প্রসন্নচন্দ্র তর্করত্ন
প্রসন্নচন্দ্র তর্করত্ন নবদ্বীপের একজন বিশিষ্ট শ্রেষ্ঠ পন্ডিত।[1][2][3] ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে তিনি নবদ্বীপে টোলে পন্ডিত ছিলেন।[4] এছাড়াও নবদ্বীপের রাজপুরোহিত বংশীয় একজন প্রধান পণ্ডিতও ছিলেন। তিনি গােলােকনাথ ন্যায়রত্নের ছাত্র ছিলেন।[5]
কর্ম জীবন
তিনি নবদ্বীপ মহাবিদ্যালয়ের কাছে টোল স্থাপন করে শিক্ষকতা করতেন। পরে লক্ষৌয়ের বাবুলাল নামে একজন ধনী ব্যক্তি তার টোলটি পাকা ইমারতের তৈরী করে দিয়েছিলেন।[6] তারপর থেকে এটিই নবদ্বীপের পাকাটোল' নামে বিখ্যাত।[7] এই টোলে মিথিলা, দিল্লী, লাহোর, মাদ্রাজ, পুরী প্রভৃতি বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ছাত্ররা এসে অধ্যয়ন করেন।[5][8][9] তার আবাসিক ১৪ জন ছাত্রদের মধ্যে ৫ জন দিল্লি ও লাহোর থেকে, মিথিলা থেকে ৬ জন, দুই জন পুরী এবং একজন তামিলনাড়ু থেকে এসে পড়াশোনা করতেন।[10][11]
এছাড়াও নবদ্বীপ পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সময় উপস্থিত এগারো জন সভ্যের মধ্যে তিনিও একজন সভ্য।[12]
তথ্যসূত্র
- Sanajaoba, Naorem (১৯৮৮)। Manipur, Past and Present: The Heritage and Ordeals of a Civilization (ইংরেজি ভাষায়)। Mittal Publications। আইএসবিএন 9788170998532।
- নবদ্বীপচন্দ্র বিদ্যারত্ন গোস্বামি ভট্টাচাৰ্য্য। আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার। পৃষ্ঠা ৯২।
- শশিভূষণ বিদ্যালঙ্কার (১৯৩৬)। জীবনীকোষ। পৃষ্ঠা ১৪১৫।
- হান্টার, স্যার উইলিয়াম উইলসন (১৯৭৩)। A Statistical Account of Bengal: Districts of Nadia and Jessore (ইংরেজি ভাষায়)। ডি. কে. পাবলিশিং হাউস।
- বসু, অঞ্জলি; গুপ্ত, সুবোধ চন্দ্র সেন (২০১০)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান: প্রায় চার সহস্রাধিক জীবনী-সংবলিত আকর গ্রণ্থ. প্রথম খন্ড। সাহিত্য সংসদ। আইএসবিএন 9788179551356।
- এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল (১৮৬৭)। Proceedings of the Asiatic Society of Bengal। লন্ডন প্রাকৃতিক ইতিহাস যাদুঘর গ্রন্থাগার। কলকাতা।
- কমিশনার, ভারতের জনগণনা (১৯৫৩)। District Handbooks: West Bengal (ইংরেজি ভাষায়)। এস. এন. গুহ রয়।
- রাড়ি, কান্তিচন্দ্র (২০০৪)। নবদ্বীপ মহিমা। নবদ্বীপ পুরাতত্ত্ব পরিষদ।
- notes, Willis's Current (১৮৬৮)। Willis's Current notes (ইংরেজি ভাষায়)।
- THE COMMUNICATION OF THE SHASTRIYA CULTURAL TRADITION।
- Journal Of The Madras University,vol.28,no.2(january)। ১৯৫৭।
- মন্ডল, মৃত্যুঞ্জয় (২০১৩)। নবদ্বীপের ইতিবৃত্ত। নবদ্বীপ সাহিত্য সমাজ। পৃষ্ঠা ৩৪৯।