বোরা বোরা দ্বীপপুঞ্জ
বোরা বোরা ১২ বর্গ মাইল আয়তনের একটি দ্বীপপুঞ্জ, যা ফরাসি পলিনেশিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত। ফরাসি পলিনেশিয়ার রাজধানী পপেইট থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার (১৪৩ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত, একটি উপহ্রদ এবং একটি প্রাচীরের প্রস্থ দ্বারা ঘেরা। দ্বীপের মাঝখানে দুটি মৃত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট পেহিয়া এবং মাউন্ট ওটারমমেনু রয়েছে। সর্বোচ্চ চূড়া হচ্ছে যা ৭২৭ মিটার (২৩৮৫ ফুট)।
![]() মহাকাশ থেকে বোরা বোরা | |
![]() | |
ভূগোল | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ১৬°৩০′০৪″ দক্ষিণ ১৫১°৪৪′২৪″ পশ্চিম |
আয়তন | ৩০.৫৫ বর্গকিলোমিটার (১১.৮০ বর্গমাইল) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ৭২৭ মিটার (২,৩৮৫ ফুট) |
সর্বোচ্চ বিন্দু | মাউন্ট ওটামানু |
প্রশাসন | |
ফরাসি পলিনেশিয়া | |
বৃহত্তর বসতি | ভাইটাপে |
জনপরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ১০,৬০৫ (২০১৭) |
জনঘনত্ব | ৩৪৭ /বর্গ কিমি (৮৯৯ /বর্গ মাইল) |
নামকরন
অতীতে এই দ্বীপকে তাহিতিয়ান উপভাষায় "পোরা পোরা মেই তে পোরা" বলা হত এর অর্থ "সৃষ্টিকর্তা দ্বারা সৃষ্ট"। পর্যটক জেকব রোগেনভেন যখন প্রথম এই দ্বীপে আসেন তখন একে তিনি ও তার সহযাত্রীরা বোরা বোরা দ্বীপ বলে ডাকেন, যে নাম এখনো বিদ্যমান।
ইতিহাস
জেকব রোগেনভেন প্রথম ইউরোপিয়ান হিসেবে ১৭২২ সালে এই দ্বীপে আসেন।[1] ১৯৬৯ সালের ২৯ জুলাই জেমস কুক একজন তাহিতিয়ান নাবিক টুপাইয়ার সাহায্যে এই দ্বীপে আসেন। লন্ডন মিশনারি সোসাইটি ১৮২০ সালে এই দ্বীপে আসে এবং ১৮৯০ সালে একটি প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ নির্মান করে। বোরা বোরা একটি স্বাধীন দ্বীপ ছিল, কিন্তু ১৯৮৮ সালে ফ্রান্স দ্বীপের শেষ রানী ৩য় তেরিমায়েভারুয়ার কাছ থেকে দ্বীপটির দখল নিয়ে তাদের উপনিবেশে নিয়ে আসে।

২য় বিশ্বযুদ্ধ
২য় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দ্বীপকে সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যাবহার করে। এই ঘাঁটিতে ৯ টি সরবরাহকারী জাহাজ, ২০ হাজার টন জিনিসপত্র এবং প্রায় ৭০০০ সদস্যের একটি সৈন্যদল রাখা হয়েছিল। ১৯৪৬ সালের ২ জুন ঘাঁটিটি বন্ধ করে দেয়া হয়। [2] ১৯৬০ সালে তাহিতির পাপেটে 'ফা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর' নির্মানের পুর্বে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল এখানে।[3]
পর্যটন
বোরা বোরা দ্বীপপুঞ্জের অর্থনীতি মূলত পর্যটন নির্ভর। দ্বীপটিতে অনেক অবকাশযাপন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ১৯৬১ সালে হোটেল বোরা বোরা স্থাপন করা হয় এবং এর ৯ বছর পর পানির উপর বাংলো তৈরী করা হয়। [4]
২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন কামান দেখতে প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক এই দ্বীপটিতে ঘুরতে আসে। এয়ার তাহিতির প্রতিদিন ৫-৬ টি ফ্লাইট থাকে বোরা বোরা দ্বীপপুঞ্জে। যানবাহন মূলত ভাড়ায়চালিত গাড়ি ও সাইকেল ব্যাবহার করা হয়। স্কুবা ডাইভিং এই দ্বীপে একটি বড় আকর্ষন। নানা প্রজাতির হাঙরের অভয়ারণ্য রয়েছে এই দ্বীপের কাছে।
আবহাওয়া
দ্বীপটিতে গ্রীষ্মে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় (নভেম্বর থেকে এপ্রিল) এবং বেশি আদ্রতা থাকে। [5]
বোরা বোরা দ্বীপপুঞ্জ-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ °সে (°ফা) গড় | ৩০٫২ (৮৬) |
৩০٫৮ (৮৭) |
৩০٫৫ (৮৭) |
৩০٫৩ (৮৭) |
২৯٫৫ (৮৫) |
২৮٫৬ (৮৩) |
২৮٫১ (৮৩) |
২৮٫১ (৮৩) |
২৮٫৬ (৮৩) |
২৯٫১ (৮৪) |
২৯٫৪ (৮৫) |
২৯٫৬ (৮৫) |
২৯٫৩ (৮৫) |
সর্বনিম্ন °সে (°ফা) গড় | ২৫٫১ (৭৭) |
২৫٫৩ (৭৮) |
২৫٫৫ (৭৮) |
২৫٫৫ (৭৮) |
২৫٫১ (৭৭) |
২৪٫২ (৭৬) |
২৩٫৮ (৭৫) |
২৩٫৮ (৭৫) |
২৪٫০ (৭৫) |
২৪٫৩ (৭৬) |
২৪٫৬ (৭৬) |
২৪٫৮ (৭৭) |
২৪٫৭ (৭৬) |
গড় বৃষ্টিপাত মিমি (ইঞ্চি) | ২৬৮٫৭ (১০٫৫৮) |
২৩৩٫২ (৯٫১৮) |
১৭৬٫৯ (৬٫৯৬) |
১৮২٫৭ (৭٫১৯) |
১২৯٫৮ (৫٫১১) |
৯৮٫২ (৩٫৮৭) |
৮৩٫৩ (৩٫২৮) |
৫৯٫৭ (২٫৩৫) |
৬৫٫৫ (২٫৫৮) |
৯৯٫৮ (৩٫৯৩) |
২০৩٫৭ (৮٫০২) |
২৮০٫৬ (১১٫০৫) |
১,৮৮২٫১ (৭৪٫১) |
মাসিক গড় সূর্যালোকের ঘণ্টা | ২০১٫১ | ২০২٫৬ | ২৩৯٫৪ | ২১৯٫৮ | ২২৪٫১ | ২২৪٫৫ | ২৩১٫৮ | ২৪৮٫৪ | ২৪১٫০ | ২৩০٫৫ | ২১৭٫৭ | ২০৭٫০ | ২,৬৮৭٫৯ |
উৎস: NOAA[6] |
গ্যালারী
- পাখির চোখে বোরা বোরা
- ওটামানু পর্বত
- প্রটেস্ট্যান্ট চার্চ
- স্যাটেলাইট থেকে
তথ্যসুত্র
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৯।
- http://cdsg.org/wp-content/uploads/pdfs/FORTS/CACunits/CACreg1.pdf
- https://web.archive.org/web/20130413124434/http://groupe.opt.pf/le-groupe/histoire/
- https://archive.is/20150216080232/http://m.travelagentcentral.com/french-polynesia/complete-reconstruction-scheduled-hotel-bora-bora-0
- https://weather-and-climate.com/
- "Bora-Bora Motu Climate Normals 1961–1990"। National Oceanic and Atmospheric Administration। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৮।