বহির্জাগতিক প্রাণ

বহির্জাগতিক প্রাণ (ইংরেজি: Extraterrestrial life; Alien এইলিয়ান নামেও অতি পরিচিত) বলতে সেই জীবদের বোঝানো হয়, যাদের উদ্ভব এই পৃথিবীতে হয়নি বরং পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বের অন্য কোথাও হয়েছে। বিশ্বের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব আছে বলে অনেক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন আর এই দাবি নিয়ে অনেক বিতর্কও রয়েছে। বর্হিজাগতিক প্রাণের অস্তিত্বের কথা বর্তমানে কেবল কাল্পনিক, কারণ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরে এই পর্যন্ত কোন জীবাণু অথবা অতি হ্মুদ্র জীবাণু আছে বলে, পরিষ্কার প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবুও বিজ্ঞানীদের একটি বিরাট অংশ বিশ্বাস করেন যে, এদের অস্তিত্ব রয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু উল্কাপিণ্ডতে অতি প্রাথমিক ক্ষুদ্র জীবাণুর ছাপের মত কিছু একটা দেখা গিয়েছে, কিন্তু পরীক্ষার প্রমাণ এখনও চূড়ান্ত নয়। এটি কাল্পনিক হওয়া, একে অন্য একটি বিশ্ব থেকে আসা বুদ্ধিমান প্রাণী বলে ধরা হয়ে থাকে। এটি একটি চরিত্র যা বিভিন্ন কাল্পনিক বিজ্ঞান সমন্ধীয় নাটকচলচ্চিত্রগুলোতে দেখা গিয়েছে।

1967 Soviet Union 16 kopeks stamp. Space science fiction. Satellite of extraterrestrial civilization.

বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর বাইরে কিছু স্থান আছে যেখানে প্রাণ বিকশিত করতে পারে, অথবা আমাদের পৃথিবীর মত জীবন বর্তমান। শুক্র গ্রহ[1] এবং মঙ্গল গ্রহ, বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদ এবং শনি গ্রহ (উদাহরণঃ ইউরোপা,[2] ইন্সেলাডুস এবং টিটান), গ্লিজে ৫৮১ সি এবং গ্লিজে ৫৮১ ডি, সাম্প্রতিক কালে আবিষ্কৃত, Earth-mass এর কাছে বহিঃসৌর গ্রহের স্পষ্টভাবে তাদের সূর্যের কাছে বাসযোগ্য অঞ্চল পাওয়া গিয়েছে এবং সেখানে পানি থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে।

পৃথিবীর অনেক দেশের জনগণের মধ্যে দেখা রহস্যময় বিভিন্ন অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু বা ইউএফও এর প্রতিবেদনগুলো বহির্জাগতিক প্রাণকে নির্দেশ করে এবং অনেকেই দাবী করে থাকে যে, বহির্জাগতিক প্রাণী দ্বারা অপহরণ হয়েছে যা বেশির ভাগ বিজ্ঞানীরা মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছে।

ড্রাক সমীকরণ

১৯৬১ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিপদার্থবিদ ড. ফ্যাঙ্ক ড্রাক এবং জ্যোর্তিবিদ সান্তা ক্রুজ ড্রাক সমীকরণের বিভক্ত করেছিলেন। এই বিতর্কিত সমীকরণটি পরবর্তী শর্তাবলীর সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব বংশবৃদ্ধিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে:

  • উপযুক্ত তারকার গঠনের হার
  • সেই তারকাগুলির ভগ্নাংশ যেটি বিশ্ব ধারণ করে
  • পৃথিবী প্রতি গ্রহমণ্ডলের মত পৃথিবীর সংখ্যা
  • বিশ্বের ভগ্নাংশ যেখানে বুদ্ধিমান জীবের বিকশিত করে
  • সম্ভব আলাপী বিশ্বের ভগ্নাংশ।
  • "জীবনকাল" সম্ভব আলাপী সভ্যতার।

ড্রাক আন্দাজ সমীকরণটি ব্যবহার হিসাব করতে গিয়ে বের করেছিল যে, আকাশগঙ্গাতে প্রায় ১০,০০০ গ্রহ আছে যা বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ত্ব আছে। পৃথিবীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করার সম্ভবনাও অনেক।

আরও দেখুন

ঘটনা এবং বস্তু
  • এএলএইচ৮৪০০১ - একটি মঙ্গলীয় উল্কা যাতে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে
বহির্জাগতিক জীবনের জন্য অনুসন্ধান
  • ডারউইন - ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি পরিচালিত একটি মিশন যার উদ্দেশ্য ছিল বহির্জাগতিক প্রাণের সন্ধান
তত্ত্ব সমূহ
বিষয়
  • জ্যোতিঃজীববিজ্ঞান
  • বিরল পৃথিবী প্রকল্প
  • জ্যোতিঃসামাজিক জীববিজ্ঞান
  • Habitable zone
  • Scientific skepticism
  • Alien Invasion
  • বহির্জাগতিক রাজনীতি
  • ফার্মি হেঁয়ালি
স্থান

তথ্যসূত্র

  1. "Venus clouds 'might harbour life'"। BBC News। ২০০৪-০৫-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০৫
  2. Projects explore europa"

প্রাসঙ্গিক অধ্যয়ন

  • জন সি. বেয়ার্ড (১৯৮৭)। The Inner Limits of Outer Space: A Psychologist Critiques Our Efforts to Communicate With Extraterrestrial Beings। হ্যানোভার: ইউনিভার্সিটি প্রেস অফ নিউ ইংল্যান্ড। ISBN ০-৮৭৪৫১-৪০৬-১।
  • জ্যাক কোহেন এবং ইয়ান স্টুয়ার্ট (২০০২)। Evolving the Alien: The Science of Extraterrestrial Life। এবারি প্রেস। ISBN ০-০৯-১৮৭৯২৭-২।
  • ক্রো, মাইকেল জে. (১৯৮৬)। The Extraterrestrial Life Debate, ১৭৫০ - ১৯০০। কেমব্রিজ।
  • Crowe, স্টিফেন জে. (২০০৮)। The extraterrestrial life debate Antiquity to 1915: A Source Book। ইউনিভার্সিটি প্রেস অফ Notre Dame। আইএসবিএন 0-268-02368-9।
  • ডিক, স্টিফেন জে. (১৯৮৪)। Plurality of Worlds: The Extraterrestrial Life Debate from Democratis to Kant। কেমব্রিজ।
  • ডিক, স্টিফেন জে. (১৯৯৬)। The Biological Universe: The Twentieth Century Extraterrestrial Life Debate and the Limits of Science । কেমব্রিজ।
  • ডিক, স্টিফেন জে. (২০০১)। Life on Other Worlds: The 20th Century Extraterrestrial Life Debate। কেমব্রিজ।
  • স্টিফেন জে.ডিক এবং ই. স্ট্রিক (২০০৪)। The Living Universe: Nasa And the Development of Astrobiology। রাটজার্‌স।
  • ডোনাল্ড গোল্ডস্মিথ (১৯৯৭)। The Hunt for Life on Mars। নিউ ইয়র্ক: অ্যা ডাটন বুক। ISBN ০-৫২৫-৯৪৩৩৬-৬।
  • ডেভিড গ্রিনস্পুন (২০০৩)। Lonely Planets: The Natural Philosophy of Alien Life। হার্পারকলিন্স। ISBN ০-০৬-০১৮৫৪০-৬।
  • মাইকেল টি. লেমনিক (১৯৯৮)। Other Worlds: The Search for Life in the Universe। নিউ ইয়র্ক: অ্যা টাচস্টোন বুক।
  • ক্লিফ পিকোভার (২০০৩)। The Science of Aliens। নিউ ইয়র্ক: বেসিক বুক্‌স। ISBN ০-৪৬৫-০৭৩১৫-৮।
  • ক্রিস্টোফার এফ. রথ। (২০০৫) Ufology as Anthropology: Race, Extraterrestrials, and the Occult In E.T. Culture: Anthropology in Outerspaces,; সংস্করণ: Debbora Battaglia. Durham, N.C.: ডিউক ইউনিভার্সিটি প্রেস।
  • কার্ল সাগান এবং আইওসিভ সামুইলোভিচ স্ক্লভ্‌স্কি (Iosif Samuilovich Shklovskii) (১৯৬৬)। Intelligent Life in the Universe। র‌্যান্ডম হাউস।
  • সাগান, কার্ল (১৯৭৩)। Communication with Extraterrestrial Intelligence। এমআইটি প্রেস।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.