মহাদেবী বর্মা

মহাদেবী বর্মা (২৬ মার্চ ১৯০৭ — ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭) একজন হিন্দিভাষী কবি ছিলেন। তিনি নারী শিক্ষার প্রাসারেও অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাকে "আধুনিক কালের মীরা" হিসাবে অভিহিত করা হয়।আধুনিক হিন্দি কাব্যধারার "ছায়াবাদ" ঘরানার (১৯১৪-১৯৩৪)একজন উল্লেখযোগ্য কবি মহাদেবী বর্মা ।এলাহাবাদে "প্রয়াগ মহিলা বিদ্যাপীঠ" এ তিনি বহুবছর অধ্যক্ষা এবং উপাচার্য ছিলেন।তিনি ১৯৭৯ সালে সাহিত্যে আজীবন অবদানের জন্য " সাহিত্যএকাদেমী পুরষ্কার" পান।এছাড়াও ১৯৫৬ সালে "পদ্মভূষণ" সম্মানে ভূষিত হন এবং ১৯৮৮ সালে "পদ্মবিভূষণ" সম্মানলাভ করেন।

মহাদেবী বর্মা
পেশাঅধ্যাপক ও লেখক
দাম্পত্য সঙ্গীডঃ স্বরূপ নারায়ণ বর্মা
পিতা-মাতাগোবিন্দ প্রসাদ বর্মা, হেমরানী দেবী

জীবনকাল

মহাদেবী ফারুকাবাদে এক কায়স্থ আইনজীবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা গোবিন্দ প্রসাদ বর্মা আর মাতা হেমা রানী।তার জগমহন আর মনমহন নামে দুটি ভাই ও শ্যামা নামে একটি বোন ছিল।ইন্দোরবাসী ডঃ স্বরূপ নারায়ন বর্মার সঙ্গে অনেক ছোট বেলায় মহাদেবী বর্মার বিবাহ হয়।মহাদেবী বর্মা এলাহাবাদ বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ১৯২৯ সালে বি এ পাশ করেন, এবং ১৯৩৩ সালে এম এ পাশ ক্রেন। ১৯৬৬ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর এলাহাবাদে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু ক্রেন।প্রথম মহিলা অধ্যক্ষ হিসাবে নিযুক্ত হন।

প্রথম জীবন

শিশুকালে তিনি আত্মজীবনী লেখেন "মেরা বচপন কি দিন"। অপেক্ষা কৃত উদারমনস্ক পরিবারে তার আনন্দের ছোটবেলা্র কথা সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন।মাতা হেমাদেবী তাকে সাহিত্য চর্চায় উৎসাহিত করতেন।প্রাথমিক শিক্ষার জন্য তাকে কনভেন্ট স্কুলে ভর্তি করা হয় পরে ক্রস্থয়েট মহিলা কলেজে ভর্তি হন ।সেখানে ছাত্রীনিবাসে একতার শক্তি সম্পর্কে অবগত হন ।এই সময় থেকেই তিনি কবিতা লিখতে শুরু করেন ।

কর্মজীবন

ছায়াবাদী ঘরানার একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি মহাদেবী বর্মা ।তিনি চিত্রকর হিসাবেও খ্যাতিলাভ ক্রেন।তিনি অসংখ্য ছোট গল্প লেখেন।"গিল্লু" গল্পটির জন্য তিনি অনেক সমাদর পান ।তার গ্রন্থ গুলি হল -

  • নীহার (১৯৩০)
  • রেশমী (১৯৩২)
  • নীরজা (১৯৩৪)
  • সন্ধ্যাগীত (১৯৩৬)
  • দীপশিখা (১৯৩৯]])
  • অগ্নিরেখা (১৯৯০, এটি তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়)

পুরষ্কার ও সম্মান

অসাধারন সাহিত্যকর্মের জন্য অল্পকিছুদিনের মধ্যেই তিনি হিন্দী সাহিত্যজগতে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন । ১৯৩৪ সালে হিন্দী সাহিত্য সম্মেলনে নীরজা গ্রন্থটির জন্য "সেক্ষরীয় পুরস্কার" লাভ করেন ।১৯৩৬ সালে তিনি জানপীঠ পুরষ্কার পান "যাম" কবিতা সংকলনটির জন্য। এছাড়াও তিনি "পদ্মভূষণ" "পদ্মবিভূষণ " এবং "সাহিত্য একাদেমী পুরষ্কার"পান ।

সহায়ক গ্রন্থ

  • মহাদেবী বর্মা, জগদীশ গুপ্ত, ভারতীয় সাহিত্যকার পুস্তকমালা, অনুবাদ -কানাই কুন্দু, সাহিত্য অকাদেমি।

তথ্যসূত্র

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.