বুলন্দ দরওয়াজা
বুলন্দ দরওয়াজা ভারতের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য। বিশ্বের উচ্চতম এই দরজা ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ফতেপুর সিকরিতে অবস্থিত। ১৬০১ খ্রিষ্টাব্দে মুঘল বাদশা আকবর এটি তৈরি করেন। বুলন্দ শব্দের অর্থ মহান বা উচ্চ। অর্থাৎ এর অর্থ 'মহান দ্বার'। গুজরাট জয় উপলক্ষে সম্রাট আকবর এটি নির্মাণ করেন। আগ্রা থেকে ৪৩ কিমি দূরে অবস্থিত ফতেপুর সিক্রি মহলের প্রবেশের এটিই মূলদ্বার। অপর দ্বারটির নাম বাদশাহী দরওয়াজা।[1]

স্থাপত্য
এই দরজার কাঠামোটি লাল ও হলুদ বেলেপাথরে নির্মিত। এর গায়ে আবার সাদা কালো মার্বেল দিয়ে নকশা করা আছে। এটি মাটি থেকে প্রায় ৫৪ মিটার লম্বা। দরজা পর্যন্ত পৌঁছোতে ৪২ টি সিঁড়ির ধাপ উঠতে হয়। দরজার পাল্লাগুলিতে কাঠের কারুকার্য করা আছে। দরজার মাথায় একসারি প্যারাপেট আর তার পিছনে তিনটে ছত্রী রয়েছে। দরজার ওপরের ছাদে সামিয়ানা হিসেবে হয়তো এগুলো ব্যবহৃত হত। খিলানটিতে মূলত তিনটি দ্বার বর্তমান, যেগুলোর গায়ে কারুকার্য করা এবং এর ওপরে তিনটি করে দ্বারমুখ করা।
দরজার পুবদিকের খিলানের গায়ে পার্সিলিপিতে আকবরের গুজরাট জয়ের কথা লেখা। মুঘল স্থাপত্যে তৈরী মূল খিলানটির গায়ে লেখা লিপি থেকে আকবরের উদার ধর্মনীতির পরিচয় পাওয়া যায়।[2]
খোদিত লিপি
মূল দ্বারটির গায়ে খোদাই করা লেখাটির অর্থ হল , মেরি মাতার পুত্র ঈশা বলেছেন,পৃথিবী একটা সেতুমাত্র। এর ওপর দিয়ে পার হয়ে যাও কিন্তু এখানে স্থায়ী বাসা বাঁধতে যেয়ো না। কেউ হয়তো অনন্তকাল এখানে থাকতে চায়, কিন্তু এই জীবন এক ঘন্টার বেশি স্থায়ী নয়। তাই বাকি জীবনটা ঈশ্বরের প্রার্থনায় কাটাও।
কোরাণের কিছু পংক্তিও এর গায়ে খোদাই করা আছে। শেখ সেলিম চিস্তির শিষ্য খাজা হুসেন চিস্তি সেগুলি খোদাই করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
- jugantor.com। "ফতেপুর সিক্রির বাদশাহী দরওয়াজা | পরবাস | Jugantor"। jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৬।
- "সুকরিয়া'র সিক্রিতে ইতিহাসের খোঁজে"। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৬, ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে বুলন্দ দরওয়াজা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |