মক্কা অবরোধ (৬৯২)

মক্কা অবরোধ ৬৯২ সালে উমাইয়া [খলিফা] [আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান|আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের] সময় সংঘটিত হয়। তিনি তার সেনাপতি হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে বড় আকারের সেনাদলসহ মক্কায় প্রেরণ করে। উমাইয়া খিলাফতের প্রতি বিদ্রোহী আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরকে দমন করা সেনা পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল। অবরোধ ছিল ভয়াবহ এবং প্রায় ছয় মাস পর আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের মৃত্যুর পর অবরোধ সমাপ্ত হয়।[1]

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের অন্যতম সফল সেনাপতি ও প্রশাসক। হেজাজের শাসক আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের ছিলেন আবদুল মালিকের শক্ত প্রতিপক্ষ। সফল হওয়ার পূর্বে হাজ্জাজকে কয়েকবার মক্কা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পাঠানো হয়। ৬৮৯ সালে তাকে একটি বিদ্রোহ দমনে সাহায্য করার জন্য দামেস্কে ফিরে আসতে হয়। ৬৯০ সালে তিনি ব্যর্থ হন। তবে ৬৯১ সাল উত্তরের বিদ্রোহী গোত্রগুলোকে দমন করা হয় এবং তিনি বসরার গভর্নর মুসাব ইবনে জুবায়েরের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেন। এরপর হাজ্জাজ মক্কার আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের দিকে নজর দেন। ৬৯২ সালে তিনি প্রায় ১২,০০০ সিরিয়ান সৈনিক নিয়ে মক্কা অবরোধ করেন। জন্মস্থান তাইফ পর্যন্ত তিনি কোনো বাধার সম্মুখীন হননি। বিনাযুদ্ধে তিনি তাইফের নিয়ন্ত্রণ নেন এবং একে মূলঘাটি হিসেবে ব্যবহার করেন। খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে প্রথমে আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের সাথে আলোচনা করা হয় এবং আত্মসমর্পণ করলে তাকে ক্ষমার বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়। তবে বিরোধিতা চালু থাকলে অবরোধ আরোপ করা হবে কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই রক্তপাত হবে না। আলোচনা ব্যর্থ হলে হাজ্জাজ ধৈর্য হারিয়ে আবদুল মালিকের কাছে সাহায্য চেয়ে চিঠি দেন এবং বলপ্রয়োগ করে মক্কা দখলের অনুমতির আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর মক্কার উপর কেটাপুল্টের সাহায্যে পাথর নিক্ষেপ করা শুরু হয়। পরে কাবার কাছে এক লড়াইয়ে আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের তার এক সন্তানসহ নিহত।

তথ্যসূত্র

তথ্যসূত্র


This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.