ফাইট ক্লাব (চলচ্চিত্র)

ফাইট ক্লাব ১৯৯৯ সালের একটি আমেরিকান চলচ্চিত্র, যা চাক পালেনিক এর ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ডেভিড ফিঞ্চার, এবং মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রাড পিট, এডওয়ার্ড নর্টনহেলেনা বোনহ্যাম কার্টার। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে নর্টন একজন নাম না জানা সাধারণ ব্যাক্তির ভূমিকায় অভিনয় করেন। যে তার দাপ্তরিক কাজে বীতস্পৃহ হয়ে সাবান প্রস্তুতকারক টাইলর ডারডেন (ব্রাড পিট) এর সাথে যুক্ত হয়ে "ফাইট ক্লাব" নামক একটি মারামারির ক্লাব গঠন করে। সে ও টাইলর, মার্লা সিঙ্গার (হেলেনা বোনহ্যাম কার্টার) নামক এক রহস্যময়ী নারীর সাথে এক জটিল সম্পর্কে জড়িয়ে যায়।

ফাইট ক্লাব
সিনেমা হলে মুক্তিপ্রাপ্ত পোস্টার
পরিচালকডেভিড ফিঞ্চার
প্রযোজকআর্ট লিন্সন
চিন কাফিন
রস গ্রেসন বেল
চিত্রনাট্যকারজিম উলস
উৎসফাইট ক্লাব (উপন্যাস)
শ্রেষ্ঠাংশেব্র্যাড পিট
এডওয়ার্ড নর্টন
হেলেনা বোনহ্যাম কার্টার
সুরকারডাস্ট ভ্রাতৃদ্বয়
চিত্রগ্রাহকজেফ ক্রনেনয়েত
সম্পাদকজেমস হেগুড
প্রযোজনা
কোম্পানি
রিজেন্সী এন্টারপ্রাইজ
পরিবেশকটুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স
মুক্তিঅক্টোবর ১৫, ১৯৯৯
দৈর্ঘ্য১৩৯ মিনিট
দেশযুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজী
নির্মাণব্যয়$৬৩ মিলিয়ন
আয়$১০০.৯ মিলিয়ন

টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের প্রযোজক লরা জিস্কিন পালেনিক-এর বইটির চিত্রনাট্য কেনার স্বত্ব কিনে নেন এবং জিম উল্সকে চিত্রনাট্য লেখার দ্বায়িত্ব দেন। ছবিটির প্রতি ফিঞ্চারের প্রবল আগ্রহ বিবেচনা করে প্রযোজকগণ বিবেচনাধীন চারজন পরিচালকদের মধ্যে তাকেই শেষ পর্যন্ত বেছে করেন। ফিঞ্চার ও উল্স ছবির কলাকুশলী ও চলচ্চিত্র শিল্পের আরো অনেকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ করেন। ছবির পরিচালক ও কলাকুশলীগণ ছবিটিকে রেবেল উইদাউট আ কজ(১৯৫৫) ও দ্য গ্রাজুয়েট(১৯৬৭) ছবির সাথে তুলনা করেন। ফিঞ্চার ফাইট ক্লাবের হিংস্রতার মধ্য দিয়ে রূপক আকারে তরুণ প্রজন্ম ও বিজ্ঞাপনের মূল্যবোধের মধ্যকার দ্বন্দ্বটিকে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন।

ছবিটির নির্মাতা প্রযোজকগণ ছবিটিকে পছন্দ করেননি। সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে তাই তারা ফিঞ্চারের প্রচার পরিকল্পনা পুরোপুরি পাল্টে ফেলেন। বক্স-অফিসে ছবিটি আশানুরূপ ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয় এবং সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র রিভিউ পায়। ফাইট ক্লাবকে ১৯৯৯ সালের সর্বাধিক আলোচিত এবং বিতর্কিত ছবিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ডিভিডি মুক্তি পাওয়ার পর ছবিটি বাণ্যিজিক সাফল্য পায়,যা ছবিটিকে একটি ক্লাট চলচ্চিত্র হিসেবে প্রতিষ্টিত করে। সমালোচকদের প্রতিক্রিয়াও ডিভিডি মুক্তির অনেক বেশি প্রশংসামূলক হয়েছে।

২০০৮ সালে ব্রিটিশ চলচ্চিত্র সাময়িকী এম্পায়ার তাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট ৫০০ চলচ্চিত্রের তালিকায় ফাইট ক্লাবকে ১০ নম্বরে স্থান দেয়।[1] ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজ (আইএমডিবি) এর পাঠক জরিপ অনুসারে চলচ্চিত্রটি সেরা ২৫০ চলচ্চিত্রের মধ্যে ১০ নাম্বারে রয়েছে।[2]

তথ্যসূত্র

  1. http://www.empireonline.com/500/94.asp
  2. http://www.imdb.com/chart/top. ২৫,ডিসেম্বর,২০১২ সংগৃহীত

বহিসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.