ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ

ফ্রাঙ্ক কার্টার ডাকওয়ার্থ, এমবিই (ইংরেজি: Frank Carter Duckworth; জন্ম: ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৩৯) ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী অবসরপ্রাপ্ত পরিসংখ্যানবিদ। তবে তিনি ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ নামেই সবিশেষ পরিচিত। বিখ্যাত হয়ে আছেন আরেক ইংরেজ পরিসংখ্যানবিদ টনি লুইসকে নিয়ে যৌথভাবে প্রণীত ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে। এর ফলে বৃষ্টি, আলোকস্বল্পতা কিংবা অন্য কোন কারণে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অথবা টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট খেলায় বিঘ্ন পরিবেশে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন করে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রচলিত পদ্ধতিগুলোকে আরো উন্নততর করার মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করা সম্ভবপর হয়েছে।[1][2]

ফ্রাঙ্ক কার্টার ডাকওয়ার্থ

জন্ম (1939-12-26) ২৬ ডিসেম্বর ১৯৩৯
লিথ্যাম সেন্ট অ্যানেজ, ল্যাঙ্কাশায়্যার
পেশাপরিসংখ্যানবিদ
পরিচিতির কারণডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি, ঝুঁকি ধারণা

প্রারম্ভিক জীবন

২৬ ডিসেম্বর, ১৯৩৯ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়্যারের লিথ্যাম সেন্ট অ্যানেজ এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন ডাকওয়ার্থ।[3] তিনি ১৯৬১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক সম্মান শ্রেণীতে অধ্যয়ন করেন। এরপর ১৯৬৫ সালে লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধাতু বিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।[4] অবসরগ্রহণের পূর্বে তিনি ইংল্যান্ডের একটি পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে গণিতজ্ঞ হিসেবে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন।[5]

কর্মজীবন

ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিসংখ্যানবিষয়ক পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেন।[6][7] এছাড়াও তিনি রয়্যাল স্ট্যাটিসটিক্যাল সোসাইটি থেকে প্রকাশিত সংবাদভিত্তিক পাক্ষিক আরএসএস নিউজের সম্পাদক।[8] ২০১০ সালের পূর্ব পর্যন্ত সিগনিফিক্যান্স সাময়িকীর সম্পাদকীয় পরিষদেরও দায়িত্বে ছিলেন।

এছাড়া, তিনি ব্যক্তিগত ঝুঁকি ধারণা বিষয়ের মানোন্নয়নের জন্যেও পরিচিত হয়ে আছেন।[9] এবিষয়টি বর্তমানে 'ডাকওয়ার্থ স্কেল' নামে বৈশ্বিকভাবে পরিচিত।[10]

সম্মাননা

২০০৪ সালে তিনি রয়্যাল স্ট্যাটিসটিক্যাল সোসাইটি স্কুলে 'লাইজ এন্ড স্ট্যাটিসটিক্স' শিরোনামে নিবন্ধ পাঠ করেন।[11] ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ২০১০ সালে রাণীর জন্মদিনের সম্মানে মেম্বার অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার বা এমবিই মনোনীত হন।[12]

তথ্যসূত্র

  1. Longmore, Andrew (১৬ মে ১৯৯৯), "First Night: Duckworth–Lewis: The odd couple getting even with the weather", The Independent, London, সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১০
  2. Richards, Huw (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৩), "How two statisticians became stars", New York Times, সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১০ একের অধিক |work= এবং |journal= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
  3. "Frank Duckworth — England"ESPNcricinfoESPN। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১১
  4. University of Liverpool Alumni Newsletter:Queen's Birthday Honours list 2010, জুলাই ২০১০
  5. The D/L Method in One-day Cricket: Twelve years on ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে. Announcement for talk by Duckworth at the Australian National University, 20 February 2009
  6. Duckworth to review D/L method, slams Indian rival, MSN, ১৭ জুন ২০০৯
  7. "Duckworth, Lewis to attend World Cup Forum in Antigua", Jamaica Observer, ৩ ডিসেম্বর ২০০৫ .
  8. RSS News Editorial Team ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে, Royal Statistical Society.
  9. Ezard, John (১৬ জুলাই ১৯৯৯), "Riskometer measures life's ups and downs", The Guardian, London, সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১০
  10. Belsky, Gary (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮), "Editor's blog", ESPN Magazine
  11. RSS Schools Lecture (Guy Lecture) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ জুলাই ২০০৯ তারিখে and Past RSS Schools Lectures ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ জুলাই ২০০৯ তারিখে, Royal Statistical Society
  12. "নং. 59446"দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়): 15। ১২ জুন ২০১০।

আরও দেখুন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.