City: Simon & Schuster। পৃষ্ঠা 20–21। আইএসবিএন 978-1-4391-0211-4। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- McDevitt, Caitlin (৫ মার্চ ২০১০)। "What We Learned About Mark Zuckerberg This Week"। The Big Money। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- Grynbaum, Michael M. (১০ জুন ২০০৪)। "Mark E. Zuckerberg '06: The whiz behind thefacebook.com"। The Harvard Crimson। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- Heffernan, Virginia (১০ ডিসেম্বর ২০১০)। "Looking for the Real Mark Zuckerberg"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ডয়চে ভেলে'র প্রতিবেদনঃ টাইম-এর ব্যতিক্রমী প্রচ্ছদের কথা, সংগ্রহ: ২০ ডিসেম্বর, ২০১১ইং