ব্রিক লেন (চলচ্চিত্র)

ব্রিক লেন একটি পুরস্কার বিজয়ী ২০০৭ সালের ব্রিটিশ সিনেমা যা সারাহ গাভরন পরিচালনা করেছেন এবং এর কাহিনী নেয়া হয়েছে মনিকা আলীর ব্রিক লেন নামের উপন্যাস থেকে।এর স্ক্রিন প্লে নেয়া হয়েছে লরা জোনস ও অ্যাবি মরগানের উপন্যাস থেকে।তান্নিষ্ঠা চ্যাটার্জি মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।তেল্লুরিড ফ্লিম ফ্যাস্টিভ্যালে এর প্রথম প্রদর্শনী হয়।[1]

ব্রিকলেন
পরিচালকমেরি স্টিফেন্স, সারাহ গাভরন
প্রযোজকঅ্যালসন ওয়েন
রচয়িতামনিকা আলী, লরা জোন্স
শ্রেষ্ঠাংশেতান্নিষ্ঠা চ্যাটার্জি
সতীশ কৌশিক
ক্রিস্টোফার সিম্পসন
নাঈমা বেগম
লানা রাহমান
ললিতা আহমেদ
সুরকারজসেলাইন পোক
চিত্রগ্রাহকরবি রায়ান
সম্পাদকমিলানি ওলিভার
মুক্তি১৬ নভেম্বর ২০০৭
দৈর্ঘ্য১০২ মিনিট
দেশ
ভাষাইংরেজি
বাংলা

গল্পের সারাংশ

ছবিটা একটা গল্প নিয়ে যার মূল চরিত্রে আছে নাজনীন নামের একটি বাংলাদেশী মেয়ে যে বাংলাদেশের গ্রামীণ পরিবেশে ময়মনসিংহতে বড় হয়েছে।[2] ১৭ বছর বয়সে তার বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে তার দ্বিগুণ বয়সী মানুষ চানু আহমেদের সাথে এবং এরপর লন্ডনের ব্রিকলেনে চলে যেতে হয় তাকে তার বোনকে ছেড়ে।[3] সে নানা চিঠি পায় তার বোনের কাছ থেকে তার যত্নবিহীন জীবন সম্পর্কে।ছবির কাহিনী মোড় নেয় আরেকটি পরিবারের দিকে যারা ১৮ বছর ধরে একটা ফ্ল্যাটে বসবাস করছে ২টি মেয়ে নিয়ে।নাজনীন একজন সুদর্শন পোশাক কর্মীর প্রেমে পড়ে যে তার ফ্ল্যাটে আসে।[4] ছবিটিতে ৯/১১-এর সময়ের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধির ছোয়া পাওয়া যায়,[5] এবং বাংলাদেশী মুসলিম সম্প্রদায় ধর্মপরায়ণ হয়ে ওঠে করিম চরিত্রটিসহ।

চরিত্রায়ন
  • তান্নিষ্ঠা চ্যাটার্জি -নাজনীন আহমেদ
  • সতীশ কৌশিক - চানু আহমেদ
  • ক্রিস্টোফার সিম্পসন - করিম
  • নাঈমা বেগম - রূখসানা শাহানা আহমেদ
  • লানা রাহমান - বিবি আহমেদ
  • ললিতা আহমেদ - মিসেস ইসলাম
  • হারভেয় ভিরডি - রাজিয়া
  • জাফরিন -হাসিনা
  • হারসে নায়ার -ডক্টর আযাদ
  • আব্দুল নলেফাজ আলী - তারিক
  • বিজাল চান্ডারিয়া -শেফালি
  • আজিজ আজিজি- সমকামী ব্যক্তি

গ্রহণ

ব্রিক লেন ছবিটি বেশির ভাগ সমালোচক গ্রহণ করেন ও এই ছবি ৬৩% অনূকুল রেটিং পায় রটেন টমেটোতে।[6] মেটাক্রিটিকে এই ছবি ৬১/১০০ রেটিং পায়।[7] রজার এবার্ট ছবির চরিত্রদের প্রশংসা করেন গভীরতা ও বাস্তবভিত্তিক হওয়ায়।[8] যদিও অনেক সমালোচক যেমন ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনের রবার্ট কোহলার বলেন ছবিটি উপন্যাসের সাথে মেলে না।[9] যদিও সিনেমাটি সমালোচক প্রশংসিত ও উপন্যাসটি বেস্ট সেলার ছিল,[10] তাও এটি বেশ বিতর্কের জন্ম দেয় লন্ডনে বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের মধ্যে। তারা মনে করেন চানু চরিত্রটির মন্তব্যগুলোর মাধ্যমে পশ্চাৎমুখী ও অশিক্ষিত হিসেবে বাংলাদেশী সম্প্রদায়কে চিত্রিত করা হয়েছে। ৩১ জুলাই ২০০৬ সালে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় ১২০ বাংলাদেশীর মাধ্যমে ব্রিক লেনে।[11] ছবিটিকে ঘিরে বিতর্কের কারণে যুবরাজ চালর্স ও ক্যামেলিয়া পার্কার বাউলেসকে ছবিটি দেখানোর পরিকল্পনা বাতিল হয়।[12]

সাউন্ড ট্র্যাক
ব্রিকলেন
জোসেলাইন পোক কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম
মুক্তির তারিখ১৯ নভেম্বর ২০০৭
ঘরানাছবির সাউন্ডট্র্যাক
সঙ্গীত প্রকাশনীইউনিভার্স্যাল ক্ল্যাসিকস
প্রযোজকজোসেলাইন পোক
  1. "অ্যাডামের ঘুমপাড়ানী গান" - (নাতাশা এ্যাটলাস) - ৩:০৫
  2. "গ্রীষ্মের স্মৃতি" - ৪:০২
  3. "কবিতা" - ১:৫৬
  4. "রাতের মাঝে ছোটাছুটি" - ৩:১০
  5. "মাঝির গান" - ৩:৪৭
  6. "একটি বিশ্ব পরিবর্তিত" - ২:৩৪
  7. "নিশ্চুপ আনন্দ" - ৩:০৩
  8. "প্রাসাদে বনভোজন" - ১:৫৫
  9. "টাপুর টুপুর" - ২:৪৫
  10. "ভালোবাসার ফুল ফুটেছে" - ২:৪৪
  11. "রাইট অব প্যাসেজ" - ২:০২
  12. "ডিপার্টচার" - ১:৪৬
  13. "লীলাবালি" - ২:৩৮
  14. "শৈশবের টুকরো" - ১:৪৮
  15. "স্বপ্নদেখা" - ৬:০৪
  16. "ধানের ক্ষেতে খেলা" - ২:৫৭
  17. "প্রথম চুম্বন" - ১:৪৭
  18. "দোল দোল দুলুনী" - ঐতিহ্যবাহী (তান্নিষ্ঠা চ্যাটার্জি) - ১:৫১

পুরস্কার

সারাহ গাভরন বাফটা পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান এবং ২০০৭ সালে তান্নিষ্ঠা চ্যাটার্জি ও সারাহ গাভরন উভয়ই বিফা পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান সেরা পরিচালক ও সেরা অভিনেত্রী হিসেবে। দিনার্ড ফেস্টিভ্যালে এই ছবি একটি সিলভার হিচকক পুরস্কার ও সেরা স্ক্রিন প্লের পুরস্কার জয় করে।[13]

ডিভিডি প্রকাশ

সিনেমাটি ইংল্যান্ডে ১৬ই নভেম্বর ২০০৭ সালে মুক্তি পায় ও আমেরিকাতে ২০ জুন ২০০৮ সালে মুক্তি পায় সনি পিকচার ক্ল্যাসিকসের মাধ্যমে।ডিভিডি অঞ্চল ২ মুক্তি পায় ১০ই মার্চ ২০০৮ সালে ও ডিভিডি অঞ্চল ২ মুক্তি পায় ১৩ই জানুয়ারি ২০০৯ সালে।

তথ্যসূত্র
  1. Dasgupta, Priyanka (২০০৭-০৮-২০)। "On the Brick Lane"। Times of India MAIN CHARACTER - LANA . NOTT :)। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০০৯।
  2. Book Review: Brick Lane SAWNET
  3. "Brick Lane Movie"। Yahoo!। ২০০৭-১২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০৫।
  4. "Brick Lane Review (DVD)"। Future Movies। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০৫।
  5. Walker, Susan (২০০৮-০৭-০৪)। "Brick Lane: Reflects tensions of post 9/11 world"। Toronto Star। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০০৯।
  6. "Brick Lane (2008)"। Rotten Tomatoes। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০০৯।
  7. "Brick Lane - Sony Pictures Classics"। Metacritic.com। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০০৯।
  8. Ebert, Robert (২০০৮-০৬-২৬)। "Brick Lane"। Chicago Sun-Times। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০০৯।
  9. Koehler, Robert (২০০৭-০৯-১২)। "Brick Lane"। Variety। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০০৯।
  10. "Brick Lane film praised in France"। BBC - BBC News। ৮ অক্টোবর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-০৮।
  11. "Brick Lane protestors hurt over 'lies'"। BBC - BBC News। ৩১ জুলাই ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৭-৩১।
  12. Hoyle, Ben (২০০৭-০৯-২৫)। "Prince pulls out of royal film gala for Brick Lane over Bangladeshi AALICE GINGER protest fears"। Times। London। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০০৯।
  13. Mowe, Richard (২০০৭-১০-০৮)। "Hallam Foe takes top prize at French festival"। The Scotsman। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০০৯।

বহিঃসংযোগ
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.