প্যারাচৌম্বক পদার্থ

যে সকল পদার্থকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা দুর্বলভাবে আকর্ষিত হয় অর্থাৎ চুম্বকক্ষেত্রের উৎসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে তাদের প্যারাচৌম্বক পদার্থ বলে।

উৎস

সাধারণত প্যারাচৌম্বকত্ত্ব সেই সব পদার্থে দেখা যায় যাদের পরমাণুর সর্ব শেষ কক্ষ কে বিজোড় ইলেক্ট্রন থাকে। ইলেক্ট্রন গুলো আবদ্ধ  কক্ষে আবর্তন করার জন্যে তড়িত উৎপন্ন হয়। এই আবর্তন কারি ইলেক্ট্রনগুলো চৌম্বক দ্বিমেরু এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে যাদের অভিমুখ তাদের নিম্ন অথবা উর্ধগামী স্পিনের অভিমুখের দ্বারা নির্ধারিত হয়। যুগ্ম সংখ্যাক ইলেক্ট্রন থাকলে নিম্ন এবং  উর্ধগামী স্পিন একে অপরকে প্রশমিত করে দেয়,এর ফলে সমষ্টি গতভাৱে মোট স্পিন শূন্য অর্থাৎ মোট দ্বিমেরু ভ্রামক  শূন্য  হয়। কিন্তু বিজোড় ইলেক্ট্রন সম্পন্ন পরমাণুর একটি মোট দ্বিমেরু ভ্রামক থাকে। সাধারণ তাপমাত্রায় কোন প্যারাচৌম্বক পদার্থে সমস্ত পরমাণুর দ্বিমেরু ভ্রামক  গুলো  বিভিন্ন অভিমুখে সজ্জিত থাকে এরফলে পদার্থের কোনো চৌম্বক ধৰ্ম দেখা যাই না। যখন পদার্থ টিকে একটি চৌম্বকক্ষেত্রে রাখা হয় সমস্ত বিজোড় ইলেক্ট্রন গুলোর দ্বিমেরু ভ্রামক গুলি চৌম্বকক্ষেত্রের অভিমুখে ঘোরার চেষ্টা করে  কিন্তু সেই উষ্ণতায় তাপশক্তি(KT,যেখানে  k =বোল্টজম্যান ধ্রুবক)দ্বিমেরু ভ্রামক গুলো কে চোম্বকক্ষেত্রের বিপরীত অভিমুখে রাখার চেষ্টা করে। ফলসরূপ দ্বিমেরু ভ্রামক গুলি চোম্বকক্ষেত্র এর সাথে একটি কোনে সজ্জিত থাকে  এরফলে অল্প চৌম্বকত্ত্ব এর সৃষ্টি হয়। যে সকল পদার্থকে চৌম্বকক্ষেত্রে স্থাপন করা হলে চুম্বকায়নকারী ক্ষেত্রের দিকে সামান্য চুম্বকত্ব লাভ করে তাদেরকে প্যারাচৌম্বক পদার্থ বলে।

উদাহরণ

তথ্যসূত্র

  1. উচ্চ মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান। ৫ম অধ্যায়: শাহাজাহান তপন। পৃষ্ঠা ২১৫।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.