টগর
টগর ঝোপঝাড়বিশিষ্ট চিরহরিৎ গাছ। আগে টগরের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ছিল Ervatamia coronaria stapf.। এখন বৈজ্ঞানিক নাম Tabernaemontana divaricata (L.) Br., যা Apocynaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটি গর্ভশীর্ষ পুষ্প ৷[1]
Tabernaemontana | |
---|---|
Crape Jasmine, Tabernaemontana coronaria | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
(শ্রেণীবিহীন): | Angiosperms |
(শ্রেণীবিহীন): | Eudicots |
(শ্রেণীবিহীন): | Asterids |
বর্গ: | Gentianales |
পরিবার: | Apocynaceae |
উপপরিবার: | Rauvolfioideae |
গণ: | Tabernaemontana |
Species | |
About 100-110, see text | |
প্রতিশব্দ | |
Ervatamia |
বিভিন্ন নাম
বাংলাদেশের সিলেটে একে দুধফুল বলে ডাকা হয়।[1]
- Tabernaemontana (একক টগর), কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
- থোকা টগর,টাঙ্গাইল,বাংলাদেশ
- থোকা টগর, টাঙ্গাইল,বাংলাদেশ
প্রকারভেদ
টগর দুই রকম- থোকা টগর ও একক টগর। বাংলাদেশ ও ভারতে এই দুই রকমের টগর পাওয়া যায়। একটি টগরের একক পাপড়ি, অন্যটির গুচ্ছ পাপড়ি। এদেরকে "বড় টগর" ও "ছোট টগর" বলা হয়।[1]
বিবরণ
ঝাঁকড়া মাথার জন্য টগর গাছ সুন্দর। ডালগুলোও সোজা ওঠে না, বহু শাখা-প্রশাখা নিয়ে ঝোঁপের মতো বাগানের শোভা বাড়ায়। সুন্দর করে ছেঁটে দিলে চমৎকার ঘন ঝোঁপ হয়। কলম করে চারা করা যায়, আবার বর্ষাকালে ডাল পুতলেও হয়। টগর সমতল ভূমির গাছ। পর্বতের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দেখা যায়। বাংলাদেশের বনে-বাদাড়ে টগর এমনিতেই জন্মে। টগরের কাণ্ডের ছাল ধূসর। গাছের পাতা বা ডাল ছিঁড়লে সাদা দুধের মতো কষ ঝরে বলে একে "ক্ষীরী বৃক্ষ" বলা যায়। পাতা ৪-৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা ও এক দেড় ইঞ্চি চওড়া হয়। পাতার আগা ক্রমশ সরু। ফুল দুধ-সাদা। সারা বছর ফুল ফোটে। থোকা টগরের সুন্দর মৃদু গন্ধ হয় কিন্তু একক টগরের গন্ধ নেই। ফুল থেকে ফলও হয়। তার মধ্যে ৩ থেকে ৬ত টি বীজ হয়। বড় টগরের বোঁটা মোটা এবং একক ফুল হয়। পাতাও একটু বড়।[1]
বিস্তৃতি
সারা পৃথিবীতে এই গণের ৪০ টি প্রজাতি আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে ৪টি প্রজাতি পাওয়া যায়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এই গাছ ভারত উপমহাদেশে এসেছে।[1]
ওষুধি গুণ
টগরের মূল ও শেকড় ওষুধে ব্যবহৃত হয়। শেকড় তেতো ও কটু স্বাদের। এতে কৃমি ও চুলকানি দূর হয়। ঘামাচিতে টগরের কাঠ ঘষে প্রতিদিন চন্দনের মতো গায়ে মাখলে উপকার হয়। অনেকে টগরের কাঁচা ডাল চিবিয়ে দাঁতের অসুখ সারায়।[1]
তথ্যসূত্র
- গাছপালা তরুলতা, বিপ্রদাশ বড়ুয়া; বাংলা একাডেমী, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে টগর সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |