নিকোবর জেলা

নিকোবর জেলা পূর্ব ভারতে অবস্থিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দ্বীপরাজ্যের তথা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৩ টি জেলার একটি৷ ১লা ভাদ্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দে(১৮ই আগস্ট ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে) পুর্বতন আন্দামান জেলা ভেঙে গঠন করা হয় নতুন জেলাটি৷ জেলাটির জেলাসদর কার নিকোবর অবস্থিত৷

নিকোবর জেলা
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের জেলা
দেশভারত
রাজ্যআন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
সদরদপ্তরকার নিকোবর
তহশিল
আয়তন
  মোট১৮৪১ কিমি (৭১১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
  মোট৩৬,৮৪২[1]
জনতাত্ত্বিক
  সাক্ষরতা৭৮.০৬ শতাংশ
  লিঙ্গানুপাত৭৭৭
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট

নামকরণ

ইতিহাস

নবম শতাব্দীতে আরব বেদুঈনদের কাছ থেকে সর্বপ্রথম এই দ্বীপপুঞ্জের অস্তিত্ব সম্বন্ধে জানতে পারা যায়, তারা সুমাত্রা যাত্রা করার সময় দ্বীপপুঞ্জের এই পথ ধরেই পাড়ি দিয়েছিল। সর্বপ্রথম পশ্চিমী পর্যটক মার্কো পোলো এটিকে ‘দ্য ল্যান্ড অফ হেড-হান্টারস’ রূপে আখ্যা দিয়েছিলেন। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে মারাঠারা এই দ্বীপপুঞ্জটিকৈ দখল করে নেয়। অষ্টদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এটি বারংবার ব্রিটিশ, ডাচ ও পর্তুগীজদের বাণিজ্যিক জাহাজ দখলকারী মারাঠা নৌসেনাপতি কানহোজী আংগ্রের ঘাঁটি হিসাবে গড়ে উঠেছিল।১২৭৬ বঙ্গাব্দে (১৮৬৯ খ্রীষ্টাব্দে) ইংরেজরা নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দখল করে নেয় এবং ১২৭৯ বঙ্গাব্দে (১৮৭২ খ্রীষ্টাব্দে) এই নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে একটি একক প্রশাসনিক ইউনিট গঠনের জন্য আন্দামানের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। ১৩৪৯ বঙ্গাব্দে (১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে) জাপানী সেনারা এই দ্বীপপুঞ্জটিকে দখল করে নেয় ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৩৫২ বঙ্গাব্দে (১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে) বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত তাদের ক্ষমতার অধীনেই থাকে। পরবর্তীকালে, ভারত ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ভারতের উপর স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।

অবস্থান

নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ[2] হল ভারত মহাসাগর-এর একটি দ্বীপপুঞ্জ। এই দ্বীপপুঞ্জটি ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এর অন্তর্গত। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এর দক্ষিণ দিকে এই দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সুমাত্রা দ্বীপ থেকে ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মা) উত্তর দিকে ও থাইল্যান্ড আন্দামান সাগর দ্বারা এই দ্বীপপুঞ্জ থেকে পৃথক। ভারতীয় উপমহাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়া থেকে এই দ্বীপপুঞ্জ প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার (৮১০ মা) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এবং বঙ্গোপসাগর দ্বারা পৃথক।

জেলাটির আয়তন ১৮৪১ বর্গ কিমি৷ রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩ টি জেলার মধ্যে ৩য়৷ জেলার আয়তনের অনুপাত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ২২.৩২%৷

ভাষা

নিকোবর জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ -

২০১১ অনুযায়ী নিকোবর জেলার ভাষাসমূহ[3]

  নিকোবরী (৬৫.৯৮%)
  তামিল (৬.১০%)
  হিন্দী (৫.৮২%)
  তেলুগু (৪.০৫%)
  বাংলা (৩.৯০%)
  নাগপুরি-সাদরি (৩.৮১%)
  কুরুখ/ওরাওঁ (৩.৩১%)
  মালয়ালম (১.৮০%)
  পাঞ্জাবি (১.০৫%)
  মুন্ডারি (০.৯৩%)
  সাঁওতালি (০.৫৯%)
  মারাঠি (০.৫৫%)
  খারিয়া (০.৫২%)
  অন্যান্য (১.৫৯%)

ধর্ম

জনসংখ্যার উপাত্ত

মোট জনসংখ্যা ৪২০৬৮(২০০১ জনগণনা) ও ৩৬৮৪২(২০১১ জনগণনা)৷ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩ টি জেলার মধ্যে ৩য়৷ আন্দামান ও নিকোবর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯.৬৮% লোক নিকোবর জেলাতে বাস করেন৷ জেলার জনঘনত্ব ২০০১ সালে ২৩ ছিলো এবং ২০১১ সালে তা হ্রাস পেয়ে ২০ হয়েছে জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার -১২.৪২% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ৭.২৯% বৃদ্ধির হারের থেকে কম৷ জেলাটিতে লিঙ্গানুপাত ২০১১ অনুযায়ী ৭৭৭(সমগ্র) এবং শিশু(০-৬ বৎ) লিঙ্গানুপাত ৯৪৫৷[4]

শিক্ষা

জেলাটির স্বাক্ষরতা হার ৭২.৩৩%(২০০১) তথা ৭৮.০৬%(২০১১)৷ পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৭৮.০৮%(২০০১) তথা ৮৩.৩৬%(২০১১)৷ নারী স্বাক্ষরতার হার ৬৫.৫২%(২০০১) তথা ৭১.০৬% (২০১১)৷ জেলাটিতে শিশুর অনুপাত সমগ্র জনসংখ্যার ১১.৯১%৷[4]

প্রশাসনিক বিভাগ

বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ

তথ্যসূত্র

  1. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০
  2. "Nicobar Islands declared as world biosphere reserv"। সংগ্রহের তারিখ ১১-০১-২০১৭ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html
  4. https://www.census2011.co.in/census/district/54-nicobars.html
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.