বাহা-উদ-দিন নকশবন্দ বুখারী

সৈয়দ বাহা-উদ-দীন নকশবন্দি বুখারী (১৩১৮-১৩৮৯ (উজবেক: بهاءالدین محمد نقشبند بخاری) একজন ইসলামি সুফি ব্যক্তিত্ব, লেখক ও অতীন্দ্রবাদী। তিনি নকশবন্দি তরিকার, ইসলামি বিশ্বের সর্ববৃহৎ তরিকার একটি, প্রতিষ্ঠাতা।

সৈয়দ বাহা-উদ-দীন নকশবন্দি বুখারী
بهاءالدین محمد نقشبند بخاری
বুখারায় বাহা-উদ-দিন নকশবন্দের যাদুঘর39°48'5"N 64°32'11"E
জন্ম১৩১৮
বুখারা
মৃত্যু১৩৮৯
বুখারা
সম্মানিতইসলাম

প্রাথমিক জীবন

বাহা-উদ-দিন বোখারার সন্নিকটে কাসরে আরেফান নামক স্থানে, বর্তমানে উজবেকিস্তানে, ১৮ মার্চ ১৩১৮ সালে (১৪ মুহররম ৭১৮হিজরী) জন্মগ্রহণ করেন।[1] তার পিতার নাম ছিল হযরত জালানুদ্দীন (রঃ)। ঐতিহাসিক মতে, বাহা-উদ-দিন এর জন্মের বহুকাল পূর্বেই সেই সময়ের সুফি সাধক মোহাম্মদ বাব সাম্মাসী বলেছিলেন, কাসরে আরেফানে এমন একজন জন্মগ্রহণ করবে যে শরীয়ত ও তরিকতের একজন বিশিষ্ট ইমাম হবেন। বাহা-উদ-দিন এর পিতাকে তিনি বলেছিলেণ, তোমার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করবে এবং বাতেনী দিক দিয়ে সে আমারই সিলসিলাভুক্ত হবে। এছাড়াও সে আমার সিলসিলাকে উজ্জল করবে।[2]

আধ্যাত্মিক সাধনাকাল

শৈশব থেকেই বাহা-উদ-দিন অসংখ্য সুফি সাধকদের সাহচর্যে ও সংশ্রবে ছিলেন। অল্প বয়সেই তিনি বাবা মোহাম্মদ সাম্মাসির নিকট বায়াত গ্রহণ করেন এবং তিনিই ছিলেন তার আধ্যাত্মিক জীবনের প্রথম দীক্ষাগুরু। তবে বাবা মোহাম্মদের প্রধান খলিফা (আধ্যাত্মিক প্রতিনিধি) আমির কালালের সাথে বাহা-উদ-দিনের সম্পর্ক তার আধ্যাত্মিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মূলত তার থেকেই বাহা-উদ-দিন আধ্যাত্মিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। তার সিলসিলার ক্রমটি নিম্নরূপ:[3]

  1. মুহাম্মদ
  2. আবু বকর
  3. সালমান আল-ফারসি
  4. কাসিম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর
  5. জাফর আল-সাদিক
  6. বায়েজিদ বোস্তামি
  7. আবু আল হাসান আল-খারকানী
  8. আবু আলী আল ফরমাদি
  9. ইউসুফ হামাদান
  10. আবুল আব্বাস আল-খাদর
  11. আবদুল খালিক গাযদাওয়ানী
  12. আরিফ বিওগরী
  13. মাহমুদ ফাগ্নাবী
  14. আলী রামীতনী
  15. বাবা সাম্মাসি
  16. আমীর কালাল
  17. বাহা-উদ-দিন নকশবন্দ বুখারী

ওফাত

বাহা-উদ-দিন ১৩৮৯ সালে ৭৩ বছর বয়সে কাসরে আরেফানে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। ১৫৪৪ সালে খান আবদুল আজিজ তার কবরের উপরে একটি সমাধি এবং আশেপাশের ইমারত নির্মাণ করেছিলেন। বুখারা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে একটি মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স রয়েছে এবং বর্তমানে এটি একটি তীর্থযাত্রার স্থানে পরিণত হয়েছে।[4]

তথ্যসূত্র

  1. "YAWM-A-WILAADAT HAZRAT KHWAJA SHAH BAHAUDDEEN NAQHSHBAND QADDAS ALLAHU SIRRUHUL AZEEZ"। ১৭ নভেম্বর ২০১৩। ২০১৩-১২-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  2. "কয়েকজন বিশ্ববিখ্যাত সুফির জীবনি- শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দী"sites.google.com
  3. Sultanova, Razia (২০১১)। "Naqshbandiyya"। From Shamanism to Sufism। I.B.Tauris। পৃষ্ঠা 32–37। আইএসবিএন 978-1-84885-309-6।
  4. Mausoleum of Bahauddin Naqshbandi 2003-2013 Hotelica.

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.