পেশাদারি কুস্তি ম্যাচের ধরনসমূহ

পেশাদারি কুস্তিতে বিভিন্ন প্রকারের ম্যাচ হয়। কখনো তা গিমিক অনুযায়ী হয় আবার কখনো স্টোরিলাইন অনুযায়ী। যেহেতু পেশাদারি কুস্তির ইতিহাস অনেক দশকের তাই এর ম্যাচ সবসময় বদলাতে থাকে।

একক ম্যাচ

পেশাদারি কুস্তির বেশিরভাগ ম্যাচ সিঙ্গেল ম্যাচ হয়। যেখানে দুইজন প্রতিযোগী একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে। সিঙ্গেল ম্যাচ সাধারণত পিনফলের মাধ্যমে বিজয়ী হয়। এছাড়াও ডিসকোয়ালিফিকেশন, কাউন্টআউট, নকআউট, সাবমিশন এর মাধ্যমে ম্যাচ জিতা যায়।

ট্যাগ টিম ম্যাচ

ট্যাগ টিম ম্যাচ হয় দুই দলের মধ্যে যেখানে প্রতি দলে দুই বা তার অধিক প্রতিযোগী থাকে। এই ম্যাচে প্রতি দলের একজন রিংয়ে থাকে। রেসলাররা তাদের অবস্থান ট্যাগ (হাই ফাইভ) এর মাধ্যমে বদলায়। যাকে ট্যাগ দেওয়া হয় সে রিংয়ে এসে লড়াই করে। একটি সাধারণ ট্যাগ টিম ম্যাচে পিনফল, সাবমিশন, কাউন্টআউট, নকআউট, ডিসকোয়ালিফিকেশনের মাধ্যমে জয় লাভ করা যায়। ডাব্লিউডাব্লিউই এর মতো প্রোমোশনে ট্যাগ টিম ম্যাচে সাধারণত প্রতি দলে দুই জন থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে তিন (ট্রিপল থ্রেট) বা চার (ফেটাল-৪-ওয়ে) বা পাচঁজনের মধ্যে হতে পারে।[1] কিন্তু মেক্সিকান প্রোমোশন লুচা লিবারে ডাব্লিউসিডাব্লিউ তে তিন জনের ট্যাগ টিম ম্যাচ সাধারণ ব্যাপার।

টর্নেডো ট্যাগ টিম ম্যাচ

টর্নেডো ট্যাগ টিম বলা হয় অনেকগুলো ট্যাগ টিম একসাথে খেলা বিশেষ করে ডাব্লিউডাব্লিউইতে। এসব ম্যাচ স্টিল কেইজ ম্যাচ, ল্যাডার ম্যাচও হতে পারে।(যদি টাইটেল ম্যাচ হয় তাহলে যদি টাইটেলধারী দলের একজনকে পিন করলেও অপর জনকে পিন না করা পর্যন্ত টাইটেল তাদের কাছে থাকে)

এলিমিনেশন ট্যাগ টিম ম্যাচ

এই ম্যাচগুলো হয় এলিমিনেশনের নিয়মের মধ্যে। যেখানে সবাইকে এলিমিনেট করে যে টিম রিংয়ে থাকে সে বিজয়ী হয়। একটি সহজ উদাহারণ হিসেবে বলা যায় সার্ভাইভার সিরিজ এর ম্যাচ। যেখানে চার বা পাচঁ কখনো কখনো সাতজনও এই ম্যাচগুলো তে অংশ নেয়। এই ম্যাচে সিঙ্গেল ম্যাচের নিয়মে জয় লাভ করা যায়।

উইনার টেকস অল ম্যাচ

এই ম্যাচে দুইজন চ্যাম্পিয়ন মুখোমুখি হয়। যেখানে বিজয়ী উভয় টাইটেল নিয়ে নেয়।[2] এটি কোনো চ্যাম্পিয়নশীপ ইউনিফিকেশন ম্যাচ না।[3]

এম্পটি এরেনা ম্যাচ

এটি হচ্ছে একধরনের হার্ডকোর ম্যাচ যেটি শূন্য এরেনায় অনুষ্ঠিত হয়। মানে সেখানে দর্শক থাকে না। শুধুমাত্র রেফারি, রেসলাররা, ধারাভাষ্যকার এবং ক্যামেরাম্যান ছাড়া কেউই এই ম্যাচ চলাকালীন উপস্থিত থাকে না। এই ম্যাচ পরে ভিডিওটেপ বা দেখানো হয়। উদাহারণ হিসেবে বলা যায় দ্য রক এবং ম্যানকাইন্ড এর ম্যাচ যেটি ডাব্লিউডাব্লিউএফ চ্যাম্পিয়নশীপের জন্য হয়েছিল। যেটি হয়েছিল জানুৃয়ারি ৩১, ১৯৯৯ সালে ডাব্লিউডাব্লিউএফ এর সুপার বউল হাফটাইম শো তে। এম্পটি এরেনা ম্যাচ খুবই দুষ্প্রাপ্য কারণ এই ম্যাচগুলো দর্শক দেখে না এবং এদের টিকিট বিক্রি করা হয় না।[4]

ফলস কাউন্ট অ্যানিহোয়াইর ম্যাচ

ফলস কাউন্ট অ্যানিহোয়াইর ম্যাচে যেকোনো জায়গায়, এরেনার যেকোনো অংশে একজন রেসলার কে শুধুমাত্র পিন করে ম্যাচ জিতা যায়। এ ম্যাচে কাউন্টআউটের রুলও রয়েছে। এ ম্যাচটিকে হার্ডকোর বানানোর জন্য এই ম্যাচটি সাধারণত নো ডিসকোয়ালিফিকেশন রুলে হয়। ম্যাচ চলাকালীন রেসলাররা হাতের কাছে যা পায় তা দিয়েই ম্যাচ খেলতে পারবে।

এটির পরিবর্তনকৃত ম্যাচে পিন রেসলাররা রেফারির ১০ বা ৩০ কাউন্টের মধ্যে যদি রিংয়ে আসতে না পারে তাহলে অপর রেসলার কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

এই ম্যাচের স্টিপুলেশন এর একটি নতুন পরিবর্তন হলো সাবমিশন কাউন্ট অ্যানিহোয়াইর। যেটি ব্রেকিং পয়েন্টে ডিএক্স আর দ্য লিগেসির ম্যাচের মাধ্যমে অভিষিক্ত হয়।

সাধারণত ফলস কাউন্ট অ্যানিহোয়াইর ম্যাচে এরেনার যেকেনো জায়গায় পিন করে ম্যাচ জিততে হয়। কিন্তু মাসএকার:ইন ইউর হাউজে হার্ডকোর হলি অল স্নোকে একটি নদীর তীরে পিন করেছিল।

ফ্ল্যাগ ম্যাচ

এই ম্যাচটি হলো ক্যাপচার দ্য ফ্ল্যাগ এর পেশাদারি কুস্তি সংস্করণ। যেখানে দুইটি পতাকা দুই বিপরীত টার্নবাকলে থাকে। এই ম্যাচে রেসলার তার দেশের পতাকা নেওয়ার চেষ্টা করে আর অন্য রেসলার বাধা দেয়। যে পতাকা নিতে সক্ষম হয় সেই বিজয়ী হয়। যদি রেফারির ফলাফল নির্ধারণ করতে সমস্যা হয় তাহলে রেসলাররা আবার পতাকা টার্নবাকলে রাখে এবং ম্যাচ পুনরায় শুরু হয়। এই ম্যাচ শেষে বিজয়ী রেসলারের দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। যেমনটা অলিম্পিকে গোল্ড মেডেল জিতলে করা হয়। মূলত এই ম্যাচে ফেস রেসলারদের দেশপ্রেম দেখানো হয়।

রিডিইউসড ক্লোথিং ম্যাচ

এটি নারীদের রেসলিং ম্যাচ। যেখানে তারা শুধু লিংগেরি, বিকিনি, স্কুলগার্ল আউটফিট, ভিজা কাপড় বা নগ্ন হয়ে রেসলিং করে। নেকড ওমেন রেসলিং লীগ এ এরকম নগ্ন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে নারী রেফারি নগ্ন অবস্থায় থাকে।

হ্যান্ডিক্যাপ ম্যাচ

এরকম ম্যাচে একজন রেসলার বা একটি ট্যাগ টিম তাদের থেকে দুই বা তিনজনের সাথে ম্যাচ খেলে। যেমন একজনের সাথে দুইজন বা দুইজনের সাথে তিনজন ম্যাচ খেলে। সাধারণত একজন বেবিফেস রেসলার দুইজন বা টিমের সাথে (হিল) ম্যাচ খেলে যেখানে তারা অন্যায়ভাবে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। ২-অন-১ হ্যান্ডিক্যাপ ম্যাচ ট্যাগ টিম নিয়মে হয় যেখানে একজন রেসলার রিংয়ে থাকে। এবং একে অপর কে ট্যাগ করতে পারে। মূলত ১৯৮০-৯০ এর দশকে হ্যান্ডিক্যাপ ম্যাচ খেলা শুরু হয়। যেখানে বিশালদেহের রেসলাররা (যেমন: কিং কং বাডি, বিগ ভ্যান ভেদার, ইয়োকুজনা) প্রতিপক্ষকে টিমকে অধিক ডমিনেট করার মাধ্যমে তাদের গিমিক ফুটিয়ে তুলতো।

আয়রন ম্যান ম্যাচ

এই ম্যাচটি হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে রেসলার সবচেয়ে বেশিবার জিতবে সে ম্যাচে জয়ী হবে। যেখানে পিনফল, সাবমিশন, ডিসকোয়ালিফিকেশন আর কাউন্টআউটের মাধ্যমে ম্যাচ জিতা যায়।

লাম্বারজ্যাক ম্যাচ

লাম্বারজ্যাক ম্যাচে কয়েকজন কুস্তিগীর (যারা এই ম্যাচে খেলছে না) তারা রিংয়ের চারপাশে ঘিরে রাখে। লাম্বারজ্যাক ম্যাচে রেসলাররা রিংয়ের বাইরে গেলে লাম্বারজ্যাকসরা (যারা লাম্বারজ্যাকে অংশগ্রহণ করে) তাদের রিংয়ে ফেরত পাঠায়। নারী লাম্বারজ্যাক হলে তাদের লাম্বারজিলস বলে। লাম্বারজ্যাক ম্যাচ চলাকালীন রিংয়ের বাইরে হিল এবং ফেস রেসলারদের ব্রল এই ধরনের ম্যাচের সাধারণ বিষয়। এছাড়াও হিল ও ফেস রেসলাররা আলাদা দল থাকায় মাঝেমাঝে হিল রা রিংয়ের ভিতরে অন্য আরেক হিল রেসলার (রিংয়ের দুইজন প্রতিযোগীর যেকোনো একজন) এর সাহায্যে করে।

স্ট্রিপ ম্যাচ

এই ধরনের ম্যাচে পিনফল বা সাবমিশনের মাধ্যমে জয়ী হয় না। জয়ী হতে হলে প্রতিপক্ষ রেসলারের কাপড় খুলে ফেলতে হয়। এটিটিউড এরা তে নারী রেসলাররা এই ধরনের ম্যাচ খেলতো।

ব্রা অ্যান্ড প্যান্টি ম্যাচ

ব্রা এন্ড প্যান্টি ম্যাচ মূলত নারী রেসলারদের ম্যাচ। এই ম্যাচে যে আগে প্রতিপক্ষের ব্রা বা প্যান্টি খুলে ফেলবে সে বিজয়ী হবে।

টুক্সেডো ম্যাচ

এই ম্যাচ হয় দুইজন পুরুষ প্রতিযোগী মুখোমুখি হয় যেখানে প্রতিযোগী রা একে অপরের টুক্সেডো খুলার চেষ্টা করে। যে টুক্সেডো খুলতে সক্ষম হয় তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

নন রেসলিং ম্যাচ

নন রেসলিং ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ভিন্ন রকম এক নিয়মে। যেখানে পেশাদার কুস্তির বাইরে রেসলিং ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

আর্ম রেসলিং ম্যাচ

একটি আর্ম রেসলিং ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় আর্ম রেসলিং এর রুলস অনুযায়ী।

বক্সিং ম্যাচ

বক্সিং ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় বক্সিং এর নিয়মানুযায়ী। যেখানে রেসলাররা বক্সিং গ্লাভস পরে এবং রাউন্ড অনুযায়ী ম্যাচ হয়। সাধারণ এসব ম্যাচে শেষ হয় যখন একজন রেসলার চিটিং করে বা পেশাদারি কুস্তির মুভস গুলো ব্যবহার করে।

মিক্সড মার্শাল আর্টস ম্যাচ

মিক্সড মার্শাল আর্টস (এমএমএ) ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় নিজস্ব নিয়মানুযায়ী। যেখানে পিনফলের মাধ্যমে জয়ী হওয়া যায় না।

সুমো ম্যাচ

সুমো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সুমোর নিয়মে। যেখানে একজন রেসলার অপর রেসলারের দেহের যেকেনো অংশ ম্যাটে স্পর্শ করাতে পারলেই বিজয়ী হয়।

হার্ডকোর রুলস ভিত্তিক ম্যাচ

হার্ডকোর ম্যাচ হলো যেখানে প্রথাগত পেশাদারি কুস্তির নিয়ম প্রয়োগ করা হয় না। সাধারণ ভাবে বলতে গেলে "নো ডিসকোয়ালিফিকেশন" রুলের ম্যাচ। কয়েকটি হার্ডকোর ম্যাচ হলো স্ট্রিট ফাইট, এক্সটিম রুলস ম্যাচ, আল্ট্রাভায়োলেন্ট রুলস ম্যাচ (সিজেডডাব্লিউ এর নতুন হার্ডকোর ম্যাচ যেখানে ল্যাডার, টেবিল, স্টিল চেয়ার, টাম্বটেকস, বার্বেট ওয়্যার, হুইট ওয়েকারস, লাইচ টিউব এবং আগুন যুক্ত থাকে), হার্ডকর এক্স-ট্রিম ম্যাচ (হার্ডকোর মম্যাচের একটি সংস্করণ যেখানে অন্যান্য হাতিয়ার ছাড়াও জলন্ত টেবিল, জলন্ত চেয়ার, রেজার ওয়্যার, কাঁচের এর টুকরা, বার্বেট ওয়্যারে মুড়ানো হাতিয়ার যুক্ত থাকে), নো হোল্ডস ব্যারেড ম্যাচ, বিম্বো ব্রল (নারীদের হার্ডকোর ম্যাচ) এবং গুড হাউসকিপিং ম্যাচ (যেখানে রান্নাঘরের হাতিয়ার যুক্ত থাকে)

বার্বেট ওয়্যার স্টিল কেইজ ম্যাচ

বার্বেট ওয়্যার স্টিল কেইজ ম্যাচ একটি সাধারণ স্টিল কেইজ ম্যাচের মতো না। এই ম্যাচগুলোতে স্টিল কেইজ বার্বেট ওয়্যার দিয়ে মুড়ানো থাকে। এই ম্যাচের আরেকটি পরিবর্তমান ম্যাচ হলো রেজার ওয়্যার ম্যাচ।

ক্লক ওয়ার্ক অরেঞ্জ হাউজ অফ ফান ম্যাচ

ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ হাউজ অফ ফান ম্যাচটি রাভেন'স হাউজ অফ ফান বা সহজভাবে হাউজ অফ ফান ম্যাচ নামে পরিচিত। এ ম্যাচটি একজন পেশাদার কুস্তিগীর রাভেন তৈরি করেছে। এটি একটি সিঙ্গেল ম্যাচ যেখানে রিং পোস্টের পাচঁ থেকে ছয় ফুট উপরে স্টিল চেইন ঝুলানো থাকে। আর বিভিন্ন পোস্টে বিভিন্ন ধরনের স্টিল চেইন আে হাতিয়ার থাকে। প্রথম ম্যাচে এই ম্যাচ জেতার একটাই উপায় ছিল যেটা ছিল প্রতিপক্ষকে রাভেন'স পার্চ এ ছুড়ে ফেলার পর দুইটি টেবিলের মধ্যে ছুড়ে মারা। পরে এটিকে ফলস কাউন্ট অ্যানিহোয়াইর ম্যাচে রূপান্তর করা হয়।

ফ্যান'স ব্রিং দ্য ওয়েপুন ম্যাচ

এই ম্যাচে দর্শকরা হাতিয়ার নিয়ে আসে। মাঝেমাঝে এগুলো রিং সাইডে থাকে। এই ধরনের ম্যাচ ইসিডাব্লিউ তে বেশি জনপ্রিয় যেটি এখন বন্ধ হয়ে আছে।

ফার্স্ট ব্লাড ম্যাচ

এই ম্যাচটি একটি নো ডিসকোয়ালিফিকেশন ম্যাচ যেখানে প্রতিপক্ষকে আগে রক্তাক্ত করলে ম্যাচ জেতা যায়। একই ধরনের একটি ম্যাচ "স্যাডিস্টিক ম্যাডনেস" যেটি টোটাল ননস্টপ অ্যাকশন রেসলিং দ্বারা তৈরিকৃত, যেখানে একজন রেসলারকে পিন করতে হয়।

লাস্ট ম্যান স্ট্যান্ডিং ম্যাচ

এটি একটি হার্ডকোর স্টাইলের ম্যাচ যেখানে নকআউট এর মাধ্যমে বিজয়ী হওয়া যায়। কোনো রেসলার যদি রেফারির ১০ কাউন্টের আগে উঠতে সক্ষম না হয় তবে প্রতিপক্ষ ম্যাচের বিজয়ী হবে। এটি বক্সিং এর নকআউট এর সাথে মিলে যায়। এরকম সাদৃশ্যপূর্ণ ম্যাচ টেক্সাস ডেথ ম্যাচ (বা মেক্সিকান ডেথ ম্যাচ) যেখানে একজন রেসলার যদি রেফারির ১০ কাউন্টের মধ্য টেপআউট করে তাহলে প্রতিপক্ষ জয়ী হয়।

নো কাউন্টআউট ম্যাচ

নো কাউন্টআউট ম্যাচে যেখানে দুজন প্রতিযোগীই রিংয়ের বাইরে থাকতে পারবে এবং রিংয়ের বাইরে ১০ বা ২০ সেকেন্ডের মতো পড়ে থাকতে পারবে।[5]

নো হোল্ডস ব্যারেড ম্যাচ

একটি নো হোল্ডস ব্যারেড ম্যাচ "নো ডিসকোয়ালিফিকেশন" ম্যাচ হিসেবেও পরিচিত।[6] কখনো কখনো "অ্যানিথিং গো'স ম্যাচ", "বুট ক্যাম্প ম্যাচ" ও রাভেন'স রুল ম্যাচ ও বলা যায়। যেখানে একজন রেসলার আরেকজনের হস্তক্ষেপের ফলে এবং বিভিন্ন হাতিয়ার ব্যবহারের ফলে ডিসকোয়ালিফাই হয় না। এটির মূল পার্থক্য হলো প্রথাগত হার্ডকোর ম্যাচগুলোই বিভিন্ন হাতিয়ার ব্যবহারের কথা বলা থাকলেও এটিতে চাইলেই ব্যবহার করতে পারে। আর ম্যাচের পিনফল রিংয়ের ভিতরে হতে হয়। নাহলে এটি একটি স্ট্রিট ফাইট হিসেবে পরিচিতি পেত।[7]

টাইপেই ডেথম্যাচ

টাইপেই ডেথম্যাচে রেসলারদের প্রতিপক্ষকে কাঁচে ছুড়ে মারা, ভাঙ্গা গামে আটকিয়ে রাখা যায়। ম্যাচগুলোতে পিনফল, সাবমিশন এবং পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে জয়ী হওয়া যায়। [8]

তথ্যসূত্র

  1. WWE (২০১৭-০৯-১৮), Dean Ambrose & Seth Rollins vs Sheamus & Cesaro vs Luke Gallows & Karl Anderson: Raw, Sept. 18, 2017, সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৯
  2. "Summerslam 2008 Winner Take All Match - WWE.com"। ২০১৫-১১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-২৮
  3. "Seth Rollins' U.S. Title reign - WWE.com"। ২০১৫-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-২৮
  4. "Mid-Week Report"। DDT Digest। ২০০৭-০৯-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-২০
  5. "2007 Wrestling almanac & book of facts"। Wrestling’s historical cards। Kappa Publishing। ২০০৭। পৃষ্ঠা 113।
  6. "Monday Nitro results – December 20, 1999"। DDT Digest। ১৯৯৯-১২-২০। ২০০৮-১১-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-০৫
  7. Shields, Brian; Sullivan, Kevin (২০০৯)। WWE EncyclopediaDorling Kindersley। পৃষ্ঠা 226। আইএসবিএন 978-0-7566-4190-0।
  8. Scott E. Williams (২০০৭)। Hardcore History: The Extremely Unauthorized Story of ECW। Sports Publishing LLC। পৃষ্ঠা 65। আইএসবিএন 1-59670-021-1।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.