বানোস দে আগুয়া সান্তা
বানোস দে আগুয়া সান্তা (স্পেনীয় উচ্চারণ: [ˈbaɲoz ðe ˈaɣwa ˈsanta]) মধ্য ইকুয়েডরের পূর্বাংশে অবস্থিত টাঙ্গুরাহুয়া প্রদেশের একটি শহর। রাজধানী আমাবাতো শহরের পর বানোস টাঙ্গুরাহুয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল শহরের মর্যাদা লাভ করছে ও প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। আমাজনের প্রবেশদ্বার হিসেবেও এর সম্যক পরিচিতি রয়েছে। আমাজন নদী উপকূলভূমিতে অবস্থিত জঙ্গল ও অন্যান্য শহরে প্রবেশের পূর্বে সর্বশেষ বড় শহররূপে অদ্যাবধি টিকে রয়েছে তার স্ব-মহিমায়।
বানোস দে আগুয়া সান্তা | ||
---|---|---|
পূর্বদিক থেকে বানোস | ||
| ||
ডাকনাম: বানোস | ||
![]() ![]() বানোস দে আগুয়া সান্তা | ||
স্থানাঙ্ক: ১°২৩′৪৭″ দক্ষিণ ৭৮°২৫′২৯″ পশ্চিম | ||
দেশ | ইকুয়েডর | |
প্রদেশ | টাঙ্গুরাহুয়া | |
ক্যান্টন | বানোস | |
সরকার | ||
• ধরন | মেয়র ও কাউন্সিল | |
• মেয়র | মার্লন ফ্যাব্রিসিও গুয়েভারা সিলভা | |
উচ্চতা | ১৮২০ মিটার (৫৯৭১ ফুট) | |
জনসংখ্যা (২০১০) | ||
• মোট | ১৪,৬৫৩[1] | |
সময় অঞ্চল | ইসিটি (ইউটিসি-5) | |
এলাকা কোড | (০)৩ | |
ওয়েবসাইট | www |
টাঙ্গুরাহুয়া আগ্নেয়গিরির উত্তরাংশে বানোসের অবস্থান। সক্রিয় এ আগ্নেয়গিরিটি ১৮২০ মিটর উঁচুতে অবস্থিত। বানোস থেকে এর শক্তিশালী ছাঁই অবলোকন করা যায়।[2] ইপিএনে অবস্থিত ভূপদার্থবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান থেকে এ আগ্নেয়গিরিকে নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকে। শহরের চতুর্দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা উষ্ণপ্রস্রবণগুলো বানোস দে আগুয়া সান্তা নামে পরিচিত। এগুলোয় বিভিন্ন খনিজ উপাদানে ভরপুর।
ইতিহাস
শহরটি রোমান ক্যাথলিকদের পবিত্র তীর্থভূমিরূপে পরিচিত। কিছু ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী বিশ্বাস করেন যে, কুমারীমাতা মেরি জলপ্রপাতের কাছাকাছি এলাকায় দৃশ্যমান হয়েছিলেন। তাই, ক্যাথেড্রালে কুমারীমাতার একটি ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে যা 'ভার্জেন দে আগুয়া সান্তা' নামে পরিচিত। শহরের ইতিহাসের সাথে তাঙ্গুরাহুয়া আগ্নেয়গিরির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
অক্টোবর, ১৯৯৯ সালে শহরের ১৭,০০০+ অধিবাসীর সবাইকে জোরপূর্বক কয়েক সপ্তাহের জন্য বাইরে অবস্থান করতে হয়েছিল।[3]
ভৌগোলিক অবস্থান
পিলারোর ন্যায় বানোস থেকেও দূরবর্তী লাঙ্গানাতেস জাতীয় উদ্যান ও সিরো হারমোজোতে যাবার সূত্রপাত ঘটানো যায়। ক্যাথেড্রাল থেকে প্রধান উদ্যানে যাবার রাস্তাটির সৌন্দর্য্য বর্ধনের কারণে শহরটি নিজেই সৌন্দর্য্যমণ্ডিত হয়েছে। কাছাকাছি থাকা জলপ্রপাতগুলোর মধ্যে ভার্জেন দে আগুয়া সান্তা, আইনেস মারিয়া, আগুয়েয়ান, এল মান্তো দে লা নোভিয়া, পাইলোন দেল ডায়াবলো ও মাঞ্চি অন্যতম।
অর্থনীতি
বানোস তার বিষ্ময়কর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কারণে ইকুয়েডরের জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ কেন্দ্রের অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।[4] এছাড়াও কেবলমাত্র এখানেই ৬০-এরও অধিক জলপ্রপাত রয়েছে। দুঃসাহসিক ক্রীড়াও এখানে সহজলভ্য।[5] স্থানীয় অধিবাসীসহ পর্যটকেরা নৌকাচালনা, ঘোড়দৌড়ে অংশ নিয়ে থাকেন।[5] উৎপাদিত কাণ্ডজাত চিনি দিয়ে টাফি (স্পেনীয়: melcocha; [melˈkotʃa]) প্রস্তুতেও বানোসের সবিশেষ পরিচিতি ঘটেছে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে বানোস দে আগুয়া সান্তা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
Blah Blah Eco Aventura Travel Agency
Turisteando Ecuador Informacion Turistica
উইকিভ্রমণ থেকে Baños ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন- Official Baños Tourism Website
চিত্রমালা
- বানোসের উষ্ণপ্রস্রবণ
- বানোসের জলপ্রপাত
- লা ইগলেসিয়া দে লা ভার্জেন দে অগাস্টা সান্তা কোর্ট
টেমপ্লেট:Canton seats in Tungurahua