মধ্যপন্থী

ধর্মরাজনীতিতে, মধ্যমপন্থী বা মধ্যপন্থী বলতে এমন ব্যক্তিদের বোঝানো হয় যারা চরমপন্থি, দলীয় পক্ষপাতী কিংবা আমূলপন্থী নয়।[1] সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, রাজনৈতিকভাবে মধ্যপন্থী পরিভাষাটি একটি বহুল আলোচিত শব্দ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।

সত্যিকারের মধ্যমপন্থি কোন রাজনৈতিক মতবাদ না থাকার কারণে বাস্তবে আদর্শ মধ্যপন্থিদের অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

দার্শনিক এরিস্টটল অঢেল সম্পদশালী ও হতদরিদ্র অথবা গোত্রীয় ও অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী অপেক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত মিত্রভাবাপন্ন রাজনীতির পক্ষপাতী ছিলেন।[2]

রাজনৈতিক অবস্থান হিসেবে

যে সকল ভোটার নিজেদের কেন্দ্রপন্থি হিসেবে দাবি করেন তারা প্রায়শই এর দ্বারা বোঝাতে চান যে, তারা চরম ডানপন্থী বা চরম বামপন্থী কোনটাই নন বরং তারা মধ্যমপন্থি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী। গ্যালাপ সংস্থার প্রকাশিত বিগত ২০ বছরের ভোট গণনায় ৩৫-৩৮% মার্কিন ভোটার নিজেদের মধ্যমপন্থি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।[3] ভোটাররা নিজেদের মধ্যপন্থি হিসেবে চিহ্নিত করার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারেঃ বাস্তবতা, আদর্শিক অথবা অন্যকিছু। ধারণা করা হয় যে, বিভিন্ন ব্যক্তি সম্পূর্ণ পরিসংখাঙ্গত কারণসমূহের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রপন্থি দলগুলোকে ভোট দেন।[4]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Oxford English Dictionary
  2. Aristotle, Sir Ernest Barker, R. F. Stalley (১৯৯৮), Politics, Oxford University Press, পৃষ্ঠা xxv, আইএসবিএন 978-0-19-283393-8
  3. Saad, Lydia (জানুয়ারি ১২, ২০১২)। "Conservatives Remain the Largest Ideological Group in U.S."Gallup। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১২
  4. Enelow and Hinich (১৯৮৪)। "Probabilistic Voting and the Importance of Centrist Ideologies in Democratic elections"The Journal of Politics। Southern Political Science Association। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১২
  • Calhoon, Robert McCluer (২০০৮), Ideology and social psychology: extremism, moderation, and contradiction, Cambridge University Press, আইএসবিএন 978-0-521-73416-5


টেমপ্লেট:Poli-term-stub

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.