মজিবর রহমান দেবদাস
মজিবুর রহমান দেবদাস (জন্ম- ১লা জানুয়ারী, ১৯৩০) একুশে পদক বিজয়ী বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা।
মজিবর রহমান দেবদাস | |
---|---|
জন্ম | মজিবর রহমান ১ জানুয়ারি ১৯৩০ জয়পুরহাট জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯৩০-১৯৪৭) পাকিস্তানী (১৯৪৭-১৯৭১) বাংলাদেশী (১৯৭১-বর্তমান) |
পুরস্কার | একুশে পদক |
প্রথম জীবন
মজিবুর রহমান ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত জয়পুরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে খঞ্জনপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর তিনি বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এমএ পাশ করার পর তিনি বগুড়া আজিজুল হক কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের করাচী শহরের নাজিমাবাদ কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মজিবুর ফলিত গণিত এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৭ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।[1]
মুক্তিযুদ্ধে অবদান
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে মজিবুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট একটি চিঠি পাঠালে বিশ্ববিদ্যালয় এই চিঠি সেনাবাহিনীকে পাঠিয়ে দেয়। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই মে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সেনা ছাউনিতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করায় মজিবর পরবর্তীকালে তার স্মৃতিশক্তি হারান।[1]
সম্মাননা
১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দের ২রা আগস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মজিবরকে সংবর্ধনা দেয়। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্ট সদস্য মফিদুল হক তাকে নিয়ে কান পেতে রই নামক একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র তৈরি করেন।[1] ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক পুরস্কার প্রদান করেন।[2]
তথ্যসূত্র
- "একুশে পদকের জন্য মনোনীত জয়পুরহাটের মজিবর- পরিবারের সঙ্গে খুশি গ্রামবাসী"। প্রথম আলো। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৫।
- "একুশে পদকপ্রাপ্ত মজিবর রহমান দেবদাস'কে জেলা প্রশাসনের অভিনন্দন"। এটি নিউজ। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৫।