ভবানীপুর জমিদার বাড়ি
ভবানীপুর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ১নং শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। যা স্থানীয়দের কাছে ভবানীপুর রাজবাড়ি নামে বেশ পরিচিত। [1]
ভবানীপুর জমিদার বাড়ি | |
---|---|
বিকল্প নাম | ভবানীপুর রাজবাড়ি |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | বাসস্থান |
স্থাপত্য রীতি | রোমান স্থাপত্যশৈলী |
অবস্থান | আত্রাই উপজেলা |
ঠিকানা | ভবানীপুর গ্রাম |
শহর | আত্রাই উপজেলা, নওগাঁ জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
খোলা হয়েছে | অজানা |
স্বত্বাধিকারী | গির্জাশঙ্কর চৌধুরী |
কারিগরী বিবরণ | |
পদার্থ | ইট, সুরকি ও রড |
তলার সংখ্যা | ০২ |
ইতিহাস
জমিদার গির্জাশঙ্কর চৌধুরী এই জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তবে কবে নাগাদ এই জমিদার বংশ বা জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়, তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। গির্জাশঙ্কর চৌধুরী তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই জমিদারী পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পর তার একমাত্র ছেলে প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী এই জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। তার আমলেই এই জমিদারী আরো ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। এছাড়াও জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই জমিদার বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য তৎকালীন সময়ে জমিদার বাড়ির গেটে দুইজন নেপালী প্রহরী ছিল। জমিদার বংশধরের মধ্যে জমিদার প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী ছিলেন সকলের কাছে বেশ সু-পরিচিত। তিনি জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যসহ প্রজাদের সুবিধার জন্য তার জমিদারী এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেন। রাস্তাঘাট, পুকুর খনন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তিনি ০৬ ছেলে ও ০৬ মেয়ের জনক ছিলেন। দেশ ভাগের পর জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে তিনি স্ব-পরিবারে ভারতের কলকাতায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার চতুর্থ পুত্র প্রতাপশঙ্কর এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেন। পরবর্তীতে জমিদার প্রিয়শঙ্কর তার চতুর্থ ছেলে প্রতাপশঙ্করকে রেখে পরিবারের বাকী সদস্যদের নিয়ে কলকাতায় চলে যান। তারপর প্রতাপশঙ্কর চৌধুরী তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এখানে বসবাস করতে থাকেন। তখন তিনি তার কর্মজীবন হিসেবে হাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং ২০০৫ সালে পরলোকগমন করেন। এখন এই জমিদার বাড়িতে তার পুত্র অভিজিৎ চৌধুরী বসবাস করতেছেন।
অবকাঠামো
বসবাসের জন্য রোমান স্থাপত্যশৈলীতে দ্বিতল বিশিষ্ট্য প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। এছাড়াও নাট্যাশালা, মন্দির ও সান বাঁধানো পুকুর ঘাট তৈরি করা হয়।
বর্তমান অবস্থা
জমিদার বাড়ির প্রিতিট দেয়াল এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে।