মারা ভাষা
মারা বা লাখের উত্তর পূর্ব ভারতের মিজোরাম রাজ্যের দক্ষিণাংশ ও মিয়ানমারে প্রচলিত কুকি-চিন ভাষাপরিবারের অন্তর্গত একটি উপজাতি ভাষা৷ মারা জনগোষ্ঠীর লোক এই ভাষাতে কথা বলেন৷
মারা ভাষা | |
---|---|
লাখের/শেন্দু/যোছিয়া/মিরাম | |
দেশোদ্ভব | মিজোরাম, ভারত ও মায়ানমার |
জাতিতত্ত্ব | মারা জনগোষ্ঠী |
মাতৃভাষী | প্রায় ৮০ হাজার (২০১১)[1]
|
চীনা-তিব্বতি
| |
উপভাষাসমূহ |
|
লাতিন | |
সরকারি অবস্থা | |
সংখ্যালঘু ভাষায় স্বীকৃত | |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | mrh |
গ্লোটোলগ | mara1382 [2] |
ভাষাটি চিনা-তিব্বতি ভাষাপরিবারের একটি ভাষা৷ দক্ষিণ মিজোরামের স্বশাসিত মারা ক্ষেত্রীয় পরিষদ এই ভাষাটিকে বিদ্যালাভের মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট পাঠ্যপর্ষদে সপ্তম শ্রেণী অবধি মারা ভাষা শেখা ও ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক৷
বিস্তৃতি
দক্ষিণ মিজোরামের পূর্বতন ছিম্তুইপুই জেলার ৬০ টি গ্রামে মারা জনগোষ্ঠীর মানুষ এই ভাষাতে কথা বলেন৷ মারা ভাষাটি মিজোরাম ছাড়াও মায়ানমার রাষ্ট্রের চিন রাজ্যে প্রায় ৩০,০০০ লোকের ভাষা এটি৷
সমগ্র ভারতে ৪২৪২৫ জন মারাভাষীর জনবিন্যাস নিম্নরূপ-[3]
সাইহা জেলা - ৪০৮১৪ জন
মিজোরামের অন্যান্য জেলাতে - ১০৬২ জন
ভারতের অন্যান্য রাজ্যে - ৫৪৯ জন
উপভাষাসমূহ
মারা ভাষার অঞ্চল ও দেশভেদে বিভিন্ন উপভাষা রয়েছে যেমন - ত্লোসিয়া, হঠাই, জিহ্নো, সিজো, জোফেই, হেইমা, লিয়ালাই৷
এই উপভাষাগুলির মধ্যে ভারতে তথা সমগ্র মারা জনগোষ্ঠী|মারা জনগোষ্ঠীর লোক ত্লোসিয়াকে প্রমিত মারা ভাষার উপমা দিয়ে থাকেন৷
অক্ষরবিধি
মারা ভাষা লাতিন বর্ণমালাতে লেখা হলেও কিছু একক বৈশিষ্ট বিদ্যমান৷ এটি ইংরাজী ভাষার মতোই ছোটা ও বড়ো হাতের অক্ষর ব্যবহার করে লেখা হয়৷ অক্ষরমালা ও তার বাংলা উচ্চারণ অনুবাদ নিম্নরূপ -
A(আ), AW(অ্য), Y(য়), B(ব), CH(চ়), D(ড), E(এ), F(ফ়), H(হ), I(ই), K(ক), L(ল), M(ম), N(ন), NG(ঙ), O(ও), Ô(অ), P(ফ), R(র), S(স), T(ট), U(উ), V(ভ়), Z(জ়)
ছোটো হাতের অক্ষরগুলিও অনুরূপ ও লাতিন বর্ণমালাসদৃৃশ৷
তথ্যসূত্র
- এথ্নোলগে মারা ভাষা (১৮তম সংস্করণ, ২০১৫)
- হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "মারা চীন"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html