বাংলাদেশী পাসপোর্ট
বাংলাদেশী পাসপোর্ট বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বিদেশে ভ্রমণের কাজে ব্যবহৃত দলিল। জন্মসূত্রে বা অভিবাসনসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকদেরকে এটি বাংলাদেশ সরকার প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস বা বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাস হতে পাসপোর্ট দেয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইসরাইল ব্যতীত পৃথিবীর আর সব দেশে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে।
বাংলাদেশী পাসপোর্ট | |
---|---|
বাংলাদেশ পাসপোর্ট | |
প্রদানকারী সংস্থা | |
প্রকার | পাসপোর্ট |
উদ্দেশ্য | পরিচয় |
প্রদানের যোগ্যতা | বাংলাদেশী নাগরিক |
মেয়াদ | প্রদানের তারিখ হতে ৫ বৎসর |
প্রকার
বাংলাদেশে ৩ রকমের পাসপোর্ট প্রদান করা হয়
- আন্তর্জাতিক সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ মলাট)
- সরকারী পাসপোর্ট (নীল মলাট)
- কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল মলাট)
পাসপোর্টের মধ্যের প্রদত্ত তথ্য
পাসপোর্ট ধারকের তথ্য ৭টি পৃষ্ঠায় বাংলা এবং ইংরেজিতে লিখিত হয়ে থাকে; কিন্তু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্যে কিছু পরিচয়ের তথ্য শুধু ইংরেজিতে লিখিত হয়ে থাকে।
ভেতরের প্রথম প্রচ্ছদে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি আর তার সাথে জাতীয় সঙ্গীত দেয়া হয়েছে।
- প্রথম পাতা
পাসপোর্টের প্রথম পাতাটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দ্বারা আদেশক্রম বাংলা এবং ইংরেজিতে উল্লেখ্য হয়ে থাকে:
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে এই মর্মে জানান যাইতেছে এবং প্রত্যাশা করা হইতেছে যে, ইহার বাহককে অবাধে ও বিনা প্রতিবন্ধকতায় গমনাগমনের অনুমতি এবং তাহার প্রয়োজনে সকল প্রকার সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রদান করা হউক।
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে
- দ্বিতীয় পাতা
পাসপোর্টের দ্বিতীয় পাতাটিতে মূল তথ্য লিখিত হয়ে থাকে। এটিতে সব তথ্য একটি পাতলা প্লাস্টিকের কাগজে পূর্বে মুদ্রিত থাকে। মুদ্রিত তথ্যগুলি হল:
- বাহকের ছবি
- শ্রেণী
- দেশ কোড
- পাসপোর্ট নং
- বংশগত নাম
- প্রদত্ত নাম
- জাতীয়তা
- ব্যক্তিগত নং
- জন্ম তারিখ
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট নং
- লিঙ্গ
- জন্মস্থান
- প্রদানের তারিখ
- প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ
- মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ
- স্বাক্ষর।
ধারকের অধিক তথ্য অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশনসহ সংরক্ষিত থাকে, যেটি শুধুমাত্র একটি বিশেষ যন্ত্র দ্বারা পড়া যায়।
- তৃতীয় পাতা
পাসপোর্টের তৃতীয় পাতায় পাসপোর্ট ধারকের জন্য ৮টি নির্দেশাবলী বাংলায় লিখিত হয়ে থাকে। তার সাথে ইংরেজিতে একটি বিবৃতি লিখিত হয়ে থাকে যার মানে হয় "যদি এই পাসপোর্ট-টি বিদেশে হারিয়ে থাকে, তাহলে তার প্রতিষ্ঠাতা-কে কাছের বাংলাদেশী দূতাবাসে এটি জমা দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।"
- চতুর্থ পাতা
পাসপোর্টের চতুর্থ পাতায় ধারকের আরো তথ্য লিখিত হয়ে থাকে:
- নাম
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- স্বামী বা স্ত্রী এর নাম
- স্থায়ী ঠিকানা
- জরুরী যোগাযোগ
- নাম
- সম্পর্ক
- ঠিকানা
- টেলিফোন নং
ভিসার প্রয়োজনীয়তা
২০১৮ সাল অনুযায়ী, বাংলাদেশী নাগরিকগণের ১১টি দেশ এবং অঞ্চলে ভিসা মুক্ত প্রবেশাধিকার রয়েছে। ভিসা বিধিনিষেধ সূচক অনুযায়ী পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান ১২০তম।
তথ্যসূত্র
ফাতিমা