বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) জাতীয়করণকৃত পাটকলসমূহ নিয়ন্ত্রণ, পরিদর্শন ও সমন্বয়ের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন
সংক্ষেপেবিজেএমসি
গঠিত১৯৭২
ধরণসরকারী
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
অবস্থান
  • আদমজীকোর্ট(এনেক্স-১), ১১৫-১২০, মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
চেয়ারম্যান
ড. মোঃ মাহমুদুল হাসান
স্টাফ
৫,৫০০
স্বেচ্ছাকর্মী
৭০,০০০
ওয়েবসাইটবাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন

ইতিহাস

বাংলাদেশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান (জাতীয়করণ) আদেশ ১৯৭২(রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ২৭,১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ-১০ অনুসারে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) প্রতিষ্ঠিত হয়।

কার্যক্রম

বর্তমানে এ সংস্থার অধীনে ৩টি নন জুট প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২৬টি মিল রয়েছে। ঢাকা অঞ্চলের অধীনে ৭টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধীনে ১০টি এবং খুলনা অঞ্চলের অধীনে ৯টি মিল রয়েছে। আঞ্চলিক মিলসমূহ দেখাশোনা ও সমন্বয়ের জন্য বিজেএমসির দুটি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।

পাট উৎপাদিত স্থান সমূহে সর্বমোট ১৬০টি পাটক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে বিজেএমসি পাট ক্রয় করে। বৃহত্তম পাটপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিজেএমসি প্রধানত হেসিয়ান কাপড়, ব্যাগ, বস্তার কাপড়, বস্তা, সুতা, জিও-জুট, কম্বল, মোটা কাপড়, সিবিসি ইত্যাদি প্রস্তুত করে থাকে, যা সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক তন্তুজাত। বিজেএমসির বিক্রয়বিভাগ এ সকল পণ্য দেশী ও বিদেশী ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে থাকে। এভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিজেএমসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।বর্তমানে বিজেএমসি জনবলের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এ সংস্থার প্রায় ৭০,০০০ শ্রমিক এবং ৫,৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী সরাসরি নিযুক্ত রয়েছে। পরোক্ষভাবে তাদের মাধ্যমে প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষি পরিবার জীবীকা নির্বাহ করে থাকে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এদেশের ৫ কোটিরও অধিক সংখ্যক মানুষ পাট ও পাটশিল্পের উপর নির্ভরশীল।[1][2]

ভিশন

স্বনির্ভর ও লাভজনক সংস্থা হিসাবে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) কে প্রতিষ্ঠা করা।

মিশন

  • বিজেএমসির জন্য বিশ্ববাজারে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা।
  • স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে সর্বোৎকৃষ্ট মানের পাটজাত পণ্য উৎপাদন করা হয়।
  • শতভাগ বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা।
  • কৃষকদের পাটের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির বিষয়ে সহায়তা করা।
  • কৃত্রিম আঁশ ব্যবহারের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারে উৎসাহিত করা।
  • পাট ও পাটশিল্পের উন্নয়নের জন্য সময়োপযোগী নীতি নির্ধারণে এবং বাস্তবায়নে সরকারকে সুপারিশ করা।

প্রধান কার্যাবলী

  • চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বোর্ড অব ডিরেক্টরস কর্তৃক বিজেএমসি পরিচালিত হয়।প্রতিটি মিলের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনের জন্য চেয়ারম্যান বা বিজেএমসির যেকোনো পরিচালক এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি ও ব্যাংকের মনোনীত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একটি করে পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে।পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ সংশ্লিষ্ট মিলের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করে থাকেন। এছাড়া সদস্যগণ মিল সুষ্ঠু ও দক্ষভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।
  • যে সমস্ত অঞ্চলে পাট উৎপাদিত হয়, সে সমস্ত এলাকায় ১৬০টি পাটক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে বিজেএমসি পাট ক্রয় করে।
  • বৃহত্তম পাটপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিজেএমসি প্রধানত হেসিয়ান কাপড়, ব্যাগ, বস্তার কাপড়, বস্তা, সুতা, জিও-জুট, কম্বল, মোটা কাপড়, সিবিসি ইত্যাদি প্রস্তুত করে থাকে, যা সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক তন্তুজাত।
  • বিজেএমসির বিক্রয়বিভাগ এ সকল পণ্য দেশী ও বিদেশী ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে থাকে। এভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিজেএমসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • এছাড়া বিজেএমসি বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্বও পালন করে থাকে। বিজেএমসি একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে সামাজিক দায়িত্ব পালনেও সচেতন। বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খেলোয়াড় ও ক্রীড়াবিদ অন্বেষণ করে থাকে। বিজেএমসির বিভিন্ন মিলসমূহে বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, গোরস্থান, ঈদগাহ, হাসপাতাল, প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, মসজিদ ও খেলার মাঠ রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। এজন্য বিজেএমসি প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে। এখানে কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানসমূহের সংখ্যা উল্লেখ করা হলঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়,

নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, গোরস্থান, ঈদগাহ, ক্যান্টিন, হাসপাতাল, প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, মসজিদ, খেলার মাঠ ইত্যাদি।[2]

বিজেএমসির মিল সমূহ

ঢাকা জোন

  • বাংলাদেশ জুট মিলস লিমিটেড
  • করিম জুট মিলস লিমিটেড
  • লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস লিমিটেড
  • ইউএমসি জুট মিলস লিমিটেড
  • রাজশাহী জুট মিলস লিমিটেড
  • জুটো ফাইবার গ্লাস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড(নন-জুট)
  • জাতীয় জুট মিলস লিমিটেড

চট্টগ্রাম জোন

  • আমিন জুট মিলস লিমিটেড ও ওল্ড ফিল্ডস লিমিটেড
  • গুল আহমেদ জুট মিলস লিমিটেড
  • হাফিজ জুট মিলস লিমিটেড
  • এমএম জুট মিলস লিমিটেড(পরীক্ষামূলকভাবে চালু)
  • আর আর জুট মিলস লিমিটেড(পরীক্ষামূলকভাবে চালু)
  • বাগদাদ-ঢাকা কার্পেট ফ্যাক্টরী লিমিটেড
  • কর্ণফুলী জুট মিলস লিমিটেড
  • ফোরাত কর্ণফুলী কার্পেট ফ্যাক্টরী
  • গালফ্রা হাবিব লিমিটেড(নন-জুট)
  • মিলস ফার্নিসিং লিমিটেড(নন-জুট)

খুলনা জোন

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "আমাদের সম্পর্কে (বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন)"বাংলাদেশ তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৭
  2. "বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন"বাংলাদেশ তথ্য বাতায়ন (বিজেএমসি)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৭

বহিঃসংযোগ

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.