বিষ্ণুপ্রিয়া
|Name = শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী |Image = |size = |Caption = |birth-date = ষোড়শ শতকের মাঘ শুক্ল শ্রীপঞ্চমী তিথি |birth-place = মালঞ্চপাড়া,শ্রীধাম নবদ্বীপ, নদিয়া, গৌড়বঙ্গ (আধুনিক পশ্চিমবঙ্গ) |birth-name = |death-date =ফাল্গুনী পূর্ণিমা |death-place = নবদ্বীপ |ethnicity = বাঙালি হিন্দু |guru = |philosophy = |honors = }} শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী ছিলেন শ্রীমন্মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের সহধর্মিণী। ষোড়শ শতাব্দীর নবদ্বীপ ধামের বিশিষ্ট বিদুষী নারী। তৎকালীন হিন্দু সমাজ সংস্কারে চৈতন্য মহাপ্রভুকে সাহায্য করতেন। তিনি পরমবৈষ্ণব সাধিকাও ছিলেন।তিনি পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রথম জীবন
ষোড়শ শতকের এক শ্রীপঞ্চমী তিথিতে নবদ্বীপে রাজপণ্ডিত সনাতন মিশ্রের গৃহে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর জন্ম হয়। কন্যার নাম তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাখা হল বিষ্ণুপ্রিয়া। নবদ্বীপের বিশ্বম্ভর মিশ্র বা নিমাই পণ্ডিতের সাথে তার বিবাহ হয়। তিনি বিশ্বম্ভরের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। চৈতন্যচরিতকারেরা জানিয়েছেন, সনাতন মিশ্র ধনী পণ্ডিত ছিলেন।[1]
শেষ জীবন
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু গৃহত্যাগ করার পর তিনি প্রচুর কষ্ট পেয়েছিলেন। স্বামী বিরহ যন্ত্রনায় তিনি বাকি জীবনটা উৎসর্গ করেন ভগবানের সেবার জন্য। তিনি পণ্ডিত ও জ্ঞানী মহিলা ছিলেন। অনেক পতিত এবং মূঢ়জনকে আধ্যাত্মিক জ্ঞান দান করেছিলেন। শেষ জীবনে একবার স্বামীর সাথে দেখা করার সুযোগ হয়েছিল তার। সন্ন্যাস নেওয়ার পর মহাপ্রভু একবারই তার মাকে দেখতে আসেন। তখন বিষ্ণুপ্রিয়া মহাপ্রভুকে একটু প্রদীপ দেখাবার সুযোগ পেয়েছিলেন। স্বামীকে প্রণাম করার পর তাকিয়ে দেখেন স্বামী আর সেখানে নেই। শুধু রয়ে গেছে তার খড়ম। ইতিহাসে তিনি সম্ভবত একমাত্র নারী যিনি পরবর্তী সমগ্র জীবনে শুধু স্বামীর খড়ম পূজা করেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন। স্বামীর প্রতি তার যে অগাধ ভালোবাসা, প্রেমাশ্রুতা, তাকে মহীয়সী বানিয়েছে, তাই সকল হিন্দুনারীগণের আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হন।