বনলতা দাশগুপ্ত
বনলতা দাশগুপ্ত ( ১৯১৫- ১ জুলাই ১৯৩৬) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা।
বনলতা দাশগুপ্ত | |
---|---|
জন্ম | ১৯১৫ |
মৃত্যু | ১ জুলাই ১৯৩৬ |
আন্দোলন | ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন |
জন্ম ও পরিবার
বনলতা দাশগুপ্ত ১৯১৫ সালে ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হেমচন্দ্র দাশগুপ্ত ও মাতার নাম নির্মলাসুন্দরী দাশগুপ্ত[1]।
রাজনৈতিক জীবন
বিদ্যালয়ে পাঠরত অবস্থাতেই বনলতা দাশগুপ্ত স্বদেশী আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হন। বিদেশি বস্ত্র বর্জনের জন্য তার সহপাঠী অন্য ছাত্রীদের কাছে আবেদন জানান। ছোটবেলা থেকেই বিপ্লবীদলে যোগদান করেন বনলতা। ১৯৩০ সালে বনলতার দলের বেশি ভাগ সদস্যই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ফলে দলটা ভেঙে যায়। লেখাপড়া ছাড়াও মোটরগাড়ি ও পিস্তল চালাতে পারতেন বনলতা। কলেজ হোস্টেলে থাকাকালীন রিভলবার রাখার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপরে লালবাজার লকআপে তাকে রেখে তিন দিন ধরে উপর অমানুষিক অত্যাচার চালানো হয়। এরপর প্রেসিডেন্সি জেলের অন্ধকার লকআপে একমাস রেখে দেওয়া হয়।[1] তিনি কিছুদিন হিজলি বন্দি নিবাসে বন্দি ছিলেন।[2]
মৃত্যু
মাত্র একুশ বছর বয়সে ১ জুলাই ১৯৩৬ সালে মারা যান বনলতা দাশগুপ্ত।
তথ্যসূত্র
- কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ১৬০-১৬২। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।
- পতি, ভাস্করব্রত (২২ ডিসেম্বর ২০১৬)। "দেশের প্রথম মহিলা জেল এখন আই আই টি'র গুদামঘর!"। গণশক্তি ডট কম। কলকাতা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-২২।