প্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

প্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (স্পেনীয়: Universidad de Palencia) স্পেনের প্রাচীনতম ও প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিশপ তেল্লো তেলেজ ডে মেনেজেসের অনুরোধক্রমে অষ্টম আলফন্সো বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সালামানকা বিশ্ববিদ্যালয়ও এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠা পায়।

ইউনিভার্সিদাদ ডে প্যালেন্সিয়া
এল স্তাদিয়াম জেনেরেল ডে প্যালেন্সিয়া
স্থাপিত১২০৮-১২১২
অবস্থান
প্যালেন্সিয়া
,

পড়াশোনা শুরু হলে প্যালেন্সিয়ার সুনাম চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা তাঁদের ভাগ্যান্বেষণে যুদ্ধবিদ্যা ও বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষা নেয়ার জন্য এর বিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি হন। তন্মধ্যে সেন্ট কুয়েঙ্কা জুলিয়ান, সেন্ট ডোমিনিকসেন্ট পিটার গঞ্জালেজ টেলমো অন্যতম।

ইতিহাস

লাস নাভাস ডে তোলোসা বিজয়ের অল্প কিছুদিন পর আনুমানিক ১২১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠা ঘটে। কেউ কেউ ১২০৮ সালকে স্থাপনকালরূপে উল্লেখ করে থাকেন। রাজার আদেশক্রমে ফ্রান্সইতালি থেকে কলা ও বিজ্ঞান বিষয়ের প্রথিতযশা শিক্ষকদেরকে বিরাট অঙ্কের বেতনের বিনিময়ে প্যালেন্সিয়ায় নিয়োগ দেন।

ডোমিনিকান অর্ডারের প্রতিষ্ঠাতা সেন্ট ডোমিনিক প্যালেন্সিয়ার প্রাক্তন শিক্ষার্থীরূপে নিজেকে পরিচিতি ঘটান। ডন ডিয়েগো ডি’আজেভেদোও’র কাছ থেকে তিনি শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন।[1]

বিলুপ্তি

সংখ্যালঘু প্রথম হেনরি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ১২১৪ সালে তাঁর দেহাবসান ঘটলে ও সালামানকা’র আবির্ভাব হলে প্যালেন্সিয়ার দূরবস্থা ঘটতে শুরু করে। এখান থেকে অনেক অধ্যাপক ও ছাত্র সেখানে চলে যায়।

১২৪৩ সালে আর্চবিশপ রদ্রিগো এক লিখিত দলিলে উল্লেখ করেন যে, দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা স্বত্ত্বেও প্যালেন্সিয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা অব্যাহত ছিল এবং ১২২৮ সালে ভালাদোলিদ কাউন্সিলের যাজকীয় প্রতিনিধি জুয়ান ডে আবেভিলের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় এর পুণরুজ্জীবন ঘটে। ১৪ মে, ১২৬৩ তারিখে বিশপ ফার্নান্দো পোপ চতুর্থ আরবানের কাছ থেকে প্যালেন্সিয়ার অধ্যাপক ও ছাত্রদেরকে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভূক্তির অনুমোদন লাভ করান।

কিন্তু, আর্থিক সহযোগিতার অভাব ও নিকট অবস্থানকারী সমৃদ্ধ সালামানকা বিশ্ববিদ্যালয় প্যালেন্সিয়ার প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। ফলশ্রুতিতে ১৩শ শতাব্দীর শেষদিকে ও সম্ভবতঃ ১২৬৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবলোপন ঘটে। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি নিশ্চিতরূপে ভালাদোলিদে স্থানান্তরিত হয়। বিশপ তেলো ডোমিনিকান ও ফ্রান্সিসকানদের নিয়ে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভবনরূপে একে গড়ে তোলেন। শেষেরটি সেন্ট পিটার গঞ্জালেজ টেলমো’র রূপান্তরের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

তথ্যসূত্র

  1. The Catholic Encyclopedia <http://www.newadvent.org/cathen/05106a.htm>
  •  This article incorporates text from a publication now in the public domain: Herbermann, Charles, সম্পাদক (১৯১৩)। "article name needed"। Catholic Encyclopedia। New York: Robert Appleton।, http://www.newadvent.org/cathen/11417c.htm

আরও দেখুন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.