পাবনা মানসিক হাসপাতাল

পাবনা মানসিক হাসপাতাল মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী, অসুস্থ অথবা আহতকে ঔষধ ও শল্যচিকিৎসা এবং যথাযথ সেবাশুশ্রূষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।[1] এটি বাংলাদেশ এর একমাত্র মানসিক হাসপাতাল। পাবনা মানসিক হাসপাতালে সরকার অনুমোদিত একটি জনকল্যাণ সংস্থা রয়েছে। রোগীরা সুস্থ হওয়ার পর তাদের নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর খরচ এই সংস্থা বহন করে। জীবন রক্ষাকারী ঔষধপত্রও এই সংস্থা সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও হাসপাতালে থাকা অবস্থায় সক্ষম রোগীদের চাকুরি বা কাজের ব্যবস্থাও এই সংস্থাটিই করে।

পাবনা মানসিক হাসপাতাল
পাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রধান প্রবেশপথ
ভৌগলিক অবস্থান
অবস্থানহেমায়েতপুর, পাবনা, রাজশাহী, বাংলাদেশ
সংস্থা
তহবিলসরকারি হাসপাতাল
হাসপাতালের ধরনবিশেষায়িত
পরিষেবা
বিছানা৪০০
ইতিহাস
প্রতিষ্ঠিত১৯৫৭

ইতিহাস

১৯৫৭ সালে তৎকালীন পাবনা জেলার সিভিল সার্জন একটি জমিদার বাড়িতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৯ সালে জেলা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে হিমাাইতপুরে ১১২.২৫ একরের একটি চত্বরে হাসপাতালটি স্থানান্তরিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে শয্যা সংখ্যা ছিল ৬০, যা পরবর্তীকালে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০-তে দাঁড়ায়। পরে ১৯৬৬ সালে আরও ২০০ শয্যা যুক্ত হয়। মোট শয্যার ২৮০টি নন-পেয়িং এবং ১২০টি পেয়িং। হাসপাতালটির মোট ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে পুরুষ রোগীদের জন্য ১৩টি (১১টি নন-পেয়িং, ২টি পেয়িং) এবং মহিলা রোগীদের জন্য ৫টি (৪টি নন-পেয়িং, ১টি পেয়িং) নির্দিষ্ট। সম্প্রতি আরও ১০০ শয্যা সংযোজনের কাজ চলছে।

পাবনা মানসিক হাসপাতাল ভবন

পরিচালনা

বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর থেকে এই সংস্থা বাৎসরিক অনুদান পায়। এছাড়া এটি দুগ্ধখামার, কৃষি খামারসহ কয়েকটি প্রকল্পও পরিচালনা করে। এসব কার্যক্রম থেকে অর্জিত অর্থ রোগীদের কল্যাণে ব্যবহূত হয়। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকেও সংস্থাটি অনুদান পায়।[1]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Pabna District / পাবনা জেলা"পাবনা মানসিক হাসপাতাল। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি ও বেসিস। ১০ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.