বেণুধর শর্মা
বেণুধর শর্মা (হিন্দি: बेणुधर शर्मा, ইংরেজি: Benudhar Sharma) সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করা দ্বিতীয় অসমীয়া ব্যক্তি[1]। এছাড়াও তিনি একজন সাহিত্যিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, সাংবাদিক, সমাজ সংস্কারক,ইতিহাসবিদ, গবেষক এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন অগ্রগণ্য মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন[2]। ১৯৫৬ সালের অসম সাহিত্য সভার সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন[3]। তার সাহিত্যে ইতিহাসের তথ্য ভরে থাকার জন্য তাকে ইতিহাস রত্ন, ইতিহাসর যাদুকর ইত্যাদ ববহুি নামেও বিভূষিত করা হয়েছিল। রত্নকান্ত বরকাকতীদেব বেনুধর শর্মাকে ইতিহাস সূর্য আখ্যা দিয়ে সন্মান জানান। তরুণ অসমের সম্পাদক এবং প্রথম অসমীয়া দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক বাতরির সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব বহন করেছিলেন।[4]
বেণুধর শর্মা | |
---|---|
জন্ম | ১৬ নভেম্বর, ১৮৯৪ চারিং, শিবসাগর, অসম |
মৃত্যু | ২৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৮১ |
পেশা | সাহিত্যিক, প্রত্নতত্ববিদ, সাংবাদিক, সমাজ সংস্কারক, মুক্তিযোদ্ধা,গবেষক, ইতিহাসবিদ, |
ভাষা | অসমীয়া |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ![]() |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | কংগ্রেছর কাঁচিয়লি র’দত |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার (১৯৬০) পদ্মভূষণ (মরণোত্তর ভাবে), |
প্রারম্ভিক জীবন
জন্ম
বেণুধর শর্মাই ১৮৯৪ সালের ১৫ নভেম্বর অসমের শিবসাগর জেলার চারিঙে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা স্বর্গীয় ডিম্বেশ্বর শর্মা এবং মাতা স্বর্গীযা় তুলসী দেবী[5]।
শিক্ষা এবং কর্মজীবন
বেণুধর শর্মা শিবসাগরের চারিঙে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন, তার পরে ১৯১৫ সালে শিবসাগর সরকারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় সুখ্যাতিতে উর্ত্তীন হন। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য কলিকতা গিয়েছিলেন যদিও অসহযোগ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করার জন্য তার উচ্চ শিক্ষা অর্ধেক হয়ে যায়। বেণুধর শর্মা কিছুদিনের জন্য শিবসাগরের ফুলেশ্বরী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং যোরহাটের বেজবরুয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে কর্ম জীবনের শুরু করেছিলেন। তিনি হাতী মহলাতে কাজ করার থেকে দোকান দিয়ে বিভিন্ন কাজ করে তিনি জীবন যুদ্ধে অগ্রণী হন। এর মধ্যে ঘরফলীয়া কংগ্রেছ নামে একটা রাজনৈতিক দল খুলে রাজনীতিরও কিছুদিন পাঠ নিয়েছিলেন। তিনি প্রথম অসমীয়া দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক বাতরির সহকারী সম্পাদক এবং ডিব্রুগড় থেকে প্রকাশ হওয়া তরুণ অসমেরও তিনি সম্পাদক ছিলেন।[4]
- ১৯০১ সালে তিনি চমারগাঁও পাঠশালাতে ভর্তি হন।
- ১৯০৫ সালে তিনি শিবসাগর গবর্ণমেণ্ট হাইস্কুলে নাম লেখান।
- ১৯১৫ সালে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষাতে উর্ত্তীর্ণ হন।
মৃত্যু
১৯৮১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারীতে তার মৃত্যু ঘটে৷
সাহিত্যরাজী
গ্রন্থ সংকলন
|
|
গ্রন্থ সংকলন (ইংরাজী)
|
সাংবাদিকরূপে বেণুধর শর্মা
- ১৯০৫ সাল থেকে তিনি 'অসম বন্তি', 'অসম বিলাসিনী, অসমীয়া, 'অমৃতবাজার পত্রিকা, 'স্টেটসম্যান' এবং 'পায়নিয়ার' ইত্যাদি কাগজে লিখতে আরম্ভ করেছিলেন।
- ১৯৩৫ সাল থেকে দেড় বছর তিনি 'দৈনিক বাতরি'র সহকারী সম্পাদক পদে কার্যনির্বাহ করেছিলেন।
- ১৯৩৭ সাল থেকে দু'বছর ধরে 'তরুণ অসম' কাগজে তিনি সম্পাদনা করেছিলেন[7]।
মুক্তিযোদ্ধারূপে বেণুধর শর্মা
অন্যান্য কর্মরাজী
পুরস্কার
- বেণুধর শর্মাক ১৯৬০ সালে কংগ্রেছর কাঁচিয়লি র’দত গ্রন্থটির জন্য সাহিত্য অকাডেমি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল। বেণুধর শর্মাকে মরণোত্তর ভাবে পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল ।
তথ্যসূত্র
- "সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী অসমীয়াদের তথ্য"। সাহিত্য একাডেমি। ৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নবেম্বর ১৬, ২০১২। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - সাহিত্য অকাডেমি বঁটা বিজয়ী অসমীয়া, লেখক :- সমীন কলিতা(পৃষ্ঠা নং- ১৭)
- ১৯১৭ সালের থেকে অসম সাহিত্য সভার সভাপতিদের তালিকা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে অসম সাহিত্য সভার ওয়েবসাইট, আহরণ: ১৮ নবেম্বর, ২০১২।
- ত্রিদিপ গোস্বামী। পদ্মনাথ গোহাঞি বরুয়ার থেকে রংবং তেরাঙলৈ। অনন্ত হাজরিকা, বনলতা প্রকাশন। পৃষ্ঠা ৭৮,৭৯।
- সাহিত্য অকাডেমি বঁটা বিজয়ী অসমীয়া, লেখক :- সমীন কলিতা(পৃষ্ঠা নং- ২১)
- Amaresh Datta (১৯৮৭)। Encyclopaedia of Indian Literature: A-Devo। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 273–। আইএসবিএন 978-81-260-1803-1। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১২।
- সাহিত্য অকাডেমি বঁটা বিজয়ী অসমীয়া, লেখক: সমীন কলিতা (পৃষ্ঠা নং- ২০)
টেমপ্লেট:Navbox assam biography