বাকমিন্‌স্টার ফুলার

রিচার্ড বাকমিন্স্টার ''বাকি'' ফুলার (১২ জুলাই, ১৮৯৫ - ১ জুলাই, ১৯৮৩) ছিলেন একজন আমেরিকান স্থপতি, প্রকৌশলী, লেখক, নকশাকারক, ভবিষ্যত্দ্রষ্টা, উদ্ভাবকদূরদর্শী

আর. বাকমিন্স্টার ফুলার
বাকমিন্স্টার ফুলার, ১৯৭২-৭৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান্টা বারবারা সফরে
জন্ম(১৮৯৫-০৭-১২)১২ জুলাই ১৮৯৫
মিল্টন, ম্যাসাচুসেটস
মৃত্যুজুলাই ১, ১৯৮৩(1983-07-01) (বয়স ৮৭)
লস এঞ্জেলস, ক্যালিফোর্নিয়া, ইউ.এস.
পেশাদূরদর্শী, নকশাকার, স্থপতি, লেখক, আবিষ্কারক
দাম্পত্য সঙ্গীঅ্যান ফুলার
সন্তান

''মানবতা স্থায়ী ও সফলভাবে টিকে থাকবে কি না এবং যদি থাকে, তবে তা কেমন করে?''- এ প্রশ্নটি নিয়ে ফুলার সারাজীবন ভেবেছেন। নিজেকে একজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ, যার বিশেষ কোনো টাকা-কড়ি বা শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই বিবেচনা করে তার জীবন এই প্রশ্নটির উত্তর-সন্ধানে নিয়োজিত করেছিলেন। মানুষের উন্নয়নে বড় বড় সংগঠন, সরকার এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগ যেখানে অক্ষম, সেখানে একক সত্ত্বা কী করতে পারে তা সন্ধানে তিনি প্রবৃত্ত হয়েছিলেন।

তার জীবনব্যাপী পরীক্ষা-নিরীক্ষার যাত্রায় তিনি তিরিশাধিক পুস্তক রচনা করেছেন। এছাড়াও তিনি অসংখ্য উদ্ভাবনের সাথে জড়িত ছিলেন, মূলতঃ নকশা ও স্থাপত্য ক্ষেত্রে, যার মধ্যে প্রধানতমটি ছিলো জিওডেসিক গম্বুজ। জিওডেসিক গম্বুজের সাথে সাদৃশ্যের জন্যে ফুলারিন অথবা বাকিবলস নামক কার্বন অণুর নামকরণ করা হয়েছে তার নামানুসারে।

শিক্ষাজীবন

বাকমিনিস্টার ফুলার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু তাকে হার্ভার্ড থেকে দুবার বহিষ্কার করা হয়।

কর্মজীবন

ফুলার কানাডার টেক্সটাইল মিলে মেকানিক হিসেবে কাজ করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে রেডিও অপারেটর হিসেবে কাজ করেন।

শিক্ষকতা

১৯৫৯ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটি কার্বনডেল এ শিক্ষকতা করেন। তিনি সেখানে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৬৮ সালে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে উন্নীত হন।

প্যাটেন্ট

ফুলার ২৮টি আমেরিকান প্যাটেন্টের অধিকারী ছিলেন।[1]

সম্মাননা ও পুরস্কার

১৯৮৩ সালে ফুলারকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রীডম প্রদান করে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.