পাণ্ডু

মহাভারতে বর্ণিত হস্তিনাপুরের রাজা। পাণ্ডবদের পিতা। বিচিত্রবীর্যের কনিষ্ঠ সন্তান। অভিশপ্ত জীবনের কারণে স্ত্রী সহবাসের পর দেহ ত্যাগ করেন। পাণ্ডুর দুই স্ত্রী। যথাঃ কুন্তী এবং মাদ্রী। পান্ডুকে একজন বীর হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে।

পাণ্ডু
পান্ডুর সাথে তার স্ত্রী কুন্তি
স্ত্রীকুন্তীমাদ্রী
বংশধরযুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুলা, সহদেব
পিতাবেদব্যাস
মাতাঅম্বিকা

শান্তনুর কনিষ্ঠ পুত্র বিচিত্রবীর্যের মৃত্যু হয় নিঃসন্তান অবস্থায়। হস্তিনাপুর রাজহীন দেখে রাজমাতা সত্যবতী তার জ্যেষ্ঠতম পুত্র, ব্যাসদেবকে আবাহন করেন তার দুটি পুত্রবধূ অম্বিকা ও অম্বালিকার গর্ভে দুটি সন্তান উৎপন্ন করতে। ব্যাসদেবের ঔরসে অম্বালিকার গর্ভসঞ্চার হলে, তিনি একটি পাণ্ডুবর্ণ সন্তানের জন্ম দেন। এই সন্তানের নাম হয় পাণ্ডু। অম্বিকার গর্ভের সন্তান ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ হওয়ার ফলে, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পাণ্ডু রাজা হন। তিনি যথেষ্ট প্রজাবৎসল ছিলেন। তার বিবাহ হয় কুন্তীভোজের পালিতা কন্যা, তথা বসুদেবের বোন কুন্তীর সাথে। পরবর্তীকালে মদ্রদেশের রাজকন্যা মাদ্রীর সাথেও তার বিবাহ হয়।

বিয়ের পর মৃগয়ার সময়ে তিনি ভুলবশত দুটি মিলনরত হরিণকে বিদ্ধ করেন। সেটি ছিল আসলে ঋষি কিন্দম ও তার স্ত্রী, যারা সন্তান উৎপন্ন করতে মিলিত হয়েছিলেন। কিন্দম অভিশাপ দেন যে পাণ্ডুও স্ত্রীসম্ভোগকালে মৃত্যুবরণ করবেন।

অভিশাপের ফলে পাণ্ডুর সন্তানলাভের পথ বন্ধ হয়ে গেলে, কুন্তী দুর্বাসমুনির থেকে প্রাপ্ত বিশেষ দিব্যমন্ত্রর সাহায্যে ধর্ম দেবতাকে আহ্বান করে তার ঔরসে যুধিষ্ঠিরকে জন্ম দেন, এইভাবে বায়ুর সাহায্যে ভীম, ও ইন্দ্র দেবের মাধ্যমে অর্জুনকে জন্ম দেন। মাদ্রীও একই মন্ত্রের বলে অশ্বিনীকুমারদ্বয়কে আহবান করে নকুলসহদেবকে জন্ম দেন। এরাই পঞ্চপাণ্ডব।

এরপর একদিন বসন্তকালে, মাদ্রীকে দেখে মোহিত হন পাণ্ডু। মোহের বশে তাকে সম্ভোগ করতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। স্বামীহন্তা ভেবে মাদ্রীও সহমরণে যান।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.