ফুল্লরা

ফুল্লরা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার লাভপুর শহরের কাছে একটি মন্দির কেন্দ্রিক জনপদ। এটি বোলপুর শান্তিনিকেতন থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি হিন্দু তীর্থস্থান ও পর্যটন কেন্দ্র।[1]

ফুল্লরা মন্দির
ফুল্লরা মন্দির, লাভপুর, বীরভূম
ফুল্লরা
মন্দির নগরী
ফুল্লরা মন্দির, বীরভূম
Country ভারত
Stateপশ্চিমবঙ্গ
Districtবীরভূম
Languages
  Officialবাংলা
সময় অঞ্চলIST (ইউটিসি+05:30)
Nearest cityশান্তিনিকেতন

লোকবিশ্বাস অনুসারে, ফুল্লরায় সতীর নিচের( LOWER) ঠোঁটটি পড়েছিল। এই মন্দিরে কোনও বিগ্রহ নেই। সিন্দুরচর্চিত কচ্ছপাকৃতি শিলাখণ্ডই দেবীর প্রতিভূ। এই মন্দিরের পাশে একটি বিরাট পুকুর আছে। কিংবদন্তি অনুসারে, রামের দুর্গাপূজার সময় হনুমান এই পুকুর থেকেই ১০৮টি পদ্ম সংগ্রহ করেছিলেন।[2] ফুল্লরা ভারতের ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম বলে কথিত আছে।[1][3]

ইতিহাস

সুলতান মাহমুদ গজনভির ভারত আক্রমণের সময় একদল বেদানুসারী ব্রাহ্মণ মিথিলা মতান্তরে কনৌজ থেকে বিতারিত হয়ে বঙ্গদেশের বর্মণরাজ হরি বর্মার কাছে আশ্রয় লাভ করেন। তাঁদের কয়েকজনকে দেবী ফুল্লরার পুজোর জন্য নিজের জন্মভূমি সিদ্ধলগ্রাম বা শিতলগ্রামে নিয়ে আসেন বর্মণ রাজের মহা সন্ধি বিগ্রহিক ভবদেব ভট্ট। যাতায়াত-সহ অন্যান্য অসুবিধার জন্য একসময় ওই পুজারীরা ফুল্লরা মন্দির সংলগ্ন বাকুল, ফুলিয়ানগর, অট্টহাস প্রভৃতি জনপদগুলিতে বসতি স্থাপন করে। পরবর্তীকালে ওই বাহ্মণ বংশেরই দীনমণি মিশ্র বাহাদুর বর্মণ রাজা হন। ফুল্লরা মন্দিরের অদূরে দিনমণির রাজধানী গড়ে ওঠে। ফুল্লরা দেবীর মন্দির প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন কৃষ্ণানন্দ গিরি। জানা যায়, একসময় মন্দিরের চূড়ায় স্বর্ণকলস শোভা পেত। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী অন্যান্য পীঠের মতো এখানেও বিশ্বেশ ভৌরব শিবের মন্দির। বর্তমান মন্দিরটি নির্মাণ করিয়েছিলেন যাদবলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।[1]

পাদটীকা

  1. অর্ঘ্য ঘোষ। "লক্ষী লাভেই বদল"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৭
  2. "Fullara"। seemyindia। ২০০৭-০৮-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-১৬
  3. "Labhpur"। Birbhum District administration। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-২৪
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.