পাউলির অপবর্জন নীতি
যেসব মৌলিক কণিকার স্পিনের মান (যেখানে n একটি অঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যা) অর্থাৎ যারা পদার্থের গাঠনিক উপাদান (এরা বলের কণিকাসমূহ, যাদের স্পিনের মান ০, ১, বা ২, তাদের থেকে ভিন্ন), তাদের যেকোন দুইটি কখনো একই কোয়ান্টাম দশায় থাকতে পারে না --- এই নীতিকেই পাউলির অপবর্জন নীতি বলা হয়। সোজা কথায়, এমন দুইটি মৌলিক কণিকার অবস্থান এবং বেগ কখনো এক হবে না। অর্থাৎ, এমন দুটি কণিকাকে সংকীর্ণ থেকে সংকীর্ণতর কোন স্থানে আবদ্ধ করার চেষ্টা করলে (অর্থাৎ এদের অবস্থানের পার্থক্য কমিয়ে আনার চেষ্টা করলে) এরা আরো বেশী বেগে ছোটাছুটি করতে থাকবে (অর্থাৎ, এদের বেগের পার্থক্য বাড়তে থাকবে)।
যে সব মৌলিক কণা পাউলির অপবর্জন নীতি মেনে চলে, তাদের ফেরমিঅন বলে। ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন এরা সবাই ফেরমিঅন। আর যারা এই নীতি মানে না, তাদের বলে বোসন। ফোটন কণা একটি বোসন।
মহাবিশ্ব যদি পাউলির অপবর্জন নীতিকে উপেক্ষা করে তৈরি করা হতো, তাহলে ৩ টি করে কোয়ার্ক একত্রিত হয়ে একটি একক প্রোটন বা একক নিউট্রন তৈরি করতো না, এরা আবার ইলেকট্রনের সাথে জোট বেধে একক পরমাণুও তৈরি করতো না। ফলে সমস্ত মহাবিশ্ব কোন সুনির্দিষ্ট আকৃতি না পেয়ে একটা জগাখিচুড়ি আকার ধারণ করত।
নীতিটিকে এর আবিষ্কারক ভোল্ফগাং পাউলির নামে নামকরণ করা হয়েছে।