পঞ্জ নদী
পঞ্জ নদী (পশতু: د پنج سیند) (//; তাজিক: Панҷ, پنج), এছাড়াও হিসাবে পরিচিত Pyandzh নদী বা Pyanj নদী ( রাশিয়ান নাম "Пяндж" থেকে প্রাপ্ত) হল আমু দরিয়া র একটি উপনদী। নদীটি ১১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গঠন করে.[2]
Panj River | |
---|---|
![]() The Panj river forms much of the border between Tajikistan and Afghanistan | |
Country | Afghanistan, Tajikistan |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
মূল উৎস | confluence of Pamir and Wakhan Rivers |
মোহনা | Amu Darya |
অববাহিকার আকার | ১,১৪,০০০ কিমি২ (৪৪,০১৬ মা২) |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
দৈর্ঘ্য | ৯২১ কিমি (৫৭২ মা) |
নিষ্কাশন |
|
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | Lower part of Pyandj River |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | 18 July 2001 |
রেফারেন্স নং | 1084[1] |

নদীটি কিলা-ই পান্জা গ্রামের নিকটবর্তী পামীর নদী এবং ওয়াখান নদীর মোহনা থেকে উতসারিত।সেখান থেকে, এটি পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে আফগানিস্তান এবং তাজিকিস্তানের সীমানা গঠন করে। তাজিকিস্তানের গোর্নো-বাদখেশান স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের রাজধানী খরোগ শহরটি অতিক্রম করার পর এটি তার প্রধান উপনদী বার্তাং নদী থেকে জল সংগ্রহ করে।এরপর এটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে, ভখশ নদীতে যোগদান করে এবং মধ্য এশিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ নদী আমু দরিয়া গঠন করে। সোভিয়েত আমলে পঞ্জ এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং ১৯৮০ এর দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত সামরিক অভিযানের সময় একটি কৌশলগত নদী ছিল।
জল বন্টন চুক্তি


১৯৪৬ সালে স্বাক্ষরিত সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আফগানিস্তানের মধ্যে একটি জলচুক্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তান বছরে ৯ মিলিয়ন ঘন মিটার জল আহরণের অনুমতি পায়। বর্তমানে এটি ২ মিলিয়ন ঘন মিটার জল ব্যবহার করে। পান্জ নদী বেসিন প্রকল্পের মতে আফগানিস্তান যদি নদী থেকে পুরো পরিমাণ জল উত্তোলন করে, তাহলে পরিবেশগত ক্ষতির আশ্ংকা করা যেতে পারে।
সেতু
- আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সেতুঃ এই হাইওয়ে সেতুটি তাজিকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাঝে নির্মিত হয়েছিল নিঝানি পঞ্জে। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে সেতুটির কাজ শুরু হয় এবং ২০০৭ সালের আগস্টে এটির কাজ সম্পন্ন হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থানুকূল্যে ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যায় করে, ইটালিয়ান জেনারেল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি রিজানি ইউ এস আর্মি কর্পস অব ইঞ্জিনিয়ার্সের মালিকানাধীন কর্তৃক সেতুটির নির্মাণকার্য সম্পন্ন হয়। এই সেতুটি এমন একটি বার্জকে প্রতিস্থাপন করে যা কেবলমাত্র দিনে ৬০ টি গাড়ি পরিবহন করতে পারত এবং বছরে বেশ কয়েকমাস নদিতে অতিরিক্ত স্রোতের কারণে, পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকত। অন্যদিকে আর-এ-ডাব্লিউ-এ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সেতুটি, হেরোয়িন-বাণিজ্যের সুবিধা করে, আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নতিকে ত্বরান্বিত করেছে।
- ২০০৩ সালে খোরগ-এ অবস্থিত গুট নদীর মোহনাতে আরেকটি সেতু নির্মিত হয়েছিল।
আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক তাজিকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে পাঞ্জ নদীর মধ্যে তিনটি সেতু নির্মাণের একটি প্রকল্পে জড়িত।.[3]
- এই সেতুর প্রথমটি আফগানিস্তানের দিকে ডেমোগানের সাথে তাজিক পার্শ্বে টেম সংযোগকারী। তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইমোমালি রাহমোভভ, আফগানিস্তানের উপরাষ্ট্রপতি হায়দাত আমিন আরশাল এবং হিস হাইনেস আগা খান নভেম্বর,২০০২এ আগা খান এই সেতুটির উদ্বোধন করেন।.[4]
- দ্বিতীয় সেতুটি উদ্বোধন হয় ২০০৪ সালের জুলাই মাসে, তাজিক-আফগান-মৈত্রী সেতু, যেটি নির্মিত হয়েছে দারোয়াজ-এ।[5]
- অক্টোবর, ২০০৬ এ খুলে দেওয়া হয় এই সেতুত্রয়ের তৃতীয়টি যেটির নাম ইশকাশিম সেতু.[6][7]
তথ্যসূত্র
- "Lower part of Pyandj River"। Ramsar Sites Information Service। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৮।
- "Pyanj River Basin Project"। Asian Development Bank। ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-০৭।
- "Darwaz Bridge to strengthen commercial ties and Tajik-Afghan relations"। Aga Khan Development Network। ২০০৮-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-০৪।
- "Press Release: Aga Khan and Tajik and Afghan Leaders Open Bridge into Afghanistan"। Aga Khan Development Network। ২০০২-১১-০৩। ২০০৬-১০-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-০৯।
- "Press Release: Darwaz Bridge to strengthen commercial ties and Tajik-Afghan relations - AKDN,"। Aga Khan Development Network। ২০০৪-০৭-০৬। ২০০৬-১২-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-০৯।
- "Remarks by the Aga Khan at the Inauguration of the Ishkashim Bridge - AKDN, October 31, 2006"। Aga Khan Development Network। ২০০৬-১০-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-০৯।
- "News: Aga Khan and President Rahmonov inaugurate reconstructed bridge in Ishkashim"। Asia-Plus। ২০০৬-১০-৩১। ২০০৭-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-১০।
আরও দেখুন
- আমু দরিয়া